Loading AI tools
কুষ্টিয়া জেলার সরকারি কলেজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত একটি স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[১][২]
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি |
---|---|
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৯৬৬ |
অধ্যক্ষ | এ.কে.এম. জামালউদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) |
ঠিকানা | জেলখানা মোড় , , ২৩.৮৯৫৩৮০৩° উত্তর ৮৯.১২৪৮২৫০° পূর্ব, |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ৪.৬ একর (১৯,০০০ মি২) |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | kmc |
অন্যান্য অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়ার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ ও নেতৃবৃন্দ মেয়েদের জন্য একটি স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক গণসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এমতাবস্থায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রফিকুল হক, তৎকালীন জেলা প্রশাসক আজিজুল জলিল এবং মুহা. আব্দুর রহিম সিনিয়র অ্যাডভোকেট (প্রাক্তন সংসদ সদস্য), কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও উপাধ্যক্ষ সি.এম.জি জাকারিয়া প্রমুখের সহযোগিতায় ১৯৬৬ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানরূপে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ স্থাপিত হয়। সমসাময়িক ছাত্রীদের লেখাপড়া চালু রাখার প্রয়োজনে নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক সংলগ্ন রাম-রতন-শাহ আলম চত্বরের উত্তর দিকে পুরনো বাড়ি রিকুইজিশনের মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে নামমাত্র ভাড়া নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বাড়িটি দীর্ঘদিন যাবৎ জয়েন্ট ডেপুটি কমিশনারের রাজস্ব অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।[২]
প্রাথমিক অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান ও মানবিক) এবং ডিগ্রি কোর্স চালুর মধ্য দিয়ে কলেজের ক্লাস শুরু হয়। সিএমজি জাকারিয়া প্রথম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন এবং উপাধ্যক্ষ ছিলেন ফিরোজা বেগম। এ সময় কলেজকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে আনার ব্যাপারে বিভিন্ন মহল সাড়া দেয়। এজন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কলেজ উন্নয়ন প্রকল্প ১৯৬৪-১৯৬৮ এর আওতায় কুষ্টিয়া শহরের বর্তমান স্থানে ৪.৬০ একর জমির ওপর ১৯৬৭ সালে কলেজটি স্থাপিত হয়।[২]
এখানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অফিস, ছাত্রী হোস্টেল, লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়। ১৯৯৮-১৯৯৯ অর্থবছরে প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের সহযোগিতায় কলেজটির চারদিকে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।[২]
১৯৭৯ সালের ৭ মে কলেজ সরকারিকরণ হলে নামকরণ করা হয় কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ। ১৯৯৬ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় বিজ্ঞান বিভাগ নির্মাণোত্তর সময়ে ক্লাসগুলো জাকারিয়া ভবন, বিজ্ঞান ভবন ও কলাভবনে নেওয়া হয়। ওই সময় থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর শিক্ষাবোর্ড ও অন্যান্য অফিশিয়াল প্রমাণপত্রে কলেজের নামকরণ হয় কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ।[২]
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় চালু রয়েছে।[২]
২০০৩ সাল থেকে একাদশ শ্রেণিতে ওয়েবসাইটভিত্তিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কলেজটিকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং অর্থনীতি বিভাগের অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে ৭টি বিষয়ে অনার্স কোর্স ও তিনটি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চলমান রয়েছে। কলেজের লাইব্রেরি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ছাত্রীদের থাকার জন্য রয়েছে তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস ও বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাস। কলেজটিতে রয়েছে সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, চিঠিপত্র, বিজ্ঞপ্তি, রেজাল্ট তথা যাবতীয় বিষয়কে অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। পড়ালেখার মান যাচাইয়ের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েকবার কলেজটিকে পুরস্কৃত করেছে। কলেজে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ, মুজিব উদ্যান, বঙ্গমাতা প্রমীলা ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও শেখ রাসেল পার্ক।[২]
কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩টি বিষয়, ০৪ ধরনের ডিগ্রি কোর্স এবং ০৯টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে।[৩]
ডিগ্রি | নং | বিষয় |
---|---|---|
উচ্চ মাধ্যমিক | ০১ | বিজ্ঞান |
০২ | মানবিক | |
০৩ | ব্যবসায় শিক্ষা | |
পাস | ০৪ | বি.এ |
০৫ | বি.এস.এস | |
০৬ | বি.এস.সি | |
০৭ | বি.বি.এস | |
অনার্স | ০৮ | বাংলা |
০৯ | ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | |
১০ | গণিত | |
১১ | রাষ্ট্র বিজ্ঞান | |
১২ | অর্থনীতি | |
১৩ | হিসাববিজ্ঞান | |
১৪ | ব্যবস্থাপনা | |
১৫ | ভূগোল এবং পরিবেশ | |
১৬ | সমাজ বিজ্ঞান |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.