Loading AI tools
বেলজীয় ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কেভিন ডে ব্রুইন একজন বেলজিয়ান পেশাদার ফুটবলার। তিনি বেলজিয়াম জাতীয় ফুটবল দল এবং ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড়। তিনি ব্যাপকভাবে তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন।[1]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেভিন ডে ব্রুইন | ||
জন্ম | ২৮ জুন ১৯৯১ | ||
জন্ম স্থান | ড্রঙ্গেন , বেলজিয়াম | ||
উচ্চতা | ১.৮১ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | এটাকিং মিডফিল্ডার / সেন্টার মিডফিল্ডার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব | ||
জার্সি নম্বর | ১৭ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৮–২০১১ | কেআরসি জেঙ্ক | ১১৩ | (১৭) |
২০১২-২০১৩ | এসভি ওয়ের্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | (১০) |
২০১৩-২০১৪ | চেলসি ফুটবল ক্লাব | ৯ | (০) |
২০১৪-২০১৫ | ভিএফএল ভলফসবুর্গ | ৭৩ | (২০) |
২০১৬–বর্তমান | ম্যানচেস্টার সিটি | ৩৭২ | (১০০) |
জাতীয় দল | |||
২০০৮-২০০৯ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-১৮ | ৭ | (১) |
২০০৯-২০১০ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-১৯ | ১০ | (১) |
২০১০-২০১১ | বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব-২১ | ২ | (০) |
২০১০- | বেলজিয়াম | ৯৯ | (২৬) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
কেভিন ডে ব্রুইন ২০০৩ সালে তার স্থানীয় ক্লাব কেভিভি ড্রঙ্গেনে যোগ দেয়। ২ বছর পর কে.এ.এ গেন্ট ক্লাবের যুবদলে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ক্লাবের ১ম একাদশে সুযোগ পায়।
৩ মে ২০০৯ সালের কেভিন ডে ব্রুইন শেঙ্কের হয়ে অভিষেক ম্যাচে চারয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় লাভ করে। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে ক্লাবের হয়ে ১ম গোল করেন। ২৯ অক্টোবর ২০১১ সালে ক্লাব ব্রুইজের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন।
২০১২ সালের ৩১ জানুয়ার শীতকালীন দলবদলের শেষদিনে ৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময় চেলসিতে যোগ দেন।[2][3] চেলসির সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেন।[4] চেলসিতে আসা প্রসঙ্গে ক্লাবের ওয়েবসাইটকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "চেলসির মত একটি দলে আসা আমার কাছে স্বপ্নের মত কিন্তু এখন আমার লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আরও পরিশ্রম করতে হবে।" ১৮ জানুয়ারি ২০১২ সালে মেজর লিগ সকারের দল সেয়ার্টেল সাউন্ডার্স এফসি'র বিপক্ষে চেলসির হয়ে অভিষেক হয়, ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতে নেয় চেলসি। ডে ব্রুইন নিউইয়র্কের ইয়ানকে স্টেডিয়ামে ফ্রেঞ্চ লিগের জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই' এর বিপক্ষেও প্রথমার্থে খেলেন।
২০১২ সালের ২ আগস্ট চেলসি থেকে লোনে জার্মান ক্লাব অয়েডার ব্রেমেন আসে কেভিন[5]। ১৫ সেপ্টেম্বর দলের হয়ে ১ম গোল করেন। অয়েডার ব্রেমেনের হয়ে চমৎকার ফর্মে ছিলেন তিনি। ১৫ সেপ্টেম্বরে ডে ব্রুইন হ্যানোভারের বিপক্ষে ১১ গজ দুর থেকে একটি গোল করেন, ম্যাচটি ৩-২ গোলে হেরে যায় অয়েডার ব্রেমেন[6]। ১৮ নভেম্বরে এর পরবর্তি ম্যাচে ভিএফবি স্টুর্টগার্টের সাথে ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে কেভিন ডে ব্রুইন একটি গোল করেন[7]।
২০১৩ সালের ৪ মে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে একটি গোল করেন, ম্যাচটিতে উলসবার্গকে ৬-১ গোলে হারায় বায়ার্ন মিউনিখ।
লোনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডে ব্রুইন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড অথবা বেয়ার লেভারকুসেনে যোগ দিয়ে জার্মানিতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে চেলসির তৎকালীন নতুন কোচ হোসে মরিনহো চেলসিকে নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য ডে ব্রুইন এর প্রয়োজন অনুভব করেন, ফলে ২০১৩ সালের ১ জুলাই ডে ব্রুইন চেলসি'তে ফিরে আসে[8]।
মালয়েশিয়া একাদশের বিপক্ষে চেলসির প্রাক- মৌসুম প্রস্তুতিতে ডে ব্রুইন চেলসির হয়ে প্রথম গোল দেয়ার সময় ইনজুরড হন।[9] তবে ২০১৩-১৪ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে হাল সিটির বিপক্ষে খেলেন এবং একটি এসিস্ট করেন, ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে চেলসি[10]।
২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ১৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময় চেলসি থেকে উলসবার্গে যোগ দেন।[11] উলসবার্গের হয়ে খেলার সময় বড় ক্লাবগুলোর নজরে পরেন।
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারিতে হেনোভারের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক হয়, ম্যাচটি ৩-১ গোলে হেরে যায় উলসবার্গ। ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিলে ২ টি এসিস্ট করে দলকে এফসি নুরেম্বার্গের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জেতায়।[12] এর এক সপ্তাহ পর হ্যামবার্গারের বিপক্ষে প্রথম গোল দেন, ম্যাচটি ৩-১ গোলে জেতে উলসবার্গ।
ডে ব্রুইন ২০১৪ সালের ২ অক্টোবরে ইউরোপা লিগে লিলি'র বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম গোল দেন, ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়।[13] ২৩ অক্টোবরে গ্রুপের ৩য় ম্যাচে ডে ব্রুইন জোড়া গোল দিয়ে দলকে ৪-২ গোলে জেতান। ২০১৫ সালের ১ মার্চে ডে ব্রুইনের দেয়া ৩ টি এসিস্টের সাহায্যে তার সাবেক ক্লাব অয়েডার ব্রেমেনকে ৫-৩ গোলে হারায় উলসবার্গ।[14]
২০১৫ সালের ১২ মার্চে ইউরোপা লিগে নক-আউট পর্বের প্রথম লেগে ইন্টার মিলানকে ৩-১ গোলে হারায় উলসবার্গ, ম্যাচটিতে ডে ব্রুইন জোড়া গোল দেয়।[15] ১৫ মার্চে ডে ব্রুইনের ১ টি গোল এবং ১ টি এসিস্টের সহায়তায় ফেইবার্গকে ৩-০ গোলে হারায় উলসবার্গ।[16]
মৌসুম শেষে ডে ব্রুইন বুন্দেসলিগায় ১০ টি গোল এবং ২১ টি এসিস্ট করেন, যা উলসবার্গকে বুন্দেসলিগায় ২য় এবং ২০১৫-১৬ উয়েফা চ্যাম্পিয়েস লিগে জায়গা পেতে বড় অবদান রাখে।[17] ২০১৫ সালের ৩০ মে ২০১৫ ডিএফবি-পোকাল কাপ ফাইনালে গোল করেন, ম্যাচটিতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ৩-১ গোলে জয়লাভ করে উলসবার্গ।[18]
২০১৫ সালের ডিএফএল সুপার কাপের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচে ডে ব্রুইনের দেয়া পাসে গোল দিয়ে নিকোলাস বেন্টনার ৮৯ মিনিটে ১-১ সমতা আনেন, পরে ট্রাইব্রেকারে ডে ব্রুইনের গোলসহ ৫-৪ গোলে ম্যাচ জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে উলসবার্গ।[19] ২০১৫ সালের ৮ আগস্টে মৌসুমে নিজের প্রথম গোল করেন এবং দুইটি এসিস্ট করেন, পোকাল কাপের এই ম্যাচটিতে স্টূর্টগার্টার কিকার্সের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়লাভ করে উলসবার্গ।
২০১৫ সালের ৩০ আগস্টে ৬ বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেয় ব্রুইন, তাকে দলে ভেড়াতে ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে ম্যান সিটি, যা ব্রিটিশ ফুটবল ইতিহাসের ২য় সর্বোচ্চ অঙ্কের দলবদল।[20] ১২ সেপ্টেম্বরে প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে, ঐ ম্যাচে ২৫ মিনিটে সার্জিও আগুয়েরো ইনজুরিতে পড়ে ফলে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কেভিন ডে ব্রুইন।[21] ১৯ সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে প্রথম গোল দেন, সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।[22]
