Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চন্দ্রিমা উদ্যান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি এখানে অবস্থিত। সমাধিকে কেন্দ্র করে এখানে সমাধি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই উদ্যানটি এবং লেকটি দেখতে আসেন। শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য এটি একটি উত্তম স্থান। ঢাকা শহরের উদ্যানগুলির মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান।
চন্দ্রিমা উদ্যান | |
---|---|
ধরন | উদ্ভিদ উদ্যান |
অবস্থান | শেরে বাংলানগর, বাংলাদেশ |
আয়তন | ৭৪ একর |
পরিচালিত | পরিবেশ ও বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ |
অবস্থা | সারা বছর খোলা |
বাজেট | ৳৩৫ কোটি |
প্রথম দিকে এই উদ্যানের নামকরণ করা হয়েছিল "চন্দ্রিমা উদ্যান"। এই নামকরণের প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু মতামতও পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, এখানে চন্দ্রিমা নামে একজনের বাড়ি ছিল, সেখান থেকেই এই নামের উৎপত্তি। আবার কারো কারো মতে, দক্ষিণপাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ক্রিসেন্ট লেকের সাথে মিল রেখে রাষ্ট্রপতি এরশাদ এর নাম চন্দ্রিমা উদ্যান রেখেছিলেন। দীর্ঘদিন একে গবাদিপশুর খামার, খাস জমি এবং চাষাবাদ জমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে এই স্থানে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সমাধিস্থ করা হয় এবং এলাকাটিকে পরিষ্কার করে দর্শণার্থীদের জন্য মনোরম স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর চন্দ্রিমা উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে একে জিয়া উদ্যান নামকরণ করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জিয়া উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে আবার চন্দ্রিমা উদ্যান করেছিল। পরে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটার নাম পরিবর্তন করে জিয়া উদ্যান নাম করে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার আবার নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রিমা উদ্যান রেখেছে। এখন এই স্থানটি কারো কাছে চন্দ্রিমা উদ্যান আবার কারো কাছে জিয়া উদ্যান নামে পরিচিত।[1]
চন্দ্রিমা উদ্যানটি শেরে বাংলা নগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। চন্দ্রিমা উদ্যানের দক্ষিণে জাতীয় সংসদ ভবন, উত্তরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও বাণিজ্য মেলার মাঠ, পশ্চিমে গণভবন এবং পূর্বে তেজগাঁও পুরানো বিমানবন্দর অবস্থিত। এটির অবস্থান । এ উদ্যানটি ৭৪ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি | |
---|---|
অবস্থান | শেরে বাংলানগর, বাংলাদেশ |
চন্দ্রিমা উদ্যান ও জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স দেশের একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। প্রতিদিন ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন এই সমাধি কমপ্লেক্স ও উদ্যান দেখার জন্য। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয় ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে। ৭৪ একর জমির সবুজ শ্যামলিমায় এর অবস্থান। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। সমাধির পূর্ব ও পশ্চিমে রয়েছে ক্যান্টিন, দক্ষিণে ঝুলন্ত সেতু, উত্তরে মেমোরিয়াল হল ও মসজিদ।
