Loading AI tools
জাপানি ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
এইজি কাওয়াশিমা (জাপানি:川島 永嗣, জন্ম ২০ মার্চ ১৯৮৩) একজন জাপানি ফুটবলার, যিনি গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন এবং ফরাসি ক্লাব মেটজ এর হয়ে খেলেন। কাওয়াশিমা জাপান জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ২০১০ এবং ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ খেলেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এইজি কাওয়াশিমা | ||
জন্ম | ২০ মার্চ ১৯৮৩ | ||
জন্ম স্থান | সাইতামা, জাপান | ||
উচ্চতা | ১৮৫ সেমি (৬ ফু ১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | মেটজ | ||
জার্সি নম্বর | ১৬ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৫-১৯৯৭ | ইউনোনিশি জুনিয়র হাই স্কুল | ||
১৯৯৮-২০০০ | উরায়া হিগাসি হাই স্কুল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০১-২০০৩ | অমিয়া আরদিজা | ৪১ | (০) |
২০০৪-২০০৬ | নাগোয়া গ্রাম্পাস | ১৭ | (০) |
২০০৭-২০১০ | কাওয়াসাকি ফ্রন্টালে | ১১৩ | (০) |
২০১০-২০১২ | লিয়ার্স | ৫৩ | (০) |
২০১২-২০১৫ | স্টান্ডার্ড লিয়েজ | ৮৮ | (০) |
২০১৫-২০১৬ | ডুন্ডে ইউনাইটেড | ১৬ | (০) |
২০১৬– | মেটজ | ০ | (০) |
২০১৬– | মেটজ (reserve) | ২ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০২-২০০৩ | জাপান অনূর্ধ্ব-২০ | ১৩ | (০) |
২০০৮- | জাপান | ৭২ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৫:২২, ২২ নভেম্বর ২০১৬ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
এইজি কাওয়াশিমা জাপানের সাইতামা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইউনোনিশি জুনিয়র হাই স্কুল এবং উরায়া হিগাসি হাই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন, সেখানে স্কুল ফুটবল দলের হয়ে খেলেছেন। সেখানে ভালো খেলার সুবাদে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলার ডাক পান। তিনি সিদ্ধান্ত নেন একজন পেশাদার ফুটবলার হবেন। এরপর কোচ নোরিও সাসাকির অধীনে অমিয়া আরদিজা ক্লাবে যোগ দেন।
২০০১ সালের জানুয়ারিতে অমিয়া আরদিজা কাওয়াশিমাকে সিরি-এ লিগের দল পার্মা এফসিতে ট্রেনিং এর জন্য পাঠান।
২০০৪ সালে কাওয়াশিমা জাপানি ক্লাব নাগয়া গ্রাম্পাসে যোগ দেয়। সেখানে ২০০৫ পর্যন্ত গোলরক্ষক সেইগো নারাজাকির জন্য ১ম একাদশে খেলার সুযোগ পায়নি। নারাজাকি যখন ইনজুরিতে পরেন, তখন কাওয়াসিমা ১০ টি ম্যাচে ১ম একাদশে ছিলেন।
২০০৭ সালে কাওয়াসিমা আরেক জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টালে যোগ দেন। তাকে আনতে কাওয়াসাকি ফ্রন্টাল ১৫০ মিলিয়ন ইয়েন খরচ করে। সেখানে দলের গুরুত্তপুর্ন খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা পান। কাওয়াসাকি ফ্রন্টালে ২০০৭ এএফসি চ্যাম্পিয়েন্স লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া ১ম জাপানি ক্লাব। ঐ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ইরানি ক্লাব সেপাহানের কাছে ট্রাইবেকারে হেরে বাদ পরে কাওয়াসাকি ফ্রন্টাল।
২০১০ সালে অংশগ্রহণ করার পর কাওয়াশিমা বেলজিয়ান প্রো লিগের দল লিয়ার্স ক্লাবে যোগ দেয়ার মাধ্যমে ১ম ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পায়। কাওয়াশিমা সেখানে ১ম ম্যাচ থেকেই দলের প্রথম একাদশে খেলেন। কিন্তু তার ক্লাব সেবার অবনমনের ঝুঁকিতে ছিল। কাওয়শিমা লিগের শেষ ম্যাচে ক্লাব বুর্গের বিপক্ষে ক্রিনশিট পান। ফলে লিয়ার্স অবনমনের থেকে বেচে যায়। ১ম মৌসুমেই দলের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের অক্টোবরে কাওয়াশিমা লিয়ার্সের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়। ২০১১-১২ মৌসুমে তিনি ৩০ টি লিগ ম্যাচ এবং ৬ টি ইউরোপা লিগ ম্যাচ খেলেন। তিনি আবারও সেই মৌসুমে ক্লাবের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়।
২০১১ সালের ১৯ আগস্ট লিয়ার্স বনাম জার্মিনাল বার্চট বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন সময় বার্চট সমর্থকরা কাওয়াশিমাকে উদ্দেশ্য করে "কাওয়াশিমা-ফুকুশিমা" বলতে থাকে, উল্লেখ্য এর কিছুদিন আগে জাপানের ফুকুশিমায় নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ হয়। এরপর কাওয়াশিমা সেই দর্শকদের উদ্দেশে এগিয়ে গেলে রেফারি কয়েক মিনিটের জন্য খেলা স্থগিত রাখেন। এই ঘটনার জন্য বেলজিয়ান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন বার্চট ক্লাবকে ৩০,০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করে। ১১ সেপ্টেম্বরে জার্মিনাল বার্চট কাওয়াশিমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে।
২০১২ সালের ১৮ জুলাই কাওয়াশিমা লিয়ার্স ছেড়ে ৩ বছরের চুক্তিতে স্টান্ডার্ড লিয়েজে যোগ দেয়। ক্লাবের সাথে মেয়াদ চুক্তির পর ক্লাব ছেড়ে দেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে স্কটিশ ক্লাব ডুন্ডে ইউনাইটেডে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ডুন্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়। ঐ ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যায় তার দল। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ডুন্ডে ইউনাইটেড লিগে অবনমন হওয়ার পর তিনি ক্লাব ছাড়ে।
২০১৬ সালের ২ আগস্ট কাওয়াশিমা ফরাসী ক্লাব মেটজে যোগ দেয়। ২১ আগস্টে কাওয়াশিমা মেটজের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন।
কাওয়াশিমা ২০১০ বিশ্বকাপে সেইগো নারাজাকির ব্যাকআপ গোলরক্ষক হিসেবে দলে যোগ দেয়। ৩০ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে ভালো খেলার সুবাদে দলে ডাক পান। ২০১০ বিশ্বকাপে সব ম্যাচে খেলেছেন।
কাওয়াশিমা ২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করে। ১৩ জানুয়ারি, সিরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড পান তবে জাপান ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে নেয়। ২৬ জানুয়ারি সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার ২ টি পেনাল্টি আটকে দেন। ২৯ জানুয়ারি, ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়লাভ করে ও ম্যাচসেরা হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.