ডোয়েন ব্র্যাভো
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডোয়েন জেমস জন ব্র্যাভো (ইংরেজি: Dwayne James John Bravo; জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৮৩) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সান্তা ক্রুজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ও গায়ক।[১] প্রকৃত অল-রাউন্ডার হিসেবে তিনি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলাররূপে নিজেকে উপস্থাপন করে থাকেন। ২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিং প্রথায় টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অল-রাউন্ডারের তালিকায় বর্তমানে তার অবস্থান অষ্টম।[২] এছাড়াও ডোয়েন ব্র্যাভো ড্যারেন স্যামি’র পরিবর্তে ২০১৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব করেন।[৩]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডোয়েন জেমস জন ব্র্যাভো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সান্তা ক্রুজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ৭ অক্টোবর ১৯৮৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | "ডিজে" ব্র্যাভো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ড্যারেন ব্র্যাভো (বৈমাত্রেয় ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৬) | ২২ জুলাই ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ ডিসেম্বর ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২১) | ২৮ এপ্রিল ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২) | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৩ এপ্রিল ২০১৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-বর্তমান | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ | কেন্ট (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯-২০১১ | ভিক্টোরিয়ান বুশর্যাঞ্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | এসেক্স (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১৫ | চেন্নাই সুপার কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | সিডনি সিক্সার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৩ | চিটাগং কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪– | মেলবোর্ন রেনেগেডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-বর্তমান | ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো রেড স্টিল (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-বর্তমান | লাহোর কালান্দার্স (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-বর্তমান | গুজরাত লায়ন্স (জার্সি নং ৪৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ |
২০০২ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে বার্বাডোসের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক হন ব্র্যাভো। এ খেলায় তিনি শুধুমাত্র ব্যাটিং করেন। এর একমাস পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শতক করেন এবং ইংল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের পক্ষ হয়ে খেলেন। ২০০৩ এর শুরুতে আরও একটি শতক করলেও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬/১১ লাভই তাকে উদীয়মান অল-রাউন্ডার করতে সহায়তা করে।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৩/০৪ মৌসুমে একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে ব্র্যাভো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে অভিষিক্ত হন। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে সফলতা দেখান ৩১ রানে দুই উইকেট নিয়ে। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটে। ৪৪ ও ১০ রান করার পাশাপাশি তিন উইকেটও লাভ করেছিলেন তিনি। সিরিজে তিনি ১৬ উইকেট এবং ২২০ রান করেন। তন্মধ্যে ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট মাঠে অনুষ্ঠিত টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৭ রান ও পরবর্তীকালে ৫৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নেন যা অদ্যাবধি তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান হয়ে রয়েছে।
২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যান্টিগুয়ায় অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে তিনি তার প্রথম শতক করেন। মার্ক বাউচারের হাতে আউট হন ১০৭ রানে। কিন্তু প্রতিপক্ষীয় দলনেতা গ্রেইম স্মিথের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য সরাসরি অভিযোগ আনেন। কিন্তু স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদির অভাবে স্মিথকে নির্দোষ বলে গণ্য করা হয় ও তরুণ অল-রাউন্ডার হিসেবে তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবী জানান।[৪] পরবর্তীতে ব্র্যাভো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এমনটি তিনি করেননি বলে জানান যা দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয় ও বিতর্কের জন্ম দেয়।
২০১৩ সালে প্রবর্তিত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী আসরে বিক্রীত খেলোয়াড়দের তালিকায় তিনিও অন্তর্ভুক্ত হন।[৫]
৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ব্র্যাভো টেস্ট ক্রিকেট থেকে তার অবসরের ঘোষণা দেন।[৬] তবে, ওডিআই এবং টি২০আই চালিয়ে যাচ্ছেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.