এম শামসুল ইসলাম

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

এম শামসুল ইসলাম

এম শামসুল ইসলাম (১ জানুয়ারি ১৯৩২-২৬ এপ্রিল ২০১৮) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ ও মুন্সীগঞ্জ-৩ (গজারিয়া-সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি খালেদা জিয়া সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[][][]

দ্রুত তথ্য এম শামসুল ইসলাম, মন্ত্রী - তথ্য মন্ত্রণালয় ...
এম শামসুল ইসলাম
Thumb
মন্ত্রী - তথ্য মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
২০০২  ২০০৬
পূর্বসূরীঅধ্যাপক আবু সাইয়িদ
মন্ত্রী - ভূমি মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১০ অক্টোবর ২০০১  ২০০২
মন্ত্রী -বাণিজ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
সেপ্টেম্বর ১৯৯৩  ১৯৯৬
মন্ত্রী -খাদ্য মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
সেপ্টেম্বর ১৯৯১  সেপ্টেম্বর ১৯৯৩
প্রতিমন্ত্রী -ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
মার্চ ১৯৯১  সেপ্টেম্বর ১৯৯১
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯১  ২০০৬
পূর্বসূরীমোহাম্মদ জামাল হোসেন
উত্তরসূরীএম ইদ্রিস আলী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১ জানুয়ারি ১৯৩২
মুন্সীগঞ্জ জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৬ এপ্রিল ২০১৮
ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতাল
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীআনোয়ারা সুফিয়া ইসলাম
সন্তান
পিতামাতাহাজী ওসমান গনি
বন্ধ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

এম শামসুল ইসলামের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানার টংগিবাড়ীর সুখবাসপুরে। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পরিবার পরিকল্পনা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন । বিভিন্ন মেয়াদে তিনি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ বক্ষব্যাধি সমিতি, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ।[][][][]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

এম শামসুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষে তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তথ্য, খাদ্য, ভূমি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি ৫ম থেকে ৮ম জাতীয় সংসদে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি মার্চ ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯১ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং সেপ্টেম্বর ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকারের ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[][][১০][১১][১২]

পারিবারিক জীবন

এম শামসুল ইসলাম দুই ছেলে এম সাইফুল ইসলাম ও মোনাদির ইসলামকে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী জুন ২০১৫ সালে মারা যান। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বিএনপির চিন্তাকেন্দ্র সংগঠন ‘জি-নাইন’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।[১৩]

মৃত্যু

এম শামসুল ইসলাম ২৬ এপ্রিল ২০১৮ সালে ৮৭ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।[১৪][১৫][১৬]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.