আ. ফ. ম. রুহুল হক

আ. ফ. ম. রুহুল হক (জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।^[২] সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।^[৩] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।^[১]

আ. ফ. ম. রুহুল হক
সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ ৬ জানুয়ারি ২০০৯ – ৬ আগস্ট ২০২৪[১]
পূর্বসূরী	এ এম রিয়াছাত আলী বিশ্বাস
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ ৬ জানুয়ারি ২০০৯ – ১২ জানুয়ারি ২০১৪
পূর্বসূরী	খন্দকার মোশাররফ হোসেন
উত্তরসূরী	মোহাম্মদ নাসিম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	(1944-02-11) ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ (বয়স ৮০) সাতক্ষীরা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ব	ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দল	বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
প্রাক্তন শিক্ষার্থী	নলতা উচ্চ বিদ্যালয় নটর ডেম কলেজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রুহুল হক ১৯৪৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নাজির আহমেদ এবং মায়ের নাম আছিয়া খাতুন।

তিনি ১৯৫৯ সালে নলতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬১ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআইসিএস ডিগ্রি লাভ করেন।^[৪]

রাজনৈতিক জীবন

রুহুল হক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।

তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত।

২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।^{[১][৫][৬][৭]}