শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
তারানা হালিম
অভিনেত্রী, আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
তারানা হালিম (জন্ম: ১৬ আগস্ট ১৯৬৬) একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ, নাট্য পরিচালক, লেখক, আইনজীবী ও সমাজকর্মী।[৩] জানুয়ারি ২০১৮ সালে, তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।[৪] জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন ও পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর-দেলদুয়ার আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তারানা,[৫][৬][৭] ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচিত সরকারের সংসদ সদস্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৮] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৯]
Remove ads
Remove ads
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
তারানা হালিম আগস্ট ১৬, ১৯৬৬ সালে[৬][১০] টাঙ্গাইল জন্ম নেন। তার পিতা এম এ হালিম ছিলেন আয়কর কমিশনার ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, এবং মা আখতার হালিম বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে তারানা কনিষ্ঠ।[৫] পৈত্রিক বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া গ্রামে।[৬]
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি উদয়ন বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। ১৯৮২ সালে আজিমপুর অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক এবং ১৯৮৪ সালে হলিক্রস কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুইটি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে তার অবস্থান ছিল নবম। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেন।[৫]
Remove ads
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
অভিনয়
বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে পাঁচ বছর বয়সে ঘুঘু ও শিকারী শিরোনামের একটি নাটকে "পিঁপড়া" চরিত্রে অভিনয়েয় মধ্য দিয়ে অভিনয়ে তারানার হাতেখড়ি ঘটে। পরবর্তীতে কলেজে অধ্যয়নের শুরুতে অভিনয় করেন ঢাকায় থাকি টেলিভিশন নাটকে। চলচ্চিত্র অভিনেতা ফারুকের সঙ্গে তার ছোট বোনের চরিত্রে সাহেব শিরোনামের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর অলোচনায় আসেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অয়োময় টেলিভিশন নাটকেে "মদিনা" চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের আকৃষ্ট করেন।[৫] তিনি আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮) চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
এছাড়াও তিনি চ্যানেল আইতে জীবন যেখানে যেমন শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করছেন।[৫]
রাজনৈতিক জীবন

কৈশোর বয়স থেকেই রাজনিতীর প্রতি তার ঝোঁক ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নকালে যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং একই সংগঠনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১১] ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সদস্য ছিলেন।[৫] তিনি ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। [১২]
Remove ads
ব্যক্তিগত জীবন
তারানা হালিম প্রথমে বিয়ে করেছিলেন ইরতিজা নাসিম আলী বাবুকে। প্রথম স্বামী হতে বড় ছেলে প্রীতম। আরো এক ছেলে আছে ঐ স্বামী হতে। প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর তারানা হালিম বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা আহমেদ রুবেলকে। তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এখন একাই জীবন যাপন করছেন।
চলচ্চিত্র তালিকা
টেলিভিন নাটক
- ঘুঘু ও শিকারী
- ঢাকায় থাকি
- অয়োময়
- আমাদের আনন্দবাড়ী (ধারাবাহিক)
- হিমু (১৯৯৪)
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads