Loading AI tools
দারুল উলুম দেওবন্দের ২য় ও ৯ম গ্র্যান্ড মুফতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইজাজ আলী আমরুহী (মৃত্যু: ১৯৫৫) ( উর্দু : مولانا اعزاز علی امروہوی) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি হানাফি আলেম।[1][2] তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে দু'বার প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেনঃ ১৯২৭ থেকে ১৯২৮ এবং তারপরে ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত।[3][4] তাঁর “নাফহাতুল আরব” বইটি দারুল উলুম দেওবন্দসহ মাদ্রাসার সিলেবাসে পড়ানো হয়।
শায়খুল আদব ওয়াল ফিকহ ইজাজ আলী আমরুহী | |
---|---|
২য় প্রধান মুফতি, দারুল উলুম দেওবন্দ | |
অফিসে ১৯২৮ থেকে ১৯২৯ | |
পূর্বসূরী | আজিজুর রহমান উসমানি |
উত্তরসূরী | রিয়াজুদ্দিন বিজনুরী |
৯ম প্রধান মুফতি, দারুল উলুম দেওবন্দ | |
অফিসে ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ | |
পূর্বসূরী | ফারুক আহমেদ |
উত্তরসূরী | মেহেদী হাসান শাহজাহানপুরী |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মৃত্যু | ১৯৫৫ |
সমাধিস্থল | মাকবারায়ে কাসেমি, দেওবন্দ |
ধর্ম | ইসলাম |
অঞ্চল | ভারত |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | আরবি সাহিত্য, ফিকহ |
উল্লেখযোগ্য কাজ | নাফহাতুল আরব, জাল হাদীস |
কাজ | বিচারক |
মুসলিম নেতা | |
যাদের প্রভাবিত করেন
|
ইজাজ আলী কুতুবউদ্দিনের কাছ থেকে কুরআন অধ্যয়ন করেন এবং হাফিজ শরফুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে কোরআন মুখস্থ করেছিলেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে ফারসি ভাষা শিখেছেন। তিনি মকসুদ আলী খানের কাছে থেকে উত্তর প্রদেশের তিলহর মাদ্রাসায় আরবি গুলশান ফয়েজে দরস-ই-নিজামীর প্রাথমিক বইগুলো পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি মাদ্রাসা আয়নুল ইলমে যান, যেখানে তিনি ক্বারী বশীর আহমদের কাছে থেকে কানজুদ দাকাইক ও মোল্লা জামে এবং কেফায়তুল্লাহ দেহলভীর কাছ থেকে ফারসি ও ফিকহ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অধ্যায়ন করেন।[4] ক্বারী বাশির আহমদ এবং কিফায়াতুল্লাহ দেহলভীর অনুরোধে আমরুহী দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান, যেখানে তিনি হাফেজ মুহাম্মদ আহমদ ও মাওলানা সাহুল ভাগলপুরীর অধীনে পড়াশোনা করেন। আমরুহী দেওবন্দে একবছর পূর্ণ করে মীরাট ভ্রমণ করেন, যেখানে তিনি আশিক এলাহী মীরাটির সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। তিনি আবার দেওবন্দে চলে আসেন এবং শায়খুল হিন্দ থেকে সহিহ বুখারী, তিরমিযী, সুনান আবু দাউদ এবং বায়যাভীর মতো বই অধ্যয়ন করেন। আমরুহী মুফতি আজিজুর রহমানের কাছ থেকে ফতোয়া এবং মাওলানা মুইজউদ্দিন আহমদের কাছ থেকে সাহিত্যের পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯০৩ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক হন।[3]
১৯০৩ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে, মাহমুদ হাসান দেওবন্দী তাকে ভাগলপুরের পুরেনী, মাদ্রাসা নোমানিয়ায় পাঠিয়েছিলেন যেখানে তিনি সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেছিলেন। অতঃপর তিনি শাহজাহানপুরে চলে যান এবং আফজাল আল-মাদারিসকে এমন একটি মসজিদে প্রতিষ্ঠিত করেন যেখানে তিনি পড়াতেন । বিনা পারিশ্রমিকে তিনি প্রায় তিন বছর এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। আমরুহী ১৯১১ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন, তিনি প্রথম বছরে ইলমুস সিগাহ, নুরুল ইজাহের মতো আরবি প্রাথমিক বই পড়াতেন। দারুল উলুমে তাঁর একাডেমিক জীবন ৪৪ বছর ধরে স্থায়ী হয়েছিল।
আমরুহী ১৯২৮ থেকে ১৯২৯ এবং ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত দুইবার প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেন, তার অধীনে প্রায় ২৪,৮৫৫ টি ফতোয়া লিপিবদ্ধ হয়েছে।। তিনি হুসেন আহমদ মাদানির অনুপস্থিতিতে সহিহ আল বুখারী পড়াতেন এবং জীবনের শেষ পর্বে তিনি বেশ কয়েক বছর তিরমিজীর দ্বিতীয় খণ্ডও পড়াতেন।[3] তাঁর উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মুহাম্মদ শফি দেওবন্দী[5][6], আনজার শাহ কাশ্মীরি,[7] মুহাম্মদ সেলিম কাশ্মী[8] এবং রাশেদ আহমদ লুধিয়ানভি।[9]
আমরুহী ১৯৫৫ সালে মারা যান এবং দারুল উলুম দেওবন্দের কাসেমি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[3] আনজার শাহ কাশ্মীরি তার জীবনী তাজকিরাতুল ইজাজ লিখেছেন।[11]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.