কাপাসিয়া উপজেলা
গাজীপুর জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গাজীপুর জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কাপাসিয়া বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[1]
কাপাসিয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কাপাসিয়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′ উত্তর ৯০°৩২′ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | গাজীপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৫৬.৯৮ বর্গকিমি (১৩৭.৮৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,২১,৪৫৪ |
• জনঘনত্ব | ৯০০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.৪১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৩৩ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সংস্কৃত ও হিব্রু ভাষায় তুলার অপর নাম কার্পাস। হিন্দি ভাষায় কার্পাস। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। প্রচুর পরিমাণে কার্পাস বা তুলা উৎপাদন হওয়ায় এই স্থানের নাম করা হয় কাপাসিয়া। [2]
এ উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.১০° উত্তর অক্ষাংশ ও ৯০.৫৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। অবস্থান উত্তরে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা, দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলা ও নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা, পূর্বে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা ও শিবপুর উপজেলা, পশ্চিমে শ্রীপুর উপজেলা।
এ উপজেলায় মোট ১১ টি ইউনিয়ন রয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদের ভূমি গঠিত হয়েছে ২৫ লক্ষ বছর আগে। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। উল্লেখযোগ্য প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম একডালা দুর্গ উপজেলা সদর হতে ৫ কি.মি. দূরে কালী বানার, শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। অনুমান করা হয় ৬০০ খ্রিঃ কোন হিন্দু রাজা এ দুর্গটি নির্মাণ করেন। এর দৈর্ঘ্য ৫ কি.মি., প্রস্থ ২ কি.মি.। পান্ডুয়ার শাসনকর্তা হাজী শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ দুর্গটি ১৩৪২ খ্রিঃ হতে ১৩৫২ খ্রিঃ সময়ে সংস্কার করেছিলেন। পৌনে দু‘শ‘ বছর পর ১৫১৮ খ্রিঃ হতে ১৫৩২ খ্রিঃ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন শাহ পুনরায় দুর্গটি সংস্কার করেন। রায়েদ ইউনিয়নে কালী বানার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দ্বার-ই দরিয়া (দরদরিয়া) দুর্গ ছিল একডালা দুর্গের শাখা দুর্গ। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে রাজা টোডরমল এ অঞ্চলকে ভাওয়াল পরগণায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কাপাসিয়া থানা ২৮টি ইউনিয়ন ছিল বলে জানা যায়। ১৯২৪ সালে কাপাসিয়া থানাকে কালিগঞ্জ ও শ্রীপুর থানায় বিভক্ত করা হয়। ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় কাপাসিয়া থানা। ১৫-১২-১৯৮২ সালে কাপাসিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। [2] এই উপজেলার মোট আয়তন ৩৫৬.৯৮ব:কি:মি:।
আদমশুমারী ২০১১ অনুসারে মোট জনংখ্যা ৩,২১,৪৫৪। পুরুষ – ১,৬২,৩০৩ এবং মহিলা – ১,৫৯,১৫১।
কাপাসিয়া উপজেলায় শিক্ষার হার – ৫৬.৪১%। পুরুষ- ৫৭.৩৫% এবং মহিলা – ৫৫.৪৭%।
(ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
প্রগতি কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, সংক্ষেপে, প্রগতি ব্যাংক কাপাসিয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক।[3]
বর্তমানে কাপাসিয়ায় মোট ব্যাংক আছে ৬টি।
সড়ক পথে ঢাকা থেকে ফুলবাড়িয়া ও মহাখালী বাসষ্টেন্ড থেকে কাপাসিয়াগামী বাস সিএনজি,পাওয়া যায়, যেগুলো চান্দনা চৌরাস্তা ও রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা হয়ে কাপাসিয়া উপজেলায় যাতায়াত করে।
নৌপথে ঢাকা হতে শীতলক্ষ্যা নদী পথে কাপাসিয়া উপজেলায় যাতায়াত করা যায়। রেলপথে কমলাপুর রেলস্টেশন হতে রাজেন্দ্রপুর স্টেশনে নেমে সড়ক পথে কাপাসিয়া উপজেলায় যাতায়াত করা যায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.