ডম বেস
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডমিনিক মার্ক বেস (ইংরেজি: Dom Bess; জন্ম: ২২ জুলাই, ১৯৯৭) ডেভনের এক্সটার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।
![]() ২০১৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডম বেস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডমিনিক মার্ক বেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | এক্সটার, ডেভন, ইংল্যান্ড | ২২ জুলাই ১৯৯৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জেজে বেস (কাকাতো ভাই), এলএফও বেস (কাকাতো ভাই), জেডজিজি বেস (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৮৫) | ২৪ মে ২০১৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ আগস্ট ২০২০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬–২০২০ | সমারসেট (জার্সি নং ২২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮–২০১৯ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯ | → ইয়র্কশায়ার (ধারকৃত) (জার্সি নং ২২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ও সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ডমিনিক বেস নামে পরিচিত ডম বেস।
শৈশবকাল
সমারসেট থেকে বৃত্তিধারী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৬ বছর বয়সে ক্লাবের একাডেমিতে যুক্ত হন। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্বিতীয় একাদশের সদস্য থেকে শতরানের ইনিংস খেলে ব্যাটে সিদ্ধহস্তের কথা জানান দেন।
ডেভনের সিডমাউথ এলাকায় ডম বেসের জন্ম। ১৬ বছর বয়সে সমারসেটের একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১৫ সালে ড্যারেন লেহম্যানের পরিচালনায় অ্যাডিলেড একাডেমিতে সময় দেন। স্পিনার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। ফাস্ট বোলিংয়ের সাথে তুলনান্তে তিনি মন্তব্য করেন যে, কিশোর বয়স থেকেই তিনি আলসে প্রকৃতির ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, কখনো দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিংয়ে অগ্রসর হতে চাইতেন না।[২] ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি খেলায় দক্ষ ছিলেন। যুবক অবস্থায় ফ্লাই-হাফ অবস্থানে খেলতেন। তার শক্তিমত্তা ও পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সমারসেটের স্বাস্থ্যবিষয়ক কোচ ড্যারেন ভেনেস বড় ধরনের ভূমিকা পালন করেছেন।[৩]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সারাংশ
প্রসঙ্গ
২০১৬ সাল থেকে ডম বেসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ২০১৬ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শেষদিকে অংশ নিয়ে ১৩ উইকেট পান। চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় আকস্মিকভাবেই তিনি সমারসেটের প্রধান অফ স্পিনারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। কেবলমাত্র মিডলসেক্সের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ খেলার শেষ লগ্নে তার বোলিং প্রতিপক্ষের কাছে সমীহের পাত্র হয়ে দাঁড়ায়নি।
ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নেন। ডম বেসের খেলার ধারা টানটনের স্মরণীয় দিনে পরিবর্তন হয়ে যায়। ২১ উইকেট পতনের দিনে তিনি তার চ্যাম্পিয়নশীপের অভিষেক খেলায় প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভারে ৬/২৮ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ওয়ারউইকশায়ারের সাবেক ইংরেজ জুটি ইয়ান বেল ও জোনাথন ট্রটকে উপর্যুপরী বলে বিদেয় করে তার প্রথম দুই শিকারে পরিণত করেন। ১৯৬১ সালে ব্রিস্টলের ইম্পেরিয়াল অ্যাথলেটিক গ্রাউন্ডে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সমারসেটের অভিষেকধারী খেলোয়াড় টনি পিয়ারসনের ৭/৬৩ বোলিং পরিসংখ্যানের পর তার বোলিং সেরার মর্যাদা পায়। তবে, এ সাফল্যটি কাকতালীয় ছিল না। ঐ পরিসংখ্যানটি তৎকালীন তার ব্যক্তিগত সেরা বোলিং ছিল। খেলায় তিনি সবমিলিয়ে ২৭ ওভারে ৫৯ রান খরচায় আট উইকেট লাভ করেন।[৪]
পরের খেলায় সমারসেট দল নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে নিজেদের শেষ খেলায় অংশ নেয়। তিনি ৫/৪৩ পান। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দলটি পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে ছিল। কেবলমাত্র চূড়ান্ত দিন মিডলসেক্স দল তাদেরকে টপকে যায়। মাত্র দুইটি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অংশ নিয়ে ১০.৪৬ গড়ে ১০ উইকেট লাভ করেন। তবে, জুলাইয়ে সফররত পাকিস্তানি একাদশের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর খেলায় প্রথমবার খেলতে নেমে তিনি কোন উইকেট লাভ করতে পারেননি। ৩ জুলাই, ২০১৬ তারিখে সমারসেটের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফররত পাকিস্তানি একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়। তিনি কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন ও টানটনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় সবমিলিয়ে তিনি ১২৮ রান খরচ করেছিলেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ২৫ রান তুলেন।[৫] ২০১৬ সালে সমারসেটের শেষ টি২০ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। ২৯ জুলাই, ২০১৬ তারিখে সাউদাম্পটনে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ১/৩১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ও একটিমাত্র রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।[৬]
