Loading AI tools
ভারতীয় অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কানু রায় (৯ ডিসেম্বর ১৯১২ — ২০ ডিসেম্বর ১৯৮২) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা এবং হিন্দি এবং বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি বেশিরভাগ হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক বাসু ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করেছেন।
কানু রায় | |
---|---|
জন্ম | ৯ ডিসেম্বর ১৯১২ |
মৃত্যু | ২০ ডিসেম্বর ১৯৮২ ৭০) কলকাতা ভারত | (বয়স
পেশা | সঙ্গীত পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৪৩–১৯৮২ |
কানু রায় ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার ইদিলপুরের একটি ধনী জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট) জন্মগ্রহণ করেন। পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ রায়চৌধুরী এবং মাতা অমিয়া দেবী। খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্ত ছিলেন তার সহোদরা।[1] ১৯৪০-এর দশকের শুরুতে তার পিতামাতা কলকাতায় চলে আসেন এবং পরে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বোম্বাই শহরের দাদারে বসবাস করতেন।
সঙ্গীতজীবনে কানু রায় নয়-দশটি ছায়াছবির জন্য সুরসৃষ্টি ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এবং সবই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। বোম্বাই-এ প্রথমে তিনি নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে কাজ নেন। কিন্তু বহু চেষ্টায় সফল হতে পারেননি। তারপর তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘে তথা আই পি টি এ'র জন্য সুরকার হিসাবে কাজ নেন এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে প্রশংসা পান। কিছু ছবিতে সঙ্গীতে অংশ নেন, কিন্তু সবই ছিল কোরাসে। তার সঙ্গে প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার সলিল চৌধুরীর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ছবিতে সঙ্গীতশিল্পীর স্থান পাননি।[2]
তবে সুরসৃষ্টি ও সঙ্গীত পরিচালনায় কানু রায় প্রভূত সুনাম অর্জন করেন। তার যে গানগুলি জনপ্রিয় হয়েছিল, সেগুলি হল—
বাবুল মোরা নাইহার ছুটো যায় (১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত আবিষ্কার ছায়াছবিতে)
মুম্বাই-এ প্রথমদিকে কিছু ছবিতে ছোট ভূমিকায় অভিনয়ের কাজ করলেও, সুযোগ পেলে সঙ্গীত পরিচালনার দিকেই জোর দিতেন।[6] এবং সারা জীবন আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যেই কাটিয়েছেন।[2]
অকৃতদার কানু রায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে ২০ ডিসেম্বর পরলোক গমন করেন।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.