কালীপূজা
হিন্দু উৎসব উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কালীপূজা বা শ্যামাপূজা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে উদ্ভূত একটি উৎসব, যা হিন্দু দেবী কালীকে উৎসর্গ করা হয়। এটি হিন্দু পঞ্জিকার অশ্বযুজা মাসের বা কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যা পালিত হয়।[১] উৎসবটি বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, মিথিলা, বিহার, ওড়িশা, আসাম এবং ত্রিপুরার মতো অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় ।
এ দিন দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। এটি দীপাবলি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসুপ্তিকা এবং যক্ষরাত্রি নামেও অভিহিত হয়।[২] সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই দিন লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বাঙালি, অসমীয়া ও ওড়িয়ারা এই দিন কালীপূজা করে থাকেন।[৩] এছাড়া মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে রটন্তী এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালীপূজাও যথেষ্ট জনপ্রিয়।[৪]
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
চামুণ্ডাচর্চিকা কালীর পূজা বাংলা ও বহির্বঙ্গে প্রাচীন উৎসব হলেও বর্তমান আকারে কালীপূজা আধুনিক কালের।[৫] ষোড়শ শতাব্দীতে নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ স্মার্ত পণ্ডিত তথা নব্যস্মৃতির স্রষ্টা রঘুনন্দন দীপান্বিতা অমাবস্যায় লক্ষ্মীপূজার বিধান দিলেও, কালীপূজার উল্লেখ করেননি।[৫] ১৭৬৮ সালে রচিত কাশীনাথের কালী সপর্যাসবিধি গ্রন্থে দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপূজার বিধান পাওয়া যায়। ডঃ শশীভূষণ দাশগুপ্তের মতে,
“কাশীনাথ এই গ্রন্থে কালীপূজার পক্ষে যে ভাবে যুক্তিতর্কের অবতারণা করিয়াছেন, তাহা দেখিলেই মনে হয়, কালীপূজা তখনও পর্যন্ত বাঙলা দেশে সুগৃহীত ছিল না।”
[৬] তবে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলায় কালীপূজার প্রচলনের কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।[৫] সপ্তদশ শতকের নবদ্বীপের প্রথিতযশা তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়।[৫][৭] তাঁর পূর্বে কালী উপাসকগণ তাম্রটাটে ইষ্টদেবীর যন্ত্র এঁকে বা খোদাই করে পূজা করতেন।[৫] পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,
“কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বয়ং কালীমূর্তি গড়িয়া পূজা করিতেন। আগমবাগীশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া বাংলার সাধক সমাজ অনেকদিন চলেন নাই; লোকে ‘আগমবাগিশী’ কাণ্ড বলিয়া তাঁহার পদ্ধতিকে উপেক্ষা করিত।”
[৮] অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন।[৩] বলা হয় :
