![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a4/2019_Toyota_Corolla_Icon_Tech_VVT-i_Hybrid_1.8.jpg/640px-2019_Toyota_Corolla_Icon_Tech_VVT-i_Hybrid_1.8.jpg&w=640&q=50)
গাড়ি
এক থেকে আটজন যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত চার চাকাযুক্ত মোটরযান / From Wikipedia, the free encyclopedia
গাড়ি বা মোটরগাড়ি চাকাযুক্ত একপ্রকার মোটরযান। এটি মূলত সড়কপথে চলাচল করে, এক থেকে আটজন যাত্রীকে বহন করতে পারে এবং সাধারণত মাল পরিবহনের তুলনায় যাত্রী পরিবহনেই বেশি ব্যবহৃত হয়।[1][2] বাংলা ভাষায় অন্যান্য প্রকারের যানবাহন বোঝাতেও "গাড়ি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যেমন গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, রেলগাড়ি ইত্যাদি। এই নিবন্ধটি মূলত মোটরগাড়ি নিয়ে আলোচনা করছে।
গাড়ি | |
---|---|
![]() ১৯৬৬ সাল থেকে উৎপাদনশীল টয়োটা করোলা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মোটরগাড়ির মধ্যে অন্যতম। | |
শ্রেণীবিভাগ | মোটরযান |
শিল্প | বিভিন্ন |
প্রয়োগ | মূলত যাত্রী পরিবহন |
জ্বালানী উৎস | |
চালিত | হ্যাঁ |
স্ব-চালিত | হ্যাঁ |
চাকা | ৩টি থেকে ৬টি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪টি |
অক্ষ | ২টি, কিছুক্ষেত্রে ৩টি |
উদ্ভাবক | কার্ল বেঞ্জ |
উদ্ভাবন | ১৮৮৬; ১৩৮ বছর আগে (1886) |
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/1e/Benz-velo.jpg/640px-Benz-velo.jpg)
১৭৬৯ সালে ফরাসি উদ্ভাবক নিকোলা-জোসেফ কুগনো প্রথম বাষ্পচালিত সড়ক যানের উদ্ভাবন করেছিলেন। ১৮০৮ সালে সুইস উদ্ভাবক ফ্রাঁসোয়া ইজাক দ্য রিভাজ প্রথম অন্তর্দহন ইঞ্জিন চালিত মোটরগাড়ি তৈরি করেছিলেন। ১৮৮৬ সালে দৈন্দিন ব্যবহার্য আধুনিক মোটরগাড়ির উদ্ভাবন করা হয়েছিল, যখন জার্মান উদ্ভাবক কার্ল বেঞ্জ তাঁর বেঞ্জ পাটেন্ট-মোটরভাগেনের কৃতিস্বত্ব সংরক্ষিত করেছিলেন। বিংশ শতাব্দী জুড়ে বাণিজ্যিক মোটরগাড়ি বহুল প্রচলিত হয়েছিল। ১৯০৮ সালে ফোর্ড মডেল টি চালু হয়েছিল, যা সাধারণ জনগণের ক্রয়যোগ্য প্রথম মোটরগাড়ির মধ্যে অন্যতম। ফোর্ড মোটর কোম্পানি এই মার্কিন গাড়িটি তৈরি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে মোটরগাড়ি বহুল প্রচলিত হয়েছিল, যা আগেকার ঘোড়ার গাড়ির জায়গা দখল করেছিল।[3] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে মোটরগাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল।[4] মোটরগাড়িকে উন্নত অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মনে করা হয়।
মোটরগাড়িতে চালনা ও নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং বিভিন্নরকম বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে। বিগত কয়েক দশকে গাড়িতে আরও বৈশিষ্ট্য ও ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে, যার ফলে এটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে পিছনে দেখার ক্যামেরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, দিক নির্ণয় ও বিনোদন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। ২০২০-এর দশকের শুরুতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গাড়ি অন্তর্দহন ইঞ্জিন ও জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা চালিত। মোটরগাড়ির ইতিহাসের প্রারম্ভেই উদ্ভাবিত বৈদ্যুতিক গাড়ি ২০০০-এর দশকের বাণিজ্যিকভাবে লভ্য হয়ে উঠেছিল এবং ২০২৫ সালের আগে এর খরচ পেট্রলচালিত গাড়ির চেয়ে কম হওয়ার কথা।[5][6] জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর মূলত জলবায়ু পরিবর্তন উপশম করার একটি উপায় বলে মনে করা হচ্ছে।[7]
গাড়ি ব্যবহারে লাভ ও ক্ষতি রয়েছে। ব্যক্তিগত ক্ষতির মধ্যে রয়েছে গাড়ি কেনা, সুদ পরিশোধ (ধার করে কেনা গাড়ির ক্ষেত্রে), মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি, অবচয়, চালানোর সময়, গাড়ি রাখার ফি ও বীমা।[8] সামাজিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, জমির ব্যবহার, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জনস্বাস্থ্য এবং জীবনকালের শেষে গাড়িকে পরিত্যাগ করা। সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বজুড়ে আঘাতে মৃত্যুর বৃহত্তম কারণ।[9] ব্যক্তিগত লাভের মধ্যে রয়েছে চাহিদামাফিক পরিবহন, সচলতা, স্বাধীনতা ও বিভিন্নরকম সুবিধা।[10] সামাজিক লাভের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক লাভ (যেমন মোটরগাড়ি শিল্প থেকে জীবিকা ও সম্পত্তি সৃষ্টি), পরিবহনে সংস্থান, অবসরযাপন ও ভ্রমণে সুযোগ এবং কর আদায়ের মাধ্যমে অর্থ লাভ।[11]
বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মোটরগাড়ি রয়েছে। মূলত চীন, ভারত ও অন্যান্য নতুন শিল্পোন্নত দেশে মোটরগাড়ির ব্যবহার সচরাচর বৃদ্ধি পাচ্ছে।[12]