Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইসলামি প্রজাতন্ত্র বলতে ইসলামি রাজতন্ত্রের বদলে প্রজাতন্ত্রের কাঠামোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামি আইন দ্বারা শাসিত একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র পরিচালনা করা বুঝায়। নাম বা শিরোনামের দিক দিয়ে বর্তমানে তিনটি রাষ্ট্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র দ্বারা শাসিত: ইরান, মৌরিতানিয়া এবং পাকিস্তান। শব্দটি অবশ্য অস্পষ্ট। "ইসলামিক প্রজাতন্ত্র" নামটি ব্যবহার করা সত্ত্বেও, উক্ত দেশগুলো তাদের সরকার এবং আইন ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে ভিন্ন, এবং তিনটির মধ্যে একমাত্র ইরান ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত। উপরন্তু, পাকিস্তান ১৯৫৬ সালে প্রথম এই নাম গ্রহণ করলেও, ইসলাম তখন রাষ্ট্রধর্ম ছিল না। তাই এটি একটি প্রতীকী শব্দ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।[1]
পরিভাষা হিসাবে, এটি অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন জিনিস বোঝাতে ব্যবহৃত, অবশ্য অন্যদের কাছে এটা খানেকটা বিপরীত। এই অঞ্চলে, যারা এটিকে সমর্থন করেন, তাদের মধ্যে কিছু মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের কাছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র হলো নির্দিষ্ট ইসলামি সরকারের অধীনে একটি রাষ্ট্র। তারা এটিকে বিশুদ্ধ ইসলামি খেলাফত এবং ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদী প্রজাতন্ত্রের মধ্যকার সেতুবন্ধন হিসেবে দেখে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে তাদের ধারণা হল, রাষ্ট্রের দণ্ডবিধিকে শরিয়ার কিছু বা সমস্ত আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং রাষ্ট্রটি বর্তমানে অনেক মধ্যপ্রাচ্যীয় রাষ্ট্রের মত রাজতন্ত্রে পরিচালিত হবে না। এতদসত্ত্বেও, কিছু প্রজাতান্ত্রিক দেশ রয়েছে যাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সেগুলো (অন্তত আংশিকভাবে হলেও) ইসলামি আইন দ্বারা শাসিত, কিন্তু এসব রাষ্ট্র "ইসলামিক প্রজাতন্ত্র" নাম বহন করে না - উদাহরণ হিসেবে ইরাক, ইয়েমেন, আলজেরিয়া এবং মালদ্বীপ উল্লেখযোগ্য।
ইরান সরকারীভাবে একে তার দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শাসনাধীন ক্ষেত্রে এই নামটি ব্যবহার করে; যেমন ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান আর্মি বা ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং। অন্যদিকে তার বৈপরীত্য দেখা যায় পাকিস্তানের তৎসম ক্ষেত্রাবলিতে; যেমন পাকিস্তান আর্মড ফোর্স এবং পাকিস্তান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। অন্যদের ভিন্নতা করতে গিয়ে, ইরান সরকারী সংক্ষিপ্ত শব্দের অংশ হিসেবে IRI (ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান) ব্যবহার করে থাকে।
রাষ্ট্র | নাম গ্রহণের তারিখ | সরকারী প্রকার |
---|---|---|
ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান | ১৯৭৯ সালের ১ এপ্রিল[2] | একক খোমেনিস্ট প্রেসিডেন্সিয়াল রিপাবলিক (ডি ফ্যাক্টো একটি থিওক্র্যাটিক-রিপাবলিকান হাইব্রিড একজন সর্বোচ্চ নেতার অধীন) |
ইসলামি প্রজাতন্ত্রী মৌরিতানিয়া | ২৮ নভেম্বর ১৯৫৮ | একক আধা-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র |
পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র | ২৩ মার্চ ১৯৫৬ | ফেডারেল সংসদীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র |
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের দুই মাস পর, নতুন সরকার পাহলভি রাজবংশকে একটি নতুন ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিবর্তিত করার জন্য ১০ ও ১১ ফারভারদিনে (৩০ ও ৩১ মার্চ) ইরানি ইসলামি প্রজাতন্ত্রের গণভোট অনুষ্ঠিত করে। ১২ ফারভারদিনে (১ এপ্রিল) ঘোষণা করা হয় যে, ৯৮.২% ইরানি ভোটদাতা ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।[3][4]
গণভোটের পূর্বে, কিছু রাজনৈতিক দল ইরানি বিপ্লবের আদর্শের জন্য বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে, যেমন প্রজাতন্ত্র (ইসলাম ছাড়া) বা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা রুহুল্লাহ খোমেনি জনগণকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র নামের জন্য ভোট দিতে বলেন, এক শব্দ বেশি নয় এবং এক শব্দ কমও নয়।[4][5]
