মিজো ভাষা
From Wikipedia, the free encyclopedia
মিজো ভাষা ভারতের মিজোরাম অঙ্গরাজ্যে প্রচলিত একটি ভাষা। এটি চীনা-তিব্বতি ভাষাপরিবারের তিব্বতি-বর্মী উপপরিবারের কুকি-চিন দলের একটি ভাষা। মিজোভাষীরা মূলত মিজোরামে বাস করলেও এর বাইরে ভারতের মণিপুর ও ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যে, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের চিন পর্বত অঞ্চলে মিজো ভাষাভাষীরা বাস করে।
মিজো | |
---|---|
দেশোদ্ভব | ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার |
অঞ্চল | মিজোরাম, ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর |
মাতৃভাষী | ৭ লক্ষের বেশি
|
চীনা-তিব্বতি
| |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | মিজোরাম (ভারত) |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-২ | lus |
আইএসও ৬৩৯-৩ | lus |
গ্লোটোলগ | lush1249 [1] |
মিজো ভাষার বিভিন্ন উপভাষাতে ৭ লক্ষেরও বেশি লোক কথা বলে। ভাষাটি লুশাই ভাষা নামেও পরিচিত। পাশ্চাত্য থেকে আগত ধর্মপ্রচারক খ্রিস্টান পাদ্রিরা ভাষাটির জন্য রোমান লিপিভিত্তিক একটি লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা বর্তমানে ভাষাটি লিখতে ব্যবহার করা হয়। বর্ণগুলি হল: a, â, á, à, aw, b, ch, d, e, ê, é, è, f, g, ng, h, i, ì, í, j, k, l, m, n, o, p, r, s, t, u, û, v, এবং z। মিজো একটি সুরপ্রধান ভাষা; অর্থাৎ একই শব্দের বলার সুরের উপর ভিত্তি করে অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে।
মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মিজো ভাষা ও সাহিত্যের উপর একটি বিভাগ রয়েছে।
- হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Mizo"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।