আবুল কালাম ফায়জুল হক

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আবুল কালাম ফায়জুল হক

আবুল কালাম ফায়জুল হক (১৫ মার্চ ১৯৪৪–১৯ জুলাই ২০০৭) যিনি এ কে ফায়জুল হক নামে পরিচিত) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ, যিনি সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[]

দ্রুত তথ্য এ কে ফায়জুল হক, শ্রম ও শ্রমিককল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ...
এ কে ফায়জুল হক
Thumb
শ্রম ও শ্রমিককল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৪ নভেম্বর ১৯৮১  ২৪ মার্চ ১৯৮২
গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯  ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬  ১ অক্টোবরর ২০০১
বাকেরগঞ্জ-১৫ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯  ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
বরিশালের পিরোজপুর আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬  ১ অক্টোবরর ২০০১
পাকিস্তানের এমএনএ
কাজের মেয়াদ
১৯৭০  ১৯৭১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআবুল কাসেম ফায়জুল হক
(১৯৪৪-০৩-১৫)১৫ মার্চ ১৯৪৪
কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৯ জুলাই ২০০৭(2007-07-19) (বয়স ৬৩)
বারিধারা, ঢাকা
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীমরিয়ম বেগম (বিবাহ বিচ্ছেদ)
রুকসানা হক
সন্তানতিন ছেলে ও চার মেয়ে
পিতাআবুল কাশেম ফজলুল হক
আত্মীয়স্বজনরাজিয়া বানু (ভাগ্নী)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ডাকনামবাবু
বন্ধ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

এ কে ফায়জুল হক ১৯৪৪ সালের ১৫ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের একমাত্র পুত্র।

ফায়জুল সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক[] এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ ও ১৯৬৭ সালে এমএ পাস করে ঢাকার সেন্ট্রাল ল' কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।[]

কর্মজীবন

এ কে ফায়জুল হক ১৯৬৯ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সালাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের নির্বাহী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি নাভানা ট্রেডার্স অ্যান্ড মিলনার্সের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[]

এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিবাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির সাথে সদস্য ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি এবং বেশ কয়েকটি ক্লাব যেমন: ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ইস্ট এন্ড ক্লাবের সাথে জড়িত ছিলেন।[]

রাজনৈতিক জীবন

তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।[]

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীর পক্ষে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলেন।[] স্বাধীনতার পর দালাল আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি "পরিস্থিতির চাপে" এরূপ করতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে মুক্তির আবেদন করলে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।[]

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[] আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি প্রথমে শ্রম ও শ্রমিককল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও পরে গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[][]

পরবর্তীতে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[] শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

তার প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম ম্যারি (বিবাহ বিচ্ছেদ)

Thumb
তালাক নামা

যার ঘরে তার ছেলে এ কে ফাইয়াজুল হক (রাজু) ও মেয়ে ফারানাজ হক (রিপা)।

তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুকসানা হক এবং তাদের ঘরে ছেলে এ কে ফারজুল হক (ফায়সাল) ও ব্যারিস্টার এ কে ফজলুল হক জুনিয়ার (পিক্কু) ও মেয়ে ফারসামিন হক ইকবাল (ফ্লোরা), ফাহসিনা হক (লীরা) এবং ফাহ্‌মিনা হক (শেমা)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মৃত্যু

এ কে ফায়জুল হক ২০০৭ সালে ১৯ জুলাই ঢাকায় হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.