Loading AI tools
নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গ্রান্ট ডেভিড এলিয়ট (ইংরেজি: Grant Elliott; জন্ম: ২১ মার্চ, ১৯৭৯) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে সকল স্তরের ক্রিকেটে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভকারী গ্রান্ট এলিয়ট। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস দলের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্রান্ট ডেভিড এলিয়ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহানেসবার্গ, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২১ মার্চ ১৯৭৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | শান্ট, ম্যাজিক, হেইরি জ্যাভলিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট, মাঝে-মধ্যে অফ স্পিন ও লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৬) | ২২ মার্চ ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫০) | ১৮ জুন ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৮৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৩৬) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৩০ মার্চ ২০১৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭ | ট্রান্সভাল বি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯, ২০০১-০২ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯-২০০১ | গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫-বর্তমান | ওয়েলিংটন (জার্সি নং ৪৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | সেন্ট লুসিয়া জোউকস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | চিটাগাং ভাইকিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭-বর্তমান | লাহোর কালান্দার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৭-বর্তমান | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ৩ এপ্রিল ২০১৭ |
দক্ষিণ আফ্রিকান প্লাস্টিক সার্জনের সন্তান তিনি। সেন্ট স্টিথিয়ান্স কলেজে অধ্যয়ন করেন এলিয়ট।[1] এ কলেজ থেকেই মাইকেল লাম্ব, রয় পাইনার, ডেভিড তারব্রুগ, ডেভ রান্ডল ও কাগিসো রাবাদা’র ন্যায় খ্যাতনামা ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে গটেংয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গটেংয়ের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। খেলায় তিনি মূল্যবান ৬৭ রান তুলেছিলেন। দলের অধিনায়ক ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন রাদারফোর্ডের পরামর্শক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোটা প্রথায় তার অংশগ্রহণের সম্ভাবনার দ্বার রুদ্ধের বিষয়ে ২০০১ সালে নিজ জন্মভূমি জোহেন্সবার্গ ত্যাগ করেন।[2]
দক্ষিণ আফ্রিকা এ-দলের পক্ষে ভারতের এ-দলের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর ২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।
২০০৮ সালের প্রথমদিকে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে জ্যাকব ওরামের পরিবর্তে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।[3] একই দলের বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। খেলায় তিন উইকেট লাভ করেন তিনি। দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে তিনি তার প্রথম ওডিআই অর্ধ-শতক লাভ করেন।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি লাভ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায়ও তিনি বেশ ভালো করেন। ওয়ান্ডারার্সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার উইকেট নিয়ে দলকে সেমি-ফাইনালের পথে নিয়ে যান। এরপর ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপসদের পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় এনে দেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের পূর্বে ২০১৪-১৫ মৌসুমে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় ওডিআই সেঞ্চুরি করেন। দলের সংগ্রহ ৯৩/৫ থাকাবস্থায় লুক রঙ্কি’র সাথে জুটি গড়ে দলকে পুরো ৫০ ওভারে ৩৬০ রানে নিয়ে যান। এ সময় তারা অনেকগুলো রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। তারা একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে (২৬৭*) সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন।[4]
২০১৫ বিশ্বকাপে টেলরের অর্জনসমূহ | ||||
---|---|---|---|---|
রান/বোলিং | প্রতিপক্ষ | স্থান | তারিখ | ফলাফল |
২৯, ০/১১ | শ্রীলঙ্কা | ক্রাইস্টচার্চ | ১৪ ফেব্রুয়ারি | জয় |
২৯, ০/১১ | স্কটল্যান্ড | ডুনেডিন | ১৭ ফেব্রুয়ারি | জয় |
- | ইংল্যান্ড | ওয়েলিংটন | ২০ ফেব্রুয়ারি | জয় |
০ | অস্ট্রেলিয়া | অকল্যান্ড | ২৮ ফেব্রুয়ারি | জয় |
১৯, ০/১০ | আফগানিস্তান | নেপিয়ার | ৮ মার্চ | জয় |
৩৯, ২/২৭ | বাংলাদেশ | হ্যামিল্টন | ১৩ মার্চ | জয় |
২৭ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ওয়েলিংটন | ২১ মার্চ | জয় |
৮৪*, ০/৯ | দক্ষিণ আফ্রিকা | অকল্যান্ড | ২৪ মার্চ | জয় |
৮৩ | অস্ট্রেলিয়া | মেলবোর্ন | ২৯ মার্চ | পরাজয় |
২০১৩ সালে কোন একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেননি এলিয়ট। তারপরও সকলকে আশ্চর্যান্বিত করে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।[5] প্রথম সেমি-ফাইনালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ৮৪* রান তোলেন। ডেল স্টেইনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছাতে সহায়তা করেন তিনি।[6][7] খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[8] ২৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় অপর স্বাগতিক দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের সর্বোচ্চ ৮৩ রান তুললেও পরাজিত হয় তার দল।[9]
২০০৮ সালে সারে চ্যাম্পিয়নশীপে ওয়েব্রিজ সিসি’র পক্ষে খেলেন। বাজ ক্রিকেট ব্যাটের নির্মাতা তিনি। তিনিসহ ডোয়েন বাউডেন, মার্ক হাটন, লেইটন মর্গ্যান, ক্রিস নেভিন ও লুক উডকক এটি ব্যবহার করেছেন।[2] তন্মধ্যে, প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এ ব্যাট নিয়ে লুক উডকক ২২০ রান তোলেন।
বিশ্বকাপ শেষে ২০১৬ সালে তাকে টুয়েন্টি২০ দলে রাখা হয়। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলা চলাকালীন বাহুতে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। আঘাতের পর ২০১০ সালের এইচআরভি কাপের খেলা সম্প্রচারের লক্ষ্যে স্কাই স্পোর্টসে অংশ নিয়ে আসছেন। অতঃপর, মার্চ, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন এলিয়ট।[10] ব্যবসায়িক উন্নয়ন ব্যবস্থাপক পদে খণ্ডকালীন কাজ করছেন তিনি।[11]
নং | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | ইংল্যান্ড | ওয়ান্ডেরার্স, জোহেন্সবার্গ | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ | ৮-০-৩১-৪; ১ ক্যাচ; ৩ (১১ বল) | নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে বিজয়ী[12] |
২ | শ্রীলঙ্কা | ইউনিভার্সিটি ওভাল, ডুনেডিন | ২৩ জানুয়ারি, ২০১৫ | ১০৪* (৯৬ বল: ৭x৪, ২x৬); ৯-০-৪২-২ | নিউজিল্যান্ড ১০৮ রানে বিজয়ী[13] |
৩ | পাকিস্তান | ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়াম, ওয়েলিংটন | ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ | ৪.৩-০-২৬-৩; ৬৪* (৬৮ বল: ৮x৪) | নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে বিজয়ী[14] |
৪ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড | ২৪ মার্চ, ২০১৫ | ১-০-৯-০; ৮৪* (৭৩ বল: ৭x৪, ৩x৬) | নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল)[15] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.