Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ - ১৬ মার্চ ২০১১) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ছিলেন।[১] তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ষষ্ঠ মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা-১ ও মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর) আসন থেকে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। [২] ভাষা আন্দোলনে ভূমিকার জন্য ২০০৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।[৩]
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন | |
---|---|
বিএনপির মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ – ১৬ মার্চ ২০১১ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া |
উত্তরসূরী | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর |
ঢাকা-১ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | আবু মোহাম্মদ সাইদুর রহমান |
উত্তরসূরী | সিদ্দিকুর রহমান |
মানিকগঞ্জ-১ আসন আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | সিদ্দিকুর রহমান |
উত্তরসূরী | এবিএম আনোয়ারুল হক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ মানিকগঞ্জ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি |
মৃত্যু | ১৬ মার্চ ২০১১ ৭৮) মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর | (বয়স
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | সাহেরা হোসেন (জন্ম:১৯৪২-মৃত্যু: ২ মে ২০১৭) |
সন্তান | চার ছেলে ও দুই মেয়ে |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০০৫) |
দেলোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামে। তার পিতা খোন্দকার আবদুল হামিদ ছিলেন একজন আলেম এবং মাতা আকতারা খাতুন। তিনি মানিকগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ১৯৪৭ সালে প্রবেশিকা ও মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে আইএ পাস করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে (বিএ) অনার্স ও ১৯৫৩ সালে (এমএ) মাস্টার্স পাস করে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][৩][৪]
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ১৯৫২ সালে তিনি বাংলা ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। সিলেটের মুরারী চাঁদ কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করে পরে মানিকগঞ্জ মহকুমা আদালতে আইন পেশায় যোগদেন।[১]
১৯৫৭ সালে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৬৫ সালে পার্টির মানিকগঞ্জ মহকুমা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হয়ে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর মানিকগঞ্জে বিপ্লবী কম্যান্ড কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল গঠিত হলে তিনি যোগ দেন এবং দলের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৯ সালে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বৈরাচারী শাসন বিরোধী আন্দোলনে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
তিনি ঢাকা-১ (ঘিওর-দৌলতপুর) আসন থেকে ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫] এর পর মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর) আসন থেকে ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৬][৭][৮][৯] একাধিকবার তিনি চিফ হুইপ ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন ও দুই মেয়াদে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাপতি এবং বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সদস্য ছিলেন।[১][১০] ভাষা আন্দোলনে ভূমিকার জন্য ২০০৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।[৪] তিনি ২০০৭ সাল থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[২][৩]
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[১][২][১১]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.