সংবিধান অনুসারে, ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান নিম্নলিখিত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যবস্থা কায়েম করে:[6]
সংবিধানের একটি ভাষ্য অনুসারে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র শুধুমাত্র মানুষের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে অধিকার, ন্যায় ও কুরআনের শাসনের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে ইরানি জনগণের বিশ্বাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তদ্ব্যতীত, এই বিশ্বাসগুলো সমস্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ এবং নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। এগুলো গভর্নর এবং রাষ্ট্রনায়কদের জন্য নির্দেশিকা হিসাবে বিবেচিত হবে। বিশ্বাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যেমন ঈশ্বরের একত্বের নীতি এবং এতে বিশ্বাস করা।[7] এতদসত্ত্বেও আল্লাহ ও তাঁর হুকুমের সামনে আত্মসমর্পণের আরও কিছু নীতি রয়েছে। অতএব, আইন প্রণয়ন আল্লাহর মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং যতদূর পর্যন্ত ঐশী আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আইন বৈধ। ইসলামিক বিশ্বদর্শনের জন্য ঐশী প্রত্যাদেশ এবং ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস অপরিহার্য এবং দুই ধরনের ন্যায়বিচার রয়েছে। প্রথম প্রকারটি আইনী (তাশরী) এবং অন্য প্রকারটি সৃজনশীল (তাকিভিনি)। সৃজনশীল ন্যায়বিচার ন্যায় ও সমতার উপর ভিত্তি করে। ইসলামি সমাজে খোদায়ী আইন প্রণয়নের জন্য আইনী ন্যায়বিচারকে সম্মান করা হয়। এছাড়া শিয়া মাযহাবের ভিত্তি হলো ইমামতি বা নেতৃত্বের ক্ষেত্রে।
শিয়াদের ইমামতির নীতি অনুসারে, আল্লাহর নবী এবং কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যক্তিদের আনুগত্য করা অপরিহার্য। শিয়া পাদ্রীরা বিশ্বাস করে যে "যারা কর্তৃত্বের অধিকারী" শব্দটির ধারণাটি নির্দোষ শিয়া ইমামদের উপর নির্দেশ করে। ইমাম যখন অনুপস্থিত থাকেন, তখন ভ্যালি ফাগিহ সমাজের নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকেন। অন্য কথায়, ধর্মীয় নেতারা ইমামতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা ও দায়িত্বের সাথে মানুষের মর্যাদা (কারামত) এবং উচ্চ মূল্যের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। মর্যাদার নীতিটি অস্তিত্বের দিক থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের একটি প্রয়োজনীয় শর্ত, তবে মর্যাদা শব্দটির অনেক অর্থ রয়েছে। কখনও কখনও এটি উদারতা, আভিজাত্য এবং সম্মানকে বোঝায়, কিন্তু ইসলাম এটিকে মানুষের জন্য দুটি ধরনের মর্যাদা বলে মনে করে, যথা অপরিহার্য বা সহজাত মর্যাদা এবং অর্জিত মর্যাদা। সহজাত মর্যাদা অনুসারে, মানুষের অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। নীতিটি ১৯৪৮ সালে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা দ্বারাও উল্লেখ করা হয়েছে। অর্জিত মর্যাদার ভিত্তিতে, মানুষ তার সম্ভাবনা এবং প্রতিভার বাস্তবতার সাহায্যে পূর্ণতার ডিগ্রি পাস করতে সক্ষম হয়।[8]
প্রথমবারের মতো, রুহুল্লাহ খোমেনি ইরানের জনগণের জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শর্তাবলী আরোপ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইরানের জনগণ একটি ইসলামি রাষ্ট্র চায় যা হবে প্রজাতন্ত্রের আদলে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র শব্দটির অস্পষ্টতা সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে, খোমেনি বলেন যে, প্রজাতন্ত্র শব্দটির অন্যান্য ব্যবহারের মতো একই অর্থে এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র বলতে ইসলামি আদর্শ এবং জনগণের পছন্দ উভয়কেই বিবেচনা করা হয়েছে।[9]
ইসলামিক রিপাবলিক অফ মৌরিতানিয়া হলো পশ্চিম উত্তর আফ্রিকার মাগরেব অঞ্চলের একটি প্রজাতন্ত্রী দেশ।[10][11][12]
পাকিস্তান ইতিহাসের প্রথম দেশ, যেটি ১৯৫৬ সালে তার ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের অধীনে প্রজাতন্ত্রের অবস্থা সংশোধন করার জন্য ইসলামিক বিশেষণটি গ্রহণ করে। এই সংজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দেশটিতে রাষ্ট্রধর্ম ছিল না। তখন আরও গণতান্ত্রিক এবং কম ধর্মনিরপেক্ষ একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। পাকিস্তান শুধুমাত্র তার পাসপোর্ট, ভিসা এবং কয়েনে ইসলামিক নাম ব্যবহার করে। যদিও ১৯৭৩ সালের সংবিধানে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে সমস্ত সরকারী নথি পাকিস্তান সরকার নামে প্রস্তুত করা হয়। পাকিস্তানের সংবিধান, ৯ম পরিচ্ছদ, ২২৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "সমস্ত বিদ্যমান আইন, কুরআন ও সুন্নাহতে বর্ণিত ইসলামি বিধিবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা হবে, এই পরিচ্ছদটি ইসলামি বিধি হিসেবে আরোপ করা হলো, এবং ইসলামি বিধিবিধানের পরিপন্থী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না।"