২ অক্টোবর ফিফা ব্যালন ডি'অর পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক তালিকায় মনোনীত হন, তার সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরো এবং ইয়াইয়া তুরে সেই তালিকায় ছিলো। এর ১৮ দিন পর, ২০ অক্টোবর ফিফা ব্যালন ডি'অর তালিকায় সেরা ২৩ জনের তালিকায় জায়গা পান।[23][24]
২১ অক্টোবরে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শেষদিকে অতিরিক্ত মিনিটে গোল দিয়ে দলকে জেতান।[25]
১ ডিসেম্বরে তার দেয়া গোলের সাহায্যে ফুটবল লিগ কাপে হাল সিটিকে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যাবধানে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি।
২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারিতে লিগ কাপের সেমিফাইনালে ডে ব্রুইনের দেয়া একটি গোলের সাহায্যে এভারটনকে ৩-১ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি, কিন্তু ইনজুরিতে পড়ে ২ মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান তিনি।
১২ এপ্রিলে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই এর বিপক্ষে জয়সূচক গোল দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ করে।[26] ডে ব্রুইন ২০১৬ সালের ৮ মে আর্সেনালের বিপক্ষে পরবর্তী গোল করেন, ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।[27]
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে ডে ব্রুইন মৌসুমের প্রথম ম্যানচেস্টার ডার্বিতে একটি গোল এবং এসিস্ট দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে জেতান এবং ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।[28]
১ নভেম্বরে চ্যাম্পিয়েন্স লিগে ডে ব্রুইনের ফ্রি কিক থেকে দেয়া একটি গোলের সাহায্যে বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি।
২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৌসুমের ১ম গোল করেন, ম্যাচটিতে চেলসির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পায় ম্যানসিটি। সিটির হয়ে সেই মৌসুমে ১ম লিগ শিরোপা অর্জন করেন তিনি। ২২ জানুয়ারিতে ডে ব্রুইন সিটির সাথে চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত নবায়ন করেন।
কেভিন ডে ব্রুইনের মা একজন ইংরেজ, তবে তিনি আফ্রিকার বুরুন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইংল্যান্ডেই চলে আসেন, সেজন্য গুজব ওঠে কেভিন ডে ব্রুইন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলবে।
ডে ব্রুইন বেলজিয়াম অনূর্ধ্ব- ১৮, অনূর্ধ্ব- ১৯, অনূর্ধ্ব- ২১ দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০১০ সালের ১১ আগস্ট ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়, ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরে যায় বেলজিয়াম।[29]
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আলজেরিয়ার বিপক্ষে একটি এসিস্ট করেন এবং ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন।[30] কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর তারা ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছিল।[31]
২০১৪ সালের ১০ অক্টোবরে উয়েফা ইউরো ২০১৬ বাছাইপর্বে ডে ব্রুইনার দেয়া জোড়া গোলের সাহায্যে এন্ডোরাকে ৬-০ গোলে হারায় বেলজিয়াম। ২০১৬ সালের জুনে ডে ব্রুইন উয়েফা ইউরো কাপে খেলেন।[32]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.