জাতীয় ক্রীড়া দল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইন্দোনেশিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ইন্দোনেশিয়াকে প্রতিনিধিত্বকারী দল। ক্রিকেট ইন্দোনেশিয়া ইন্দোনেশিয়ার ক্রিকেট খেলার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পূর্বে এর নাম ছিল ইন্দোনেশিয়া ক্রিকেট ফাউন্ডেশন। ২০০১ সালে ক্রিকেট ইন্দোনেশিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর অনুমোদিত সদস্যপদ লাভ করে।[১]
সংঘ | ক্রিকেট ইন্দোনেশিয়া |
---|---|
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (২০০১) |
আইসিসি অঞ্চল | আইসিসি ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | নাই (আঞ্চলিক টুর্নামেন্টসমূহ) |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | ইন্দোনেশিয়া বনাম দক্ষিণ কোরিয়া (পার্থ, অস্ট্রেলিয়া; ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০২) |
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ অনুযায়ী |
ইন্দোনেশিয়ায় ক্রিকেটের প্রচার এবং উন্নতির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ হল ক্রিকেট ইন্দোনেশিয়া। ক্রিকেট ইন্দোনেশিয়া আইসিসি ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক উন্নয়ন আঞ্চলের সদস্য। ২০০৬ সালে সংস্থাটি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল-এ যোগদানের মনোভাবের কথা ঘোষণা করে। এর পাশাপাশি এসিসি ট্রফি এর দলের ড্র এর জন্য ইন্দোনেশিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এসিসিতে তাদের সদস্যপদের জন্য আবেদন গৃহীত না হওয়ায় তারা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে নি।[২]
২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইন্দোনেশিয়ার অভিষেক হয়। তাদের অভিষেক হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অনুষ্ঠিত একটি টুর্নামেন্টে। ঐ টুর্নামেন্টে ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া অংশ নিয়েছিল। ২০০৫ সালে ইন্দোনেশিয়া প্রথম আইসিসি আয়োজিত কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তা ছিল ভানুয়াতুতে অনুষ্ঠিত ২০০৫ ইএপি কাপ। টুর্নামেন্টে ইন্দোনেশিয়া ছয় দলের মধ্যে পঞ্চম স্থান লাভ করে। সেই থেকে ইন্দোনেশিয়া নিয়মিতভাবে ইএপি আঞ্চলিক টুর্নামেন্টগুলোতে অংশ নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ইএপি চ্যাম্পিয়নশিপ -এ ইন্দোনেশিয়া আট দলের মধ্যে সপ্তম স্থান লাভ করে। যেখানে তাদের নিচে শুধুমাত্র কুক দ্বীপপুঞ্জ ছিল
১৮৮০ এর দশকের শুরুতে ডাচ শ্রমিকদের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় (তৎকালীন ডাচ উপনিবেশ ডাচ ইস্ট-ইন্ডিজ) ক্রিকেট পরিচিতি লাভ করে। ১৮৮৩ সালের ক্রাকাটোয়া উদগীরণ এর সময় বাটাভিয়ায় (বর্তমান জাকার্তা) একটি ক্রিকেট ম্যাচ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। [৩] ১৮৯৩ সালে বাটাভিয়াস ক্রিকেট-ফুটবল ক্লাব গঠিত হয় যা মূলত ইন্দোনেশিয়ায় ক্রিকেট ও ফুটবলের পরিচিতি ও প্রসারে কাজ করে।[৪] এই শতকেই সিঙ্গাপুর ক্রিকেট ক্লাব এর ইন্দোনেশিয়া সফরের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়।[৫] তবে ডাচ খেলোয়াড়েরা কলোনিতে ফিরে গেলে ইন্দোনেশিয়ায় ক্রিকেটের উত্থানের ধারায় ছেদ পড়ে।[৬] তবে সেইসময় ইন্দোনেশিয়ায় ডাচরাই শুধুমাত্র খেলোয়াড় ছিল না। সেখানে ব্রিটিশরাও ছিল এবং সেখানকার ব্রিটিশ সম্প্রদায় বাটাভিয়ায় অন্তত একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে।[৫] ১৯৬০ এর দশকে বর্তমান জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত শহরটিতে একটি ক্রিকেট মাঠ ছিল।[৫]
২০০০ সালে ইন্দোনেশিয়ান ক্রিকেট ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। বর্তমানে এটির পরিবর্তিত নাম ক্রিকেট ইন্দোনেশিয়া। এটি গঠিত হওয়ার পর থেকে ইন্দোনেশিয়া ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ২০০৪ সালে ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক চ্যালেঞ্জ কাপ এবং ২০০৫ সালে ২০০৫ আইসিসি ইএপি ক্রিকেট কাপ। [৭]
ইন্দোনেশিয়া আইসিসি ইএপি ট্রফি দ্বিতীয় বিভাগ টুর্নামেন্টে অংশ নেয় যা সামোয়াতে ৪-৭ এপ্রিল ২০১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এই টুর্নামেন্ট ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বের একটি অংশ ছিল। অংশগ্রহণকারী দলগুলো ছিল;
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.