Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঘোড়াশাল হলো বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পৌরসভা। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, জনসংখ্যা ছিল ৭৪৮ জন, যার মধ্যে ২০৩টি পরিবার ছিল। [1] এই শহরেই বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থান, যেটি ১৯৭৪ সালে উৎপাদন শুরু করে। [2]
ঘোড়াশাল পৌরসভা | |
---|---|
স্থানীয় সরকার | |
ইতিহাস | |
শুরু | ২০ অক্টোবর ১৯৯৮ |
নেতৃত্ব | |
মোঃ আল মুজাহিদ হোসেন (তুষার) মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ | |
নির্বাচন | |
এফ.পি.টি.পি. | |
সভাস্থল | |
ঘোড়াশাল পৌরসভা কার্যালয় | |
ওয়েবসাইট | |
ghorashalpourashava |
ঘোড়াশাল | |
---|---|
বাংলাদেশে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.৯৩৩৩° উত্তর ৯০.৬৩৩৩° পূর্ব |
দিল্লির সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে এই এলাকার টেকপাড়ায় শেখ গোলাম মোহাম্মদ নামে এক ক্ষমতাধর বিচক্ষণ ব্যক্তি বাস করতেন। দিল্লির রাজদরবারেও তার নাম সুপরিচিত ছিল। শেখ গোলাম মোহাম্মদ ছিলেন ওই সময়ের একজন ক্ষমতাধর বিচক্ষণ ব্যক্তি। তার বিচক্ষণতায় জমিদার শরিফ খানের বিরুদ্ধে রাজদরবারের একটি গুরুতর অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন দিল্লির রাজদরবার। শেখ গোলাম মোহাম্মদের বুদ্ধিমত্ত্বায় সম্রাট আওরঙ্গজেব খুশি হলেন।
এর পুরস্কার হিসেবে শেখ গোলাম মোহাম্মদকে দিলেন সুদর্শন একটি ঘোড়া। সঙ্গে উপহার দিলেন আরও একটি শাল। ঘোড়া আর শাল এই দুইয়ে এই এলাকার নামকরণ হয় ঘোড়াশাল।
মূল ঘটনা
ইতিহাসের বর্ণনা থেকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছর আগের কথা। ওই সময় ঈশা খাঁর বংশধর শরিফ খান শরিফপুরের জমিদার ছিলেন। শরিফ খান জমিদার হলেও একজন স্বাধীন নরপতি ছিলেন। কর পাওয়া ছাড়া জমিদারির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মোগল সম্রাটের হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার ছিল না। শরিফ খানের প্রজা মোহাম্মদ রফির পুত্র জমিদার শরিফ খানের বিরুদ্ধে দিল্লির রাজদরবারে এক গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের বিচারকে কেন্দ্র করে জমিদার শরিফ খানের সঙ্গে দিল্লির রাজদরবারের চরম বিরোধ দেখা দেয়। দিল্লির সম্রাটের লিখিত ফরমানে শেখ গোলাম মোহাম্মদ উক্ত বিবাদ নিষ্পতি করে দিল্লির সম্রাটের সঙ্গে শরিফ খানের সন্ধি করিয়ে দেন। শেখ গোলাম মোহাম্মদের এ কার্যতৎপরতা ও বিচক্ষণতায় সম্রাট আওরঙ্গজেব ও জমিদার শরিফ খান উভয় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন। তখন এ কাজের পুরস্কার স্বরূপ সম্রাট আওরঙ্গজেব ঘোড়া ও মূল্যবান শাল উপহার দেন শেখ গোলাম মোহাম্মদকে। জমিদার শরিফ খান ও স্বীয়পালিত কন্যা চাঁদ বিবিকে শেখ গোলাম মোহাম্মদের দ্বিতীয় পুত্র শেখ গোলাম নবীর সঙ্গে বিয়ে দেন এবং উপহার স্বরূপ চরপাড়া, টেকপাড়া, টেঙ্গরপাড়া, বিনাটি, করতেতৈল, রাজাব ও চামড়াব নামে ক্ষুদ্র পল্লীগুলো প্রদান করেন।
ঘোড়াশাল নামকরণের ইতিহাস
সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রদত্ত ঘোড়া এবং শাল দেখার জন্য দলে দলে লোকের শেখ গোলাম মোহাম্মদের বাড়িতে আসা শুরু হয়। তাদেরকে "কোথায় যাও ?" প্রশ্ন করা হলে তারা বলতো ঘোড়া ও শাল দেখতে যাই। সেই থেকে শেখ গোলাম মোহাম্মদের বাস গ্রাম ও অত্র অঞ্চল ঘোড়াশাল নামে পরিচিত হতে থাকে।
ঘোড়াশাল পৌরসভা ২০ অক্টোবর ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়।
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটির আয়তন ২৭.৫ বর্গকিলোমিটার। এখানে ১ লাখ ১২ হাজার লোকের বাস। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩শ' জন। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত ঘোড়াশাল শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত।
ক্রমিক | নাম | নেতৃত্বকাল | মেয়াদ কাল |
---|---|---|---|
১ | মোঃ ইলিয়াস মৃধা | ২ বার | ১৯৯৪ - ২০০৮ |
২ | মোঃ শরিফুল হক (শরিফ) | ৩ বার | ২০০৯ - ২০২১ |
৩ | মোঃ আল মুজাহিদ হোসেন (তুষার) | ১ বার | ২০২২ - বর্তমান |
শিক্ষার হার : ৭৯%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.