সালেম কাসেমি

সুন্নি ইসলামি পণ্ডিত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

সালেম কাসেমি

মুহাম্মদ সালেম কাসেমি (৮ জানুয়ারি ১৯২৬ - ১৪ এপ্রিল, ২০১৮) ভারতীয় দেওবন্দি একজন ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের মুহতামিম (উপাচার্য) ছিলেন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবির দৌহিত্র কারী মুহাম্মদ তৈয়ব কাসমির পুত্র। [১][২][৩][৪]

দ্রুত তথ্য আল্লামা মুহাম্মদ সালেম কাসেমিمحمد سالم القاسمي, ব্যক্তিগত তথ্য ...
আল্লামা মুহাম্মদ সালেম কাসেমি
محمد سالم القاسمي
Thumb
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম৮ জানুয়ারি ১৯২৬
মৃত্যু১৪ এপ্রিল ২০১৮
সমাধিস্থলদেওবন্দ, ভারত
ধর্মইসলাম
সন্তানমুহাম্মদ সুফিয়ান কাসেমি
পিতামাতা
জাতিসত্তাভারত
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
যেখানের শিক্ষার্থী
এর প্রতিষ্ঠাতা
বন্ধ

প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন

আল্লামা সালেম কাসেমি ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি দেওবন্দ থেকে পড়ালেখা শেষ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে তার শিক্ষকগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি, মওলানা ইজাজ আলী আমরোহী, মাওলানা ইব্রাহিম বালিয়াবি এবং মওলানা সৈয়দ ফখরুল হাসান মোরাদাবাদী। তিনি মিজান অধ্যয়ন করেন (আরবি ব্যাকরণ বই) মওলানা আশরাফ আলী থানভির অধীনে। [৫][৬]

কর্মজীবন

তিনি দেওবন্দ থেকে পড়ালেখা শেষ করে সেখানেই ১৯৪৮ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। আল্লামা মুহাম্মদ সালেম কাসেমি দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবির নাতি এবং কারী মুহাম্মদ তৈয়বের ছেলে। ১৯৮২ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে মতবিরোধ শুরু হলে তিনি তার বাবা খতিবে ইসলাম আল্লামা তৈয়্যবের সঙ্গে ওয়াকফ দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর মুহতামিম (উপাচার্য) ও শায়খুল হাদিসের ( ১৯৮২ সালে কারী মুহাম্মদ তৈয়বের মৃত্যুর পর) দায়িত্ব পালন করেন। দারস-ই-নিযামির সকল গুরুত্বপূর্ণ বই পাঠদান করেছেন তিনি, তবে তার শরহ আকাদদের পাঠদান ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। [৭][৮] ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মুহাম্মদ সালেম কাসেমি দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের মুহতামিম (উপাচার্য) ছিলেন। [৬][৯]

আল্লামা মুহাম্মদ সালেম কাসেমির কিছু উল্লেখযোগ্য রচনা:[৭][১০]

  • মাবাদি আল ত্ববিয়াত আল ইসলামী (আরবী)
  • জাইজা তজজামায়ে কুরআন করিম
  • তাজদার ই আর্জ হারাম ক পাইগাম
  • মার্দান-এ-গাজি
  • এক আজীম তরিকী খিদমত
  • সাফার নামা বার্মা
  • খুতবাত ই খতিবুল ইসলাম (তার বক্তৃতা সংগ্রহ) ৫ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

নেতৃত্বসমূহ

মুহাম্মদ সালেম কাসেমি তার জীবনকালের সময় নিম্নোক্ত পদে ছিলেন:[৫]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি

  • ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট আলেম হিসেবে মিশর সরকারের কাছ থেকে নিশান-ই-ইমতিয়াজ (পার্থক্য চিহ্নিত করণ) [৫]
  • চতুর্থ শাহ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার [১২]
  • ইমাম মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবি পুরস্কার, ২০১৪ [১৩]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার

মুহাম্মদ সালেম কাসেমি ২৯ শে এপ্রিল ২০১৮ সালে ৯২ বছর বয়সে মারা যান। [৯][১৪] ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে হুজযাতুল ইসলাম একাডেমী আল্লামা মুহাম্মদ সালেম কাসেমির জীবন শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করে। [৮] দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের তার উত্তরসূরি পুত্র আল্লামা মুহাম্মদ সুফিয়ান কাসমি[১৫]

নোট

1 ^ জাভেদ আহমদ গামিদির মিজান নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না।
2 ^ ইনস্টিটিউট অব অবজেক্টিভ স্টাডিজের জামিয়া নগর, নয়াদিল্লীর শাহ ওয়ালিউল্লাহ পুরস্কারের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না। রেফারেন্সটি হ'ল শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, কাকা নগর, নয়া দিল্লি সম্পর্কিত।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.