এছাড়াও, ইতোমধ্যে অবনমনের কবলে পড়া নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে সমারসেটের শেষ খেলায় দূর্দান্ত ভূমিকা রাখেন। প্রথম ইনিংসে নিজস্ব দ্বিতীয় পাঁচ-উইকেট পান। ২২.৫ ওভারে ৫/৪৩ পান। তন্মধ্যে, এক পর্যায়ে উপর্যুপরী পাঁচটি মেইডেন ওভার ছিল। ঐ খেলায় ৩২.৫ ওভার বোলিং করে ৭৭ রানে পাঁচ উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও, সমারসেটের প্রথম ইনিংসে ৪১ রান তুলেছিলেন তিনি।[৭][৮]
স্বর্ণালী সময়
২০১৬ সালের শেষদিকে প্রথমবারের মতো পেশাদারী পর্যায়ে সমারসেটের সাথে দুই-বছর মেয়াদে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরফলে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ক্লাবের সাথে খেলেন।[৯]
জ্যাক লিচের আঘাতের কারণে ২০১৭ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় আসীন হন। সিডারাবাড ডাকনামে পরিচিত টানটনে তিনি ২৩.৪২ গড়ে ৩৬ উইকেট দখল করেন।[২] শেষ খেলায় সমারসেট মিডলসেক্সকে পরাজিত করেন। জ্যাক লিচ ও ডম বেস- উভয়েই ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ২০ বছর বয়সী ডম বেসকে লক্ষ্য করে জ্যাক লিচ মন্তব্য করেন যে, আমি তখনও এ বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করছিলাম।
ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেছিলেন তিনি। এরপর, ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে ইংল্যান্ড লায়ন্সের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।[১০] তবে, তাকে খেলানো হয়নি। এরপর, শীতকালে অস্ট্রেলিয়া[১১] ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে লায়ন্স দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়।[১২] অ্যান্টিগুয়ায় ইংল্যান্ড লায়ন্সের পক্ষে অভিষেক ঘটা খেলায় ৫/৮৮ লাভ করেন।[১৩]
৮ মে, ২০১৯ তারিখে ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ এক মাসের জন্যে তাকে ধারকৃত অবস্থায় খেলায়।[১৪] আগস্ট, ২০২০ সালে ডম বেস নিশ্চিত করেন যে, এ মৌসুম শেষে তিনি সমারসেট ত্যাগ করবেন।[১৫] পরবর্তীতে তিনি ইয়র্কশায়ারের সাথে চার-বছরের চুক্তিনামায় স্বাক্ষরের কথা ঘোষণা করেন।[১৬]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডম বেস। ২৪ মে, ২০১৮ তারিখে লর্ডসে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২১ আগস্ট, ২০২০ তারিখে সাউদাম্পটনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এখনো তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
২০ বছর বয়সেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। নতুন জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলী এড স্মিথ তাকে ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ দেন। খেলায় তিনি ভালো করলেও আকস্মিকভাবে খেলার মান পড়ে যায় ও তাকে সমারসেটে ফিরে আসতে হয়।
নিজ কাউন্টির দলীয় সঙ্গী জ্যাক লিচ আঘাতপ্রাপ্ত হলে[১৭] সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়। ২৪ মে, ২০১৮ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[১৮] ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জস বাটলারের সাথে শতরানের জুটি গড়েন। ৫৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। তবে, খেলায় তিনি কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। স্বাগতিক দল নয় উইকেটে পরাজিত হয়। এরপর, সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইমাম-উল-হককে বিদেয় করে নিজস্ব প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। ঐ খেলায় সবমিলিয়ে ৩ উইকেট পান তিনি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নেমে ৪৯ রান তুলেন। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ও ৫৫ রানে জয়ী হয়।[১৯]
দক্ষিণ আফ্রিকা গমন
জানুয়ারি, ২০২০ সালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান।[২০]
২৯ মে, ২০২০ তারিখে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী আন্তর্জাতিক সময়সূচীকে ঘিরে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডের ৫৫-সদস্যের তালিকায় তাকে রাখা হয়।[২১][২২] ১৭ জুন, ২০২০ তারিখে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে কেন্দ্র করে ৩০-সদস্যের অন্যতম হিসেবে নিবীড় অনুশীলনীতে তাকে রাখা হয়।[২৩][২৪] ৪ জুলাই, ২০২০ তারিখে সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্যে ইংল্যান্ডের ১৩-সদস্যের তালিকায় তাকে ঠাঁই দেয়া হয়।[২৫][২৬]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.