"নবদ্বীপের বৈষ্ণবীয় রাসের পর্বান্তর ঘটে নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে। তাঁরই উৎসাহে নবদ্বীপের খ্যাতনামা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা রাস পূর্ণিমায় মূর্তি গড়ে শক্তিপুজো শুরু করেন। তিনি ঘোষণা করেন, যিনি ঘটের বদলে মাটির মূর্তি গড়ে পুজো করবেন, তিনি রাজানুগ্রহ পাবেন। তাঁর এই ঘোষণায় প্রথম সাড়া দিলেন ভারতবিখ্যাত নৈয়ায়িক শঙ্করনাথ তর্কবাগীশ। ইনি কৃষ্ণচন্দ্রের সভাপণ্ডিত ছিলেন। নবদ্বীপের দেয়ারাপাড়ায় তিনিই প্রথম আলোকনাথ কালীর মূর্তি নির্মাণ করে পুজো করেন। লোক মুখে এলানিয়া বা অ্যালানে কালী নামে পরিচিত এই প্রতিমাই নবদ্বীপের রাসের প্রথম প্রতিমা, এমনটাই মনে করেন স্থানীয় ইতিহাসের গবেষকেরা। সময়টা ১৭৫২ থেকে ১৭৫৬ সালের মধ্যবর্তী কোনও বছর। এলানিয়া কালী আদতে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ প্রবর্তিত ঘোর কৃষ্ণবর্ণা দক্ষিণাকালী। দেবীর আলুলায়িত কুন্তল। এক ঢাল খোলা চুলের এলোকেশী দেবী মূর্তি পরবর্তী সময়ে উচ্চারণ বিভ্রাটে হয়ে যায়— এলানিয়া কালী।"
এই সময় রামপ্রসাদ সেনও আগমবাগীশের পদ্ধতি অনুসারে কালীপূজা করতেন।[৫] ঊনবিংশ শতাব্দীতে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাংলার ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।[১০] বর্তমানে কালীপূজা বাংলায় দুর্গাপূজার মতোই এক বিরাট উৎসব।[১১]
নদীয়ার শান্তিপুরে কালীপুজো বয়ে এনেছিল শাক্ত - বৈষ্ণবের সম্প্রীতির বার্তা :
"শান্তিপুরের অদ্বৈতাচার্যের উত্তরপুরুষ মথুরেশ গোস্বামী শাক্ত-বৈষ্ণব বিরোধ মেটাতে কৃষ্ণানন্দের প্রপৌত্র সর্বভৌম আগমবাগীশের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। এতে নবদ্বীপের তৎকালীন শাক্ত সমাজ সর্বভৌমকে একঘরে করে সমাজচ্যূত করায় মথুরেশ তাঁর মেয়ে জামাইকে শান্তিপুরে নিয়ে আসেন। এর পর সর্বভৌম বড়গোস্বামীবাড়ির অদূরে মঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে সেখানে কালীপুজোর প্রচলন করেন।"
শান্তিপুরের প্রাচীন কালীপুজোরগুলোর মধ্যে অন্যতম চাঁদুনীবাড়ির কালীপুজো। এই পুজোর সূচনা করেন গোপীনাথ সার্বভৌম।[১৩] এই নিয়ে প্রচলিত রয়েছে ভক্তি ও বিশ্বাসের একটি মেলবন্ধনের কাহিনি :
"আজ থেকে প্রায় ২২ পুরুষ আগে এই পরিবারের আদিপুরুষ গোপীনাথ সার্বভৌম এক দিন বাড়ির নারায়ণ শিলা পুজোয় আয়োজনে ব্যস্ত। এমন সময় একটি ছোট মেয়ে এসে তাঁর কাছে প্রসাদ চাইলো। গোপীনাথ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আগে পুজো হোক তার পরে সে প্রসাদ পাবে। কিন্তু মেয়েটিও নাছোড়বান্দা। তখনই তার প্রসাদ চাই। এতে বিরক্ত হয়ে গোপীনাথ মেয়েটিকে তাড়িয়ে দেন। পুজো শেষে গোপীনাথ প্রসাদ নিয়ে মেয়েটির অনেক খোঁজ করলেও তার আর সন্ধান পাননি। সেই রাতেই গোপীনাথ স্বপ্নে দেখা পান সেই মেয়েটির। তিনি আর কেউ নন দেবী কালী। গোপীনাথ তাঁর কাছেই আদেশ পান বাড়ির কাছেই পঞ্চমুণ্ডির আসনে ‘মা চাঁদুনী’ নামে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করে কার্তিকী অমাবস্যার রাতে পুজো করার।
পর দিন গোপীনাথ সেই স্বপ্নের কথা তাঁর মাকে জানিয়ে বায়না ধরেন স্বপ্নে দেখা সেই মূর্তি তৈরি করে দেওয়ার জন্য। তাঁর মা ধীরে ধীরে সেই মূর্তি নির্মাণ করে দেন। বাড়ির কাছেই বেল গাছের নীচে পঞ্চমুণ্ডির আসনে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে তন্ত্রমতে পূজা করেন গোপীনাথ। পরবর্তীকালে এই গোপীনাথ হয়ে ওঠেন পণ্ডিত এবং তন্ত্রসাধক। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গোপীনাথের ভাই কাশীনাথ সার্বভৌম ছিলেন শ্রীচৈতন্যের গৃহশিক্ষক। পরবর্তীকালে শ্রীচৈতন্য সন্ন্যাস গ্রহণের পরে শান্তিপুরে আসেন কাশীনাথের সঙ্গে দেখা করতে।"
