Loading AI tools
নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জন এডওয়ার্ড ফ্রান্সিস বেক (ইংরেজি: John Beck; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল, ২০০০) ওয়েলিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন এডওয়ার্ড ফ্রান্সিস বেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ১ আগস্ট ১৯৩৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল ২০০০ ৬৫) ওয়াইকানেই, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৫) | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ মার্চ ১৯৫৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ আগস্ট ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জন বেক।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত জন বেকের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অসাধারণ ফিল্ডার ছিলেন তিনি। সকল ধরনের শট খেলায় নিপুণতা দেখান। কিন্তু, খুব দ্রুত রান তোলার দিকে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন।
১৯৫৪-৫৫ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলে মিশ্র সফলতার স্বাক্ষর রাখেন জন বেক।[1] তন্মধ্যে, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে ১৪৯ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন।[2]
ওয়েলিংটন ও নর্থ আইল্যান্ডের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৪১টি খেলায় অংশ নিয়ে ২৩.৯০ গড়ে ১,৫০৮ রান তুলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জন বেক। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৯ মার্চ, ১৯৫৬ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
আক্রমণধর্মী বামহাতি ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জন বেক। পাশাপাশি ফিল্ডার হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ড দলে রাখা হয়। অথচ, এরপূর্বে তিনি কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। তবে, বিদ্যালয় জীবনে তার চমৎকার ক্রীড়াশৈলী ও প্রতিশ্রুতিশীলতাকে বিবেচনায় আনা হয়েছিল।[3] কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে ৯৯ রানে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হয়েছিলেন তিনি। মূলতঃ স্ট্রাইক তুলে দেয়ার কারণে খেসারত গুণতে হয় তাকে। এ পর্যায়ে পঞ্চম উইকেটে জন রিডের সাথে ১৭৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজন ও চাবিরতির মাঝখানে দুই ঘণ্টায় তারা ১৬৫ রান তুলেছিলেন।[4]
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে আর জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়া হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দুইবার অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান তিনি। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। অকল্যান্ডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান তুলেন। নিম্নমূখী রানের খেলায় পঞ্চম উইকেট জুটিতে আবারও জন রিডের সাথে ১০৪ রান তুলেন। এ জুটিই খেলার সর্বোচ্চ ছিল।[5]
অংশগ্রহণকৃত আট টেস্টে ২৬.৮০ গড়ে ৩৯৪ রান তুলেছিলেন তিনি। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি ও টেনিস খেলতেন এবং ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে সফলতা পেয়েছেন। তবে, সমগ্র জীবনে ক্রিকেটের দিকেই তার আগ্রহ ছিল সমধিক। তার বয়সী অন্যতম সেরা রহস্যময় খেলোয়াড় হিসেবে চিত্রিত হন। তার মাঝে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর ছিল ও তিনি কোন কিছুই দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেননি।[6] সর্বত্র ধারণা করা হয় যে, নিয়মানুবর্তীতার অভাবেই তিনি তার প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারেননি।[3]
২৪ এপ্রিল, ২০০০ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের ওয়াইকানেই এলাকায় জন বেকের দেহাবসান ঘটে। অকল্যান্ডে ১৯৫৬ সালে বিজয়ী দলের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদানের এক সপ্তাহ পর তার মৃত্যু হয়। তার আত্মার শান্তি কামনায় ছয়জন জীবিত খেলোয়াড় এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.