জিয়াউর রহমানের সমাধির দক্ষিণ পাশে ক্রিসেন্ট লেক অবস্থিত। এটি বাঁকা চাঁদের মত দেখতে বিধায় ক্রিসেন্ট লেক নাম রাখা হয়েছে। এটির দক্ষিণ পাশে চমৎকার করে সিঁঁড়ি তৈরি করা হয়েছে ও দর্শণার্থীদের বসার স্থান করা হয়েছে চারপাশজুড়ে। ভিতরে প্রবেশের জন্য লেকের মাঝখান দিয়ে তৈরি হয়েছে মনোরম সেতু। ক্রিসেন্ট লেকের মাঝে ঝুলন্ত সেতুর দুই পাশে দুটি ফোয়ারা রয়েছে। সন্ধ্যার পর ফোয়ারাগুলো চালু করা হলে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাওয়ার জন্য ক্রিসেন্ট লেকের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। নয়নাভিরাম ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদের স্থপতি লুই আই ক্যানের মাস্টারপ্ল্যান নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চন্দ্রিমা উদ্যানের আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। কাজের সময় প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বিস্তৃতিকে। ২০০৪ সালের ৭ই নভেম্বর ব্রিজটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ও প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাঁকা চাঁদ লেক বা ক্রিসেন্ট লেকের ওপর স্থাপিত হয়েছে এই সাসপেন্ডেড ব্রিজটি। এই সেতু সংসদ ভবনের উত্তর পাশ থেকে সমাধি পর্যন্ত জায়গাটিকে দিয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য। অর্ধচন্দ্রাকৃতির সেতুটি বিশেষত্ব হল বিশেষভাবে স্টিল হ্যাঙ্গারের ওপর তৈরি হয়েছে। দাঁড়িয়ে আছে সিঙ্গেল আরসিসি আর্চের ওপর। হ্যাঙ্গার পাইপ দিয়ে বিশেষ কৌশলে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ব্রিজের ওজন। আর্চটি ত্রিমাত্রিক কনক্রিট দিয়ে তৈরি। বিদেশিরা এটা করে থাকেন স্টিল দিয়ে। সেতুর পাটাতন বা ডেকে বসানো হয়েছে আধুনিক উন্নত মানের গ্লাস।
বিদেশ থেকে আমদানি করা ওই গ্লাসের নাম টেম্পারড গ্লাস। এর পুরুত্ব ৩১ মিলিমিটার। মাঝে ভিপিএফ দিয়ে দু’টি গ্লাস পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। হট ডিডপ গ্যালভানাইজিং স্টিল ফ্রেমের ওপর টেম্পারড গ্লাস বসানো। সেতুর কম্পন মাত্রা ৫ হার্জ, লাইভ লোড ১৪০ পিসিআই এবং ব্রিজের ওজন ১২০ টন। আর ব্রিজটি ওজন সইতে পারে ২০০ টনেরও বেশি। ব্রিজটির রেলিং তৈরি করা হয়েছে অ্যাসেস স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে। মাঝে আছে স্টিলের চিকন ক্যাবল। সেতুর নিচে স্থাপন করা হয়েছে ৩০টি বিশেষ ধরনের লাইট। পাটাতন থেকে রঙিন আলোর বিচ্ছুরণ সেতু পথটিকে আলোকময় রাস্তায় পরিণত করে। ঝুলন্ত সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব পাশে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ফোয়ারা। উপরের দিকে ধাবমান ফোয়ারার পানি আর সেতুর আর্চ মিলে চতুর্মাত্রিক আবহ সৃষ্টি করে এখানে আগতদের মনে। সেতুর গোড়ার দিকে মাটির নিচ থেকে নেমে এসেছে রঙিন পানির ঝর্ণা। সেতুর ওপরে মাঝখানে রয়েছে কৌণিক রঙিন আলোর বিচ্ছুরণ। দেশের প্রতিটি অন্ধকার কোণায় আলো ছড়িয়ে দেওয়াই এর মূল থিম।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ভোর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নিহত হন। পরদিন তার লাশ চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৭ মাইল দূরে রাঙ্গুনিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশে পাহাড়ের ঢালুতে দাফন করা হয়। সেখান থেকে ১লা জুন জিয়াউর রহমানের লাশ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। মানিক মিয়া এভিনিউতে ওই সময় স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা শেষে তৎকালীন চন্দ্রিমা উদ্যানে তার লাশ দাফন করা হয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে