Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আদেনোর লেওনার্দো বাক্কি (২৫ মে ১৯৬১; এছাড়াও তিতে (পর্তুগিজ: Tite, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ˈtʃitʃ(i)][1][2]) নামে সুপরিচিত) হলেন একজন সাবেক ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। তিনি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার পর ব্রাজিল জাতীয় দলে ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় কাশিয়াস এবং গুয়ারানির হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আদেনোর লেওনার্দো বাক্কি | ||
জন্ম | ২৫ মে ১৯৬১ | ||
জন্ম স্থান |
কাশিয়াস দো সুল, রিও গ্রান্দে দে সুল, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | কোনো দলে নাই (শূন্য) | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৭৮–১৯৮৪ | কাশিয়াস | ১২১ | (৮) |
১৯৮৪–১৯৮৫ | বেন্তো গোন্সালভেস | ১৮ | (৭) |
১৯৮৫–১৯৮৬ | পোর্তুগেসা | ১৫ | (১) |
১৯৮৬–১৯৮৯ | গুয়ারানি | ১৯ | (১) |
১৯৯০ | গ্রেমিও গুয়ারানি | ||
মোট | ১৭৩ | (১৭) | |
পরিচালিত দল | |||
১৯৯০–১৯৯১ | গ্রেমিও গুয়ারানি | ||
১৯৯১–১৯৯২ | কাশিয়াস | ||
১৯৯২–১৯৯৫ | ভেরানোপোলিস | ||
১৯৯৬ | ইপিরাঙ্গা | ||
১৯৯৭ | জুভেন্তুদে | ||
১৯৯৮ | কাশিয়াস | ||
১৯৯৮ | ভেরানোপোলিস | ||
১৯৯৯–২০০০ | কাশিয়াস | ||
২০০১–২০০৩ | গ্রেমিও | ||
২০০৩–২০০৪ | সাও কায়েতানো | ||
২০০৪–২০০৫ | করিন্থিয়ান্স | ||
২০০৫ | আতলেতিকো মিনেইরো | ||
২০০৬ | পালমেইরাস | ||
২০০৭ | আল আইন | ||
২০০৮–২০০৯ | ইন্তেরনাসিওনাল | ||
২০১০ | আল ওয়াহদা | ||
২০১০–২০১৩ | করিন্থিয়ান্স | ||
২০১৫–২০১৬ | করিন্থিয়ান্স | ||
২০১৬– | ব্রাজিল | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
১৯৭৮–৭৯ মৌসুমে, ব্রাজিলীয় ক্লাব কাশিয়াসের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ছয় মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন; কাশিয়াসের হয়ে তিনি ১২১ ম্যাচে ৮টি গোল করেছিলেন। অতঃপর ১৯৮৪–৮৫ মৌসুমে তিনি বেন্তো গোন্সালভেসে যোগদান করেছিলেন। বেন্তো গোন্সালভেসে মাত্র এক মৌসুম অতিবাহিত করার পর পোর্তুগেসার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৫ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি গুয়ারানির হয়ে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে, তিনি গুয়ারানি হতে গ্রেমিও গুয়ারানিতে যোগদান করেছিলেন; গ্রেমিও গুয়ারানির হয়ে মাত্র এক মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ১৯৯০ সালে, তিতে ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব গ্রেমিও গুয়ারানির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল জগতে অভিষেক করেন। গ্রেমিও গুয়ারানির হয়ে মাত্র এক মৌসুম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার পর তিনি কাশিয়াস, ভেরানোপোলিস, ইপিরাঙ্গা এবং জুভেন্তুদের মতো ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে, তিনি গ্রেমিওয়ের ম্যানেজার হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন; গ্রেমিওয়ের হয়ে তিনি ২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ২০১০–১১ মৌসুমে, তিনি করিন্থিয়ান্সের ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন; যেখানে তিনি ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘ সময় (প্রায় চার মৌসুম) অতিবাহিত করেছেন। এক মৌসুমে বিরতির পর তিনি দ্বিতীয় দফায় করিন্থিয়ান্সের ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন; দ্বিতীয় দফায় করিন্থিয়ান্সের হয়ে ম্যানেজার হিসেবে ক্লাব পর্যায়ে তিনি সেরা সময় অতিবাহিত করেছেন, যেখানে তিনি প্রায় ৬১ শতাংশ ম্যাচ জয়লাভ করেছেন। তার অধীনে করিন্থিয়ান্স বেশ কিছু শিরোপা জয়লাভ করেছিল; যার মধ্যে ২০১২ কোপা লিবের্তাদোরেস এবং ২০১২ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ অন্যতম। ২০১৬ সালের ২০শে জুন তারিখে দুঙ্গা বরখাস্ত হওয়ার পর, তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের ম্যানেজারের পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তার অধীনে ব্রাজিল ২০১৯ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়লাভ করার পাশাপাশি ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। ২০২২ বিশ্বকাপে পুনরায় তার দল কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিরার বিপক্ষে ট্রাইবেকারে হেরে বিদায় নেয়। এই দিনই তিতে কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।
আদেনোর লেওনার্দো বাক্কি ১৯৬১ সালের ২৫শে মে তারিখে ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে দে সুলে কাশিয়াস দো সুলের জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। শৈশবে তিনি স্কুলে লুইজ ফেলিপে স্কলারির অধীনে শারীরিক শিক্ষা অধ্যয়ন করেছিলেন। স্কোলারি তাঁর পরামর্শদাতা ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি কোচ হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।[3] তিনি কাম্পিনাস পোন্তিফিকাল ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শারীরিক শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[4]
১৯৭৮ সালে, কাশিয়াসের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিতে তার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে বেন্তো গোন্সালভেসে এবং ১৯৮৫ সালে পোর্তুগেসায় স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। অতঃপর ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত গুয়ারানির হয়ে খেলেছেন। এ সময়েই তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা সফলতা অর্জন করেছিলেন। উক্ত সময়ে তিনি ১৯৮৬ কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ, ১৯৮৭ কোপা ইউনিয়াও এবং ১৯৮৮ কাম্পেওনাতো পাউলিস্তা শিরোপা জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। কিন্তু ২৭ বছর বয়সে হাঁটুতে আঘাত পাওয়ার কারণে তার খেলোয়াড়ি জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে, এর ফলে তিনি তার পায়ের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।[5]
১৯৯০ সালে গ্রেমিও গুয়ারানিতে তিতের প্রথম ম্যানেজারের চাকরি ছিল। অতঃপর তিনি কাশিয়াস, ভেরানোপোলিস, ইপিরাঙ্গা এবং জুভেন্তুদের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৩ সালে করিন্থিয়ান্স থেকে চলে আসার পর তিনি আধুনিক ফুটবলকে ঘিরে অগ্রসর হন। উক্ত সময়ে বিভিন্ন ক্লাব হতে ম্যানেজার হওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি উক্ত সময়ে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপসহ বেশ কিছু খেলা পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়াও আর্সেনাল,[6] কার্লো আনচেলত্তির নেতৃত্বাধীন রিয়াল মাদ্রিদসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব পরিদর্শন করেন।[7] উক্ত সময়ে তার ব্রাজিলের নতুন ম্যানেজার হওয়ার মর্যাদার বিষয়টি কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল। এসময়ে তিনি জাপানের ম্যানেজার হওয়ারও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু দুঙ্গাকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। এমনকি জাপান দলের সাথেও কোন আলাপ-আলোচনায় বসেননি তিনি।[8] ২০১৪ সালের ১৫ই ডিসেম্বর তারিখে তিনি দ্বিতীয় দফায় করিন্থিয়ান্সের ম্যানেজার হিসেবে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন।[9]
২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার শতবার্ষিকী প্রতিযোগিতায় দলের বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে দুঙ্গার উপর ফেডারেশনের ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়। এরফলে তার পরিবর্তে ২০১৬ সালের জুন মাসে তিতেকে ব্রাজিল দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।[10][11]
তিতে রোজমারির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।[12] তাদের একটি কন্যা এবং একটি পুত্র রয়েছে।[13] তিতে রোমান ক্যাথলিক অনুশীলন করেন।[14][15][16]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.