তিলকা মাঝি বা তিলকা মুরমু (১১ ফেব্রুয়ারি, ১৭৫০ ― ১৩ জানুয়ারি,১৭৮৫) আদিবাসী বিদ্রোহের প্রথম যুগের নেতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্ৰামের শহীদ। তাঁর বাবা সুন্দরা মুর্মু ছিলেন গ্রাম প্রধান মাতা পানী মুর্মু।
তিলকা মাঝি | |
---|---|
জন্ম | ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৭৫০ বিহার রাজ্যের ভাগলপুর জেলার সুলতানগঞ্জ থানার অধীন তিলকপুর গ্রামে(ব্রিটিশ ভারত) |
মৃত্যু | ১৩ জানুয়ারি ১৭৮৫ ভাগলপুর |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
আন্দোলন | সাঁওতাল বিদ্রোহ |
বিদ্রোহের নেতৃত্ব
ভাগলপুরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে যে 'খেরওয়াড় বিদ্রোহ' হয় তার নেতা ও ভারতের প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহের শহীদ। ১৭৮১-৮৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জমি লুঠ ও বলপূর্বক খাজনা আদায়ের নির্মম পন্থা অবলম্বন করে তার বিরুদ্ধে গরীব সাঁওতালদের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভের সূচনা হয় তাকে গণ বিদ্রোহের আকার দেন তিলকা। তাকে বাবা তিলকা মাঝি বলা হতো। এই দীর্ঘ আন্দোলনে বহু সাঁওতাল শহীদ হন। ১৭৭৮ সালে ১৩০০ জন সাঁওতাল বিদ্রোহী নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রামগড় ব্যাটালিয়ন কব্জা করে নেন এবং কোম্পানির ট্রেজারি কুঠি লুঠ করে জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দেন তিনি। ১৭৮৪ জানুয়ারি মাসে ভাগলপুরের ইংরেজ কালেক্টর অগাস্ট ক্লিভল্যান্ড তিলকা মুরমু(মাঝি) মারা গেলে তিলকপুরের জঙ্গলে ইংরেজ সেনাবাহিনী তিলকা ও তার সাথীদের ঘেরাও করে।[1] এই সংগ্রামে আহত অবস্থায় তিলকা মাঝি ধরা পড়েন।
মৃত্যু
বিদ্রোহের শাস্তিস্বরূপ তাকে ছুটন্ত ঘোড়ার পেছনে বেঁধে দেওয়া হয়। এই নৃশংস পদ্ধতিতেও তার মৃত্যু না হলে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ভাগলপুর শহরে। তিলকা মাঝি ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ হিসেবে পরিগণিত।[2][3]
স্মৃতি
ভাগলপুর শহরে, তাকে যেখানে হত্যা করা হয় সেই স্থানে তার একটি মুর্তি স্থাপিত আছে। তার সম্মানে ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হয় তিলকা মাঝি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সাঁওতাল পরগনার সদর শহর দুমকাতে তার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে।[4]
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.