জিয়া উদ্যান হিসেবে নামকরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মূল সমাধির নকশা করেছিলেন প্রয়াত স্থপতি রাজিউল আহসান। সংসদ ভবনের সঙ্গে একই সরল রেখায় এর অবস্থান। সমগ্র উদ্যানের রাস্তা, অন্যান্য অবকাঠামো বিন্যস্ত হয়েছে এই সমাধির কেন্দ্র থেকেই। সমাধির পূূর্ব ও পশ্চিমে রয়েছে ক্যন্টিন, দক্ষিণে ঝুলন্ত সেতু, উত্তরে মেমোরিয়াল হল ও মসজিদ। সমাধিকে ঘিরে সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি হয়েছে ৩৬ ফুট ব্যাসের বেদি। মূল কবর এবং বেদির মাঝে বসানো হয়েছে কালো রংয়ের ট্রান্সপারেন্ট পাথর। বৃত্তাকার বেদির বাইরে চারপাশে মার্বেল পাথরে বসানো চত্বর। সমাধির ওপরে স্থাপন করা হয়েছে স্টিল ও গ্লাসের তৈরি স্বপ্নিল চাঁদোয়া ছাউনি যা ভূমি থেকে ৩৭ ফুট উচ্চতায় রয়েছে।সমাধির চারপাশের কনক্রিটের দেয়ালে সংযোজিত হয়েছে ট্রান্সপারেট ফেয়ার ফেস। যাকে বলা হয় ফেয়ার ফেস কনক্রিট ব্লক। বাইরের কনক্রিটের দেয়ালের ওপর হেলান দিয়ে আছে সবুজ ঘাসের সুশোভিত চত্বর। সমাধিতে প্রবেশের রাস্তা রয়েছে চারটি। উদ্যানের সুবিন্যস্ত রাস্তাগুলো আপন গন্তব্যে চলে গেছে এই চার রাস্তার উৎস থেকে। সব মিলিয়ে সমাধির অভ্যন্তরীণ আয়তন হচ্ছে ১৪ হাজার ৪০০ বর্গফুট।
সংসদ ভবনের উত্তর পাশের প্রধান ফটক থেকে একই সরল রেখায় ঝুলন্ত সেতু, সমাধির ছাউনির চূড়া এবং মসজিদের মিনারের কেন্দ্র। উদ্যানের উত্তর পাশে নির্মিতব্য দ্বিতল ভবনের উপর রয়েছে মসজিদ। ওই ভবনে রয়েছে বিশ্রামের জায়গা। নিচে আর্কাইভ ও গবেষণাগার, পাঠাগার ও ১০০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি সেমিনার হল। এটি ২০০৬ সালের ১৯শে মার্চ উদ্বোধন করেন তৎকালীন গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
চন্দ্রিমা উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম চত্বরে রয়েছে দু’টি সুশোভিত বাগান। তাতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুল আর পাতা বাহারের সমাহার। লাগানো হয়েছে দেশি-বিদেশি সবুজ ঘাস ও গাছগাছালি। বাগানে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছ। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গাছগুলো হচ্ছে, পাম গাছ, ঝাউ গাছ, আকাশিয়া গাছ, আম গাছ, কাঁঁঠাল গাছ, বকুল গাছ, ক্যাক্টাস, জারুল, খরখরিয়া, সাইকাস পাম, অ্যারাবিয়ান জেসমিন, কৃষ্ণচূড়া, আমলকি, হরিতকী, নিম, মেহগনি সহ নানা প্রকারের কড়ই ইত্যাদি।
বাগানের মধ্যে রয়েছে খোলা চত্বর, যা ওপেন থিয়েটার বা পথ নাটকের জন্য একটি আদর্শ স্থান। পূর্ব ও পশ্চিম অক্ষ বরাবর সুদৃশ্য দু’টি ল্যান্ডস্কেপের মাধ্যমে করা হয়েছে এই খোলা চত্বর। উদ্যানে যারা প্রাত্যহিক ভ্রমণ, বিশ্রাম বা সমাধি জিয়ারতের জন্য আসেন তাদের জন্য রাস্তাগুলো তৈরি রয়েছে আলাদাভাবে। এখানে টয়লেট, বিশ্রামাগার, ফাস্টফুডের দোকান, বসে বিশ্রাম নেয়ার জন্য চমৎকার সব বেঞ্চ রয়েছে। বসার স্থানগুলোয় সাদা পাথর বসানো হয়েছে। রোদ-বৃষ্টিতে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে ছাউনি। সমাধি কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় পুরো এলাকার নিরাপত্তা ও সাউন্ড সিস্টেম। রাস্তায় লাইট পোস্টের সঙ্গে রয়েছে গোপন সাউন্ড বক্স, যা এখানে আসা দর্শণার্থীদের জন্য এক নতুন চমক। বিভিন্ন সময় বক্সগুলোতে বাজানো হয় কোরআন তেলাওয়াত, দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি। এ ধরনের সাউন্ড বক্স সেতু ও সমাধির চারপাশেও সংযোজন করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের সমাধির