শান্তিপুরের, চৈতল মাহেশের বংশধর[১৫] জজ পণ্ডিত বাড়িতে আবার পূজো হয় সম্পূর্ণ তন্ত্র মতে।[১৬] শান্তিপুরের এই প্রাচীন পুজো পীতাম্বর চট্টোপাধ্যায় শুরু করেন। ইনি ইংরেজ সরকারের কাছে জজ-পণ্ডিত উপাধি পান। গয়ায় জমিদারির সময় প্রজাদের নানা সমস্যার বিচারের ভার ছিল এই শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত পীতাম্বর তর্কবাগীশের ওপরে। সংস্কৃত সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের কারণে থেকে জজ পণ্ডিত উপাধি দেওয়া হয়।[১৭]এই দেবীর নাম পক্কানেশ্বরী কালী।[১৮]এই জজ পণ্ডিত পরিবারের দৌহিত্র বংশের পুত্রবধূ শিবানী ভট্টাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই পরিবারের কন্যা নির্মলা দেবীর সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তরঙ্গ বন্ধু, শোক কাব্য 'অশ্রু'-র কবি ভোলানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভোলানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্রেই এই বাড়ির পুজোতে এসেছিলেন স্বয়ং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শান্তিপুরের অন্যান্য পুজোগুলির মধ্যে মহিষখাগী উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন এই পুজোতে আগে মহিষ বলি হত।[১৯]
মহিষাসুর মর্দিনীর প্রাণপুরুষ স্বর্গীয় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের আদি নিবাস বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার উথালী গ্রামে কালী পূজার কিছু প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায়। এখানে শত শত বছর ধরে কালী পুজা ঘট স্থাপনের মাধ্যমে করা হয়। এ কালী পূজা যখন শুরু হয় তখন সম্ভবত মূর্তি পূজা সেভাবে বাংলায় প্রচলন ছিলো না বলে ধারণা গবেষকদের। কবে থেকে এ পুজা শুরু হয় তার সঠিক ধারণা নেই। তবে সপ্তম শতকে ভদ্রবংসীয় মহাসামন্তদের হাত ধরে এ কালী পুজো শুরু হয় বলে ধারণা।
অন্যদিকে, শোনা যায় - লঘিমা সিদ্ধসাধক ভাদুড়ী মহাশয়- মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ-এর বাড়ি হাওড়া জেলা-র ধারসার পায়রাটুঙ্গীতেও যে মা কালীর উপাসনা হতো তার সূচনা কম করে ৩০০ বছরেরও আগে। এই বংশের সন্তান - বাংলা শ্যামা সংগীত ধারার দুই মহান শিল্পী ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য ও পান্নালাল ভট্টাচার্য এবং তাঁদের অগ্রজ - সুরকার প্রফুল্ল ভট্টাচার্য-ও প্রতিদিন মা কালীর উপাসনা করতেন। পান্নালাল ভট্টাচার্য হাওড়া জেলা-র বালির বাড়িতে নিজের হাতে মাতৃ প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করে নিত্য মাতৃসাধনা করতেন।[২০]
পূজা
সারাংশ
প্রসঙ্গ

দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে ছিন্নমস্তক সহ বলির পশুর রক্ত, মিষ্টান্ন, অন্ন বা লুচি, মাছ ও মাংস উৎসর্গ করা হয়।[২১] গৃহস্থবাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা হয়।[২২] দেবীর পূজায় ছাগ মেষ বা মহিষ বলির প্রথা রয়েছে।[৩] সুদূর অতীতে নরবলি দিয়েও কালীপূজা হত।[৪] মূলত ডাকাতরাই এভাবে মায়ের পুজো করত :
