Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্যার জর্জ গ্যাব্রিয়েল স্টোক্স, ১ম ব্যারনেট (১৩ই আগস্ট, ১৮১৯ - ১লা ফেব্রুয়ারি, ১৯০৩) একজন ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতজ্ঞ যিনি তরল পদার্থের সান্দ্রতা, বিশেষ করে বহুল ব্যবহৃত সান্দ্রতার নীতি, এবং স্টোকস উপপাদ্যের জন্য বিখ্যাত। সান্দ্রতার নীতি কোন তরলের মধ্যে একটি ঘন গোলকের গতি ব্যাখ্যা করে, আর স্টোকস উপপাদ্য ভেক্টর বিশ্লেষণের খুবই মৌলিক একটি উপপাদ্য। তিনি ১৮৪৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকাসিয়ান অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিলেন, যে পদে একসময় আসীন ছিলেন আইজ্যাক নিউটন।
স্যার জর্জ স্টোক্স, ১ম ব্যারনেট | |
---|---|
জন্ম | স্ক্রিন, কাউন্টি স্লিগো, আয়ারল্যান্ড | ১৩ আগস্ট ১৮১৯
মৃত্যু | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯০৩ ৮৩) | (বয়স
মাতৃশিক্ষায়তন | পেমব্রোক কলেজ, কেমব্রিজ |
পরিচিতির কারণ | স্টোকসের নীতি স্টোকস উপপাদ্য স্টোকস রেখা স্টোকস সংখ্যা স্টোকস সম্পর্ক স্টোকস শিফ্ট নাভিয়ের-স্টোকস উপপাদ্য |
পুরস্কার | রামফোর্ড মেডেল (১৮৫২) কপলি পদক (১৮৯৩) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | উইলিয়াম হপকিন্স |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | হোরেস ল্যাম্ব |
স্টোকস ১৮৪২ এবং ১৮৪৩ সালে তার প্রথম গবেষণাপত্র দুটি প্রকাশ করেন যাদের বিষয়বস্তু ছিল যথাক্রমে তরলের গতি এবং অসংনম্য তরলের ধ্রুব গতি। পরবর্তীতে ১৮৪৫ সালে গতিশীল তরলের ঘর্ষণ এবং স্থিতিস্থাপক কঠিন পদার্থের সাম্যাবস্থা ও গতি নিয়ে একটি গবেষণাপত্র লেখেন। ইংরেজি fluorescence (প্রতিপ্রভা) শব্দটি তার উদ্ভাবন, অতিবেগুনী রশ্মি গবেষণায় তিনি প্রতিপ্রভা প্রয়োগ করেন এবং দেখান যে কোয়ার্জ সাধারণ কাচের মত আচরণ করে না, সে অতিবেগুনী রশ্মির প্রতি স্বচ্ছ। তিনি আলোর তরঙ্গ তত্ত্বের অন্যতম সমর্থক ছিলেন এবং মনে করতেন ইথার বলে কিছু থাকতে হবে যার মধ্য দিয়ে আলো ভ্রমণ করে। ইথারের আচরণ নিয়ে অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল বলে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন, ইথার অনেকটা মোমের মত আচরণ করে- এটি কঠিন তবে একটি ধীর কিন্তু ধ্রুব বল প্রয়োগ করলে তা প্রবাহিত হতে পারে, ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলো তেমনই একটি বল প্রয়োগ করে। তিনি এও বলেছিলেন যে, গ্রহগুলো ঘর্ষণের কারণে তাদের সাথে কিছু ইথার টেনে নিয়ে যায়।[1]
তিনি সমবর্তিত আলোর বর্ণনা দেয়ার জন্য কিছু প্যারামিটার প্রণয়ন করেন যেগুলোকে এখন স্টোকস প্যারামিটার বলা হয়। I, Q, U, V নামক চারটি প্যারামিটারের মাধ্যমে আলোর যেকোন সমবর্তন দশা ব্যাখ্যা করা যায়। এখন আমরা জানি, এগুলো যেকোন তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের জন্যই প্রযোজ্য। ১৯৪৬ সালে সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর প্রথমবারের মত জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে স্টোকস প্যারামিটার ব্যবহার করেন। বর্তমানে কোন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক উৎস থেকে আসা বিকিরণের সমবর্তন দশা স্টোকস প্যারামিটারের মান নির্ণয়ের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.