অ্যাস্টন অ্যাগার
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অ্যাস্টন চার্লস অ্যাগার (ইংরেজি: Ashton Agar; জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯৯৩) ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার হিসেবেই অস্ট্রেলিয়া দলে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। তবে, নিম্নসারির ব্যাটসম্যান হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। মূল দলে অন্তর্ভুক্ত না হয়েও ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের ১ম টেস্টে অভিষিক্ত হন অ্যাস্টন অ্যাগার।
![]() ২০১৮ সারের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে অ্যাস্টন অ্যাগার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাস্টন চার্লস অ্যাগার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১৪ অক্টোবর ১৯৯৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলিং অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৩৪) | ১০ জুলাই ২০১৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (জার্সি নং ১৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | পার্থ স্কর্চার্স (জার্সি নং ১৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮ | মিডলসেক্স (জার্সি নং ৪৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৯ | ওয়ারউইকশায়ার (জার্সি নং ৪৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ |
প্রারম্ভিক জীবন
মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী অ্যাগারের[১] মা শ্রীলঙ্কার অধিবাসী; বাবা অস্ট্রেলীয়।[২][৩] অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার পক্ষ হয়ে খেলেছেন।[৪] ২০১০-১১ মৌসুমে জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপে চমকপ্রদ সাফল্য লাভ করেন।[৫] এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৭ বছর বয়সে অভিষিক্ত হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে একটি টেস্ট এবং দশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন অ্যাগার।[৬] ২০১২ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অ্যাশটন টার্নারের পর দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে দলে ঠাঁই হয় তার।[৭][৮] কিন্তু ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি একটি খেলায়ও অংশ নিতে পারেননি।[৯]
ক্রিকেট জীবন
জুন, ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়া এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সফরে যান।[১০][১১] তার সঙ্গী ছিলেন পাকিস্তানি শরণার্থী ফাহাদ আহমেদ, যিনি জুলাই, ২০১৩ সালের শুরুতে অস্ট্রলিয়ার নাগরিকত্ব লাভ করেছেন, তাকে ২০১৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে দলের সদস্যের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল।[১২] নাথান লায়নের পর দলে দ্বিতীয় স্পিনারের জন্য একজনকে সফর থেকে নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।[১৩] সফরে দারুণ সাফল্য লাভ করায় অ্যাগারকে ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের ১ম টেস্টে অন্তর্ভুক্ত করে লায়নকে মাঠের বাইরে রাখা হয়।[১৪] অভিষেককালীন তার বয়স ছিল ১৯ বছর ২৬৯ দিন, যা তাকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকায় দ্বাদশ স্থানে রাখে।[১৫] এ তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ১৯২৮-২৯ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষিক্ত হওয়া আর্চি জ্যাকসনের।[১৬]
অভিষেকে একাদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে টেস্ট ইতিহাসে প্রথম অর্ধ-শতক, ৯৮ রান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এছাড়াও, ফিলিপ হিউজের সাথে জুটি গড়ে দশম উইকেটে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.