"নবদ্বীপ শহর থেকে কয়েক ক্রোশ পশ্চিমে ব্রহ্মাণীতলা গ্রাম। জনবসতি খুব কম। চারপাশে ধু-ধু প্রান্তর। তার মাঝখানে এক গাছতলায় করালবদনা সিদ্ধেশ্বরী কালীর মন্দির।
কে বা কারা, কবে সে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কেউ জানে না। কিন্তু তা ক্রমে হয়ে ওঠে ডাকাতদের আরাধ্য। সে কালে ওই তল্লাটে ডাকাতদের যথেষ্ট রমরমা ছিল। এক সকালে মন্দিরে নিত্যপূজা করতে গিয়ে পুরোহিত দেখেন, চাতালে থরে-থরে সাজানো ষোড়শোপচার। সেই সঙ্গে চারখানা পট্টবস্ত্র-উত্তরীয়, ঘট সমেত তৈজসপত্র, প্রচুর নৈবেদ্য। আটটি পিতলের বাটিতে রক্ত। আশপাশে কোনও ছাগ বা মহিষমুণ্ড পড়ে নেই।
অভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ শিউরে ওঠেন। বুঝতে পারেন এ নররক্ত। বুঝে যান, আগের অমাবস্যার রাতে কালীর কাছে নরবলি দিয়েছে ডাকাতেরা। নৈবেদ্যের থালার পাশে পাঁচটি টাকা দক্ষিণা রেখে ব্রাহ্মণকে যথাবিহিত পুজো করার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিরকুটও রেখে গিয়েছে তারা। ১৮১৯ সালের সমাচার দর্পণের ২৭ নভেম্বর সংখ্যায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘গুপ্তপূজা’ শিরোনামে।"
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।[২৪]

কোনো কোনো মণ্ডপে কালী ও শিবের মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলার দুই বিখ্যাত কালীসাধক রামকৃষ্ণ পরমহংস ও বামাখ্যাপার মূর্তিও পূজিত হয়। কোথাও কোথাও কালীর সঙ্গে সঙ্গে দশমহাবিদ্যাও পূজিত হন।[২৫] দর্শনার্থীরা সারারাত ধরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে কালীপ্রতিমা দর্শন করেন। কালীপূজার রাতে গৃহে আলোকসজ্জা সাজানো হয় এবং আতসবাজি পোড়ানো হয়।[২২]
কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে এই দিন দেবী কালীকে লক্ষ্মীরূপে পূজা করা হয়। হাজার হাজার ভক্ত এই দিন কালীঘাট মন্দিরে ভিড় করেন এবং দেবীর উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করেন।[৩][২৪] কলকাতার অপর বিখ্যাত কালীমন্দির দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতেও কালীপূজা উপলক্ষে মহাসমারোহ হয়। এইখানেই অতীতে রামকৃষ্ণ পরমহংস কালী আরাধনা করেছিলেন। সেই কারণে এই মন্দিরে কালীপূজা দেখতে প্রচুর পুণ্যার্থী এখানে ভিড় জমান।[২৬]
পূজার তাৎপর্য
কালীপূজার মাধ্যমে সমাজে সংঘটিত অন্যায়ের প্রতিবাদ করার প্রেরণা পাওয়া যায়। এ পূজার মাধ্যমে সামাজিক বন্ধনও স্থাপিত হয়। কালীপূজার মাধ্যমে গুরুজনদের সম্মান করার আদর্শ স্থাপিত হয়। কালীদেবীর মূর্তি জ্ঞান, কর্ম,কর্মফল ও ত্যাগের তাৎপর্য তুলে ধরে। কালীপূজার মাধ্যমে মোক্ষলাভও হয়। কালীদেবীর কোমরের হাতগুলো কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে ও শ্মশানবাস জীবনের শেষ পরিণতিকে নির্দেশ করে। এছাড়া মুণ্ডগুলো জ্ঞানের ধারক। এছাড়াও কালীপূজার বহু তাৎপর্য আছে যা তাঁর রূপের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়।
পাদটীকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.