নলিনীরঞ্জন সরকার
ভারতীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নলিনীরঞ্জন সরকার (১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ - ২৫ জানুয়ারি ১৯৫৩) অর্থনীতিবিদ, শিল্পপতি ও একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলার অর্থনীতি ও রাজনীতি সঙ্গে ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ১৯৪৮-এ পশ্চিম বাংলার অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।[১]

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন
নলিনীরঞ্জন ১৮৮২ সালে বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার অদূরে সাজিউড়া নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।[১] ১৯৪৭এর দেশভাগের সময় নলিনীরঞ্জন ভারতে চলে যান। নলিনীরঞ্জন ১৯০২ সালে ময়মনসিংহ সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৯০২ সালে তখনকার পোগোজ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করার পর তিনি ঢাকার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন । পরবর্তীকালে তিনি যোগ দেন কলকাতার সিটি কলেজ, ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু আর্থিক কারণে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি।
রাজনীতি

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পরে তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নেমে পড়েছিলেন। তিনি নিজেকে কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন, তাঁর বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে এক জঞ্জাল মেসের ঘরে থাকতেন। প্রায়শই তাকে অনাহারে দিন কাটাতে হত; সকালের চা ও জলখাবারের জন্য তিনি তার বন্ধুবান্ধব ও পৃষ্ঠপোষকদের বাড়িতে যেতেন। সাহস ও ধৈর্য তাকে ধরে রেখেছিল। সহসাই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নজরে আসেন যিনি তার জন্য হিন্দুস্তান সমবায় বীমা ক্ষেত্রে একটি ক্ষুদ্র চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন। এটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠাতা ও সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রধান নির্বাহী ছিলেন।[২] শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯১১ সালে যোগ দেন হিন্দুস্তান কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স সোসাইটিতে। ১৯২৩-২৮ সাল পর্যন্ত স্বরাজ পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, কলকাতা করপোরেশনে ও সর্বভারতীয় বণিক সভায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৭ সালে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত বঙ্গীয় সরকারের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৪৯ পর্যন্ত রাজনৈতিক জীবনে বহুবার বিভিন্ন বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.