জাতীয় পরিবেশ পদক বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি পুরস্কার। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৩টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ৩টি সহ মোট ৬ শাখায় পদক প্রদান করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করা হচ্ছে।
দ্রুত তথ্য জাতীয় পরিবেশ পদক, বিবরণ ...
বন্ধ
বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রবর্তন করে। ২০০৯ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নওগাঁর গহের আলীকে পরিবেশ সংরক্ষণ ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদকটি গ্রহণ করেন।[1]
প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তদের একটি ২১ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ২৩ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট পদক, একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়ন পত্র এবং সম্মাননা স্বরুপ ৫০,০০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়।[2]
ব্যক্তিগত
- (ক) পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- (খ) পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
- (গ) পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন
প্রাতিষ্ঠানিক
- (ক) পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- (খ) পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
- (গ) পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন[2]
নিন্মলিখিত শ্রেণীতে পুরস্কার প্রদান করা হয়:[2]
ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- দেশের পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশগত মান উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অবদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্জন
ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশ
- পরিবেশ বিষয়ক প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধ/গ্রন্থ/পত্রিকা/ সাময়িকী
- পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অর্জন
ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কার্যকারিতা, সহজলভ্যতা, স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষতা এবং স্থায়ীত্ব।
- পরিবেশ গবেষণামূলক মৌলিক প্রকাশনা
- পরিবেশবান্ধব উন্নত জাত/পদ্ধতির উদ্ভাবন
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- দেশেরশের পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশগত মান উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অবদান
- দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান
- পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্জন
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান
- পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন
- পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশ
- পরিবেশ বিষয়ক প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধ/গ্রন্থ/পত্রিকা/ সাময়িকী
- পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অর্জন
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- উদ্ভাবিত প্রযুক্তির কার্যকারিতা, সহজলভ্যতা, স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষতা এবং স্থায়ীত্ব।
- পরিবেশ গবেষণামূলক মৌলিক প্রকাশনা
- পরিবেশবান্ধব উন্নত জাত/পদ্ধতির উদ্ভাবন
- ২০০৯- ব্যক্তিগত ক্যাটাগরীতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের গহের আলীকে পদক দেওয়া হয়। ব্যক্তি উদ্যোগে ভিক্ষুক গহের আলী একাই রাজশাহী- নওগাঁ মহাসড়কের দুপাশে ১২,০০০ তালগাছ লাগিয়েছিলেন। চারা কেনার টাকা না থাকলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালের আঁটি সংগ্রহ করে এতগুলো তালগাছ লাগিয়েছিলেন তিনি। পদক পাবার কিছুদিন পরই পরলোকগমন করেন এই কৃতি সন্তান। তার বয়স হয়েছিল ১০৮ বছর। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরীতে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।[1]
- ২০১০- প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয়।[3]
- ২০১১- প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সুন্দরবন সমর্থক কমিটি,বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোহাম্মদ লিয়াকতকে আলী জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয়। [3]
- ২০১২-
- ২০১৩- ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ শ্রেণিতে রাজশাহী তানোর উপজেলার মোঃ ইউসুফ মোল্লাকে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার শ্রেণিতে ঢাকার দক্ষিণ মুগদাপাড়ার শরিফ খানকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণিতে বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) কে জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয়।[3]
- ২০১৪- পরিবেশ সংরক্ষণ, মান উন্নয়ন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখার জন্য এ বছর জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিন। কম খরচে শিল্প কল-কারখানার তরল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য গবেষণা করছেন তিনি। [4]
- ২০১৫- হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট, মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ 'পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ' ব্যক্তিগত ক্যাটাগরীতে পদল লাভ করেন। উচ্চ আদালতে নিয়মিত পেশায় নিয়োজিত কোনো আইনজীবীর এ ধরনের পদক প্রাপ্তি এটাই প্রথম। [5]
- ২০১৬- 'পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ' প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরীতে প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, উত্তর নরসিংহপুর, কাশিপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এবং 'পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন' প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরীতে পদক লাভ করে 'বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, ময়মনসিংহ।
- ২০১৭- 'পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ' ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, 'পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার' ক্যাটাগরিতে গ্রিণরোডের বাসিন্দা মোকাররম হোসেন এবং 'পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ' প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিষ্ঠিত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পদক লাভ করে। [6][7]
- ২০১৮- ওয়ালটন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ’ ক্যাটাগরিতে পদক লাভ করে। [8]
- ২০১৯- ‘পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার’ ক্যাটাগরিতে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও ড. আইনুন নিশাত। ‘পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন’ ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোবারক আহমদ খান এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট পদক পাচ্ছে। ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ’ ক্যাটাগরিতে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড।[9]