চেচেন রিপাবলিক অফ ইচকেরিয়া ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা কায়েম করে।[13]
১৯৭৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, কোমোরোস ছিল ফেডারেল ও ইসলামিক রিপাবলিক অফ দ্য কমোরোস।
তুর্কি উইঘুর এবং কিরঘিজ নিয়ন্ত্রিত তুর্কি ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইস্ট তুর্কিস্তানকে ১৯৩৩ সালে সাবিত দামুল্লা আব্দুলবাকি এবং মুহাম্মদ আমিন বুঘরা একটি স্বাধীন ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করেন। কিন্তু চীনা জাতীয় বিপ্লবী সেনাবাহিনীর চীনা মুসলিম ৩৬তম ডিভিশনইয়াঙ্গি হিসার যুদ্ধ,ইয়ারকান্দ যুদ্ধ ও কাশগরের যুদ্ধে তাদের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। ফলে প্রজাতন্ত্রের বিলুপ্তি হয়।[14] চীনা মুসলিম জেনারেল মা ফুয়ুয়ান এবং মা ঝ্যাংচাং ১৯৩৪ সালে বিদ্রোহী বাহিনীর নির্মূলকরণ এবং চীন প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে অঞ্চলটি প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা করেন। তারপরই তুর্কি মুসলিম আমির আব্দুল্লাহ বুঘরা এবং নুর আহমদজান বুঘরার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। চীনা মুসলিম জেনারেল মা জোংইং কাশগরের ইদ ঈদগাহ মসজিদে প্রবেশ করেন এবং জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রতি অনুগত থাকার বিষয়ে তুর্কি মুসলমানদেরকে বক্তৃতা দেন।
আফগানিস্তান ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটি ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশ ছিল। ১৯৯০ সালে মোহাম্মদ নজিবুল্লাহ সরকার সংবিধান রচনা করে কমিউনিজমকে নির্মূল করে।
২০০৪ সালের গঠিত সংবিধানটি আফগানিস্তানের ১৯৬৪ সালের সংবিধানের অনুরূপ ছিল, যখন আফগানিস্তান একটি সাংবিধানিক ইসলামি রাজতান্ত্রিক দেশ ছিল।[15] এটি তিনটি শাখা নিয়ে গঠিত, নির্বাহী, আইনসভা এবং বিচার বিভাগ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ছিল আইনসভা। এটি একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কাঠামো, যার দুটি চেম্বার হলো- হাউস অফ দ্য পিপল এবং হাউস অফ এল্ডার্স। প্রজাতন্ত্রের সাথে ইসলামি উপসর্গটিকে প্রতীকী হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি সংবিধান প্রণয়নের সময় সমাবেশের মুজাহিদিনপন্থী প্রতিনিধিদের সমর্থিত ছিল।
১৯৯৬ সাল থেকে, ২০০১ সালের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা পর্যন্ত, আফগানিস্তান তালেবান দ্বারা শাসিত ছিল। এটি কান্দাহারে অবস্থিত একটি যোদ্ধা গোষ্ঠী, যারা আফগানিস্তানকে একটি ইসলামিক ধর্মীয় রাষ্ট্র হিসাবে শাসন করেছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে তখন অঞ্চলটি আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত নামে পরিচিত ছিল। ২০২১ সালে তালেবান একটি মাসব্যাপী বিদ্রোহ শুরু করে কার্যকরভাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়। অবশেষে ২০২১ সালের আগস্টে ইসলামি আমিরাত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া জামেহ গাম্বিয়াকে একটি ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। জামেহ বলেন যে, পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্রটিকে ঔপনিবেশিক অতীত থেকে দূরে রাখার নকশা হিসেবে। ফলে কোনও পোষাক আইন আরোপ করা হবে না এবং অন্যান্য ধর্মের নাগরিকদের অবাধে অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হবে।[16] যাইহোক, পরবর্তীতে, তিনি সমস্ত মহিলা সরকারী কর্মচারীদের মাথায় হিজাব পরার নির্দেশ দেন।[17] এর কিছুদিন পরেই সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণাটি দেশের একটি বিরোধী দল অসাংবিধানিক বলে সমালোচনা করেছিল।[18] ২০১৭ সালে জামেহকে অপসারণের পর, তার উত্তরসূরি আদামা বারো বলেন যে, গাম্বিয়া আর ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে থাকবে না।[19]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.