পূর্ব ও পশ্চিম পাশের উদ্যানের ভেতরে আছে দু’টি পুকুর। এ দু’টি পুকুরকে সংস্কার করে দর্শনীয় করার জন্য শানবাঁধানো ঘাট করা হয়েছে। আগেই পুকুরের মাঝখান দিয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। ওই সময় প্রকৌশলীরা এগুলো অর্নামেন্টাল ব্রিজ বা অলঙ্কারিক সেতু হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রকৌশলীরা ওই সময় পুকুরগুলোকে ইলিপস বা ডিম্বাকৃতির রূপ দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পুকুরের ওপরের সেতুগুলো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি।
প্রতিদিন প্রভাত বেলা ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পযর্ন্ত এখানে চলে বিভিন্ন দলে, বিভিন্ন নামে ভাগ হয়ে গ্রুপ ভিত্তিক শরীরচর্চা। এখানে যে সব শরীরচর্চার গ্রুপ গুলো আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রুপ হচ্ছে প্রায় ১০০০ সদস্যের “চন্দ্রিমা ফিটনেস ক্লাব”, যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফিটনেস ক্লাব হিসাবে পরিচিত। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে শরীরচর্চাবিদ ওস্তাদ আমির হোসেনের আন্তরিক নিদের্শনার মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এক সাথে ৪০০ থেকে ৫০০ জন লোক নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করেন এই ক্লাবে। যেখানে দেশের সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চালের আড়তদার পর্যন্ত সবাই এক কাতারে, একই সাথে শরীরচর্চা করে থাকেন। এই ক্লাবের একটি আলোচিত শ্লোগান হলো “সকাল বেলার হাওয়া, কোটি টাকার দাওয়াহ্”। এছাড়া ইন্সট্রাক্টর সেলিমের নির্দেশনায় “শুভ্র সকাল” প্রায় ১০০ সদস্যকে শরীরর্চচা করায়। এছাড়া ছোট ছোট দল গুলোর মধ্যে “ভোরের শিশির”, “বন্ধন ফিটনেস ক্লাব”, “প্রভাতে চন্দ্রিমা”, “ভোরের শিশির ফিটনেস ক্লাব”, “চন্দ্রিমা আলাপন ফিটনেস ক্লাব” উল্লেখযোগ্য। প্রতি শুক্রবার টাকার বিনিময়ে শরীরর্চচা ও কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে “ডায়মন্ড মার্শাল আর্ট ট্রেনিং সেন্টার”। এছাড়া আছে বাচ্চাদের স্কেটিং শেখার সুব্যবস্থা।
চন্দ্রিমা উদ্যানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ত্বে রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনটি বিভাগের উপর পার্কের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রয়েছে।
পার্কের বিভিন্ন বিষয় তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন একজন কার্য সহকারী। ১০ জন মালি উদ্যানটির গাছপালা পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করছেন। তারা পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাদের বেতন স্কেল হল ৪১০০ টাকা। শাখা অফিসারের মাধ্যমে তারা বেতন পেয়ে থাকেন।
উদ্যানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছেন ২২ জন আনসারের একটি দল এবং কিছু পুলিশ সদস্য। আনসাররা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছেন। তারা তিনটি শিফটে ভাগ হয়ে তাদের দায়িত্ত্ব পালন করেন। তাদের প্রধান দায়িত্ব হল উদ্যানের নিরাপত্তার দিকটি দেখাশোনা করা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত রাখা। উদ্যানের পশ্চিমপ্রান্তে ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন, তবে তাদের প্রধান দায়িত্ব হল গণভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। উদ্যানের নিরাপত্তার বিষয়ে তারা আনসার সদস্যদের সহায়তা দিয়ে থাকেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.