Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০২২ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ষ্ঠ সংস্করণ যেখানে দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় দলগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[1][2] নেপালের কাঠমান্ডুতে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | নেপাল |
তারিখ | ৬ - ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ |
দল | ৭ (১টি উপ-কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১ (১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | বাংলাদেশ (১ম শিরোপা) |
রানার-আপ | নেপাল |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১২ |
গোল সংখ্যা | ৫৯ (ম্যাচ প্রতি ৪.৯২টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩০,০৪৮ (ম্যাচ প্রতি ২,৫০৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | সাবিনা খাতুন (৮টি গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | সাবিনা খাতুন |
সেরা গোলরক্ষক | রূপনা চাকমা |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | বাংলাদেশ |
২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশ ও নেপাল মুখোমুখি হয়, এতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল নেপালকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে তাদের প্রথম শিরোপা অর্জন করে ও ২০২২ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়।[3] ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে ১৪ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে মনিকার বাড়ানো বলে শামসুন্নাহার বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম গোল করেন। ৪১তম মিনিটে হাওয়ায় ভাসানো শটে কৃষ্ণা রানী সরকার দ্বিতীয় গোলটি করেন। তারপর নেপাল ম্যাচে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে। ৭০তম মিনিটে কোনাকুনি শটে নেপালের পক্ষে অনিতা বাসনেত একটি গোল করেন। তবে ৭৭তম মিনিটে কৃষ্ণা রানী সরকার বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করে বাংলাদেশ জয় সুনিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশী খেলোয়াড় সাবিনা খাতুন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। এছাড়া সর্বাধিক ৮টি গোল করে তিনি শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কারও জিতেন।[4] বাংলাদেশের রূপনা চাকমা সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেন, তিনি এই টুর্নামেন্টে সর্বাধিক চারটি গোল বাঁচান।[5]
২০২২ সালের ২ জুলাই মাসে, সাফ সাধারণ সভায় ২০২২ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হিসাবে নেপালের নাম ঘোষণা করা হয়। শুরুতে ১২ আগস্ট থেকে সাফ আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও, অখিল নেপাল ফুটবল সংঘের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ায় তা পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে আয়োজন করা হয়।[6]
স্বাগতিক নেপাল ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার আরও ছয়টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দুই আসর বিরতির পর পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়।
দেশ | উপস্থিতি | পূর্বের সেরা অর্জন | ফিফা ক্রম আগস্ট ২০২২ |
---|---|---|---|
ভারত | ৬ষ্ঠ | ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯ ) | চ্যাম্পিয়ন (৫৮ |
নেপাল (স্বাগতিক) | ৬ষ্ঠ | ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৯) | রানার্স আপ (১০২ |
বাংলাদেশ | ৬ষ্ঠ | রানার্স আপ (২০১৬) | ১৪৭ |
মালদ্বীপ | ৬ষ্ঠ | সেমি ফাইনাল (২০১৬) | ১৫৬ |
শ্রীলঙ্কা | ৬ষ্ঠ | সেমি ফাইনাল (২০১২, ২০১৪, ২০১৯) | ১৫৩ |
ভুটান | ৬ষ্ঠ | গ্রুপ পর্ব (২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯) | ১৭৬ |
পাকিস্তান | ৪র্থ | সেমিফাইনাল (২০১০) | প্র/না |
কাঠমান্ডু | |
---|---|
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম | |
ধারণক্ষমতা: ১৫,০০০[7] | |
গ্রুপ টেবিলের রঙের অর্থ | |
---|---|
গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার্স–আপদল গুলো সেমি–ফাইনালে অগ্রসর হয়েছিল। |
সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ – কাঠমান্ডু | ||||||
বাংলাদেশ | ৮ | |||||
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ – কাঠমান্ডু | ||||||
ভুটান | ০ | |||||
বাংলাদেশ | ৩ | |||||
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ – কাঠমান্ডু | ||||||
নেপাল | ১ | |||||
নেপাল | ১ | |||||
ভারত | ০ | |||||
বাংলাদেশ | ৩–১ | নেপাল |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
৬ষ্ঠ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ |
---|
বাংলাদেশ প্রথম শিরোপা |
টুর্নামেন্ট শেষে নিম্নলিখিত পুরস্কারগুলি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ গোলদাতা, সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় (সেরা খেলোয়াড়) এবং সেরা গোলরক্ষক (সর্বাধিক গোল বাঁচানো গোলরক্ষক) পুরস্কার দেওয়া হয়।[4][5]
সেরা খেলোয়াড় | সর্বোচ্চ গোলদাতা | সেরা গোলরক্ষক | ফেয়ার প্লে পুরস্কার |
---|---|---|---|
সাবিনা খাতুন | সাবিনা খাতুন | রূপনা চাকমা | বাংলাদেশ |
এই প্রতিযোগিতায় ১২টি ম্যাচে ৫৯টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ৪.৯২টি গোল (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ অনুযায়ী)।
৮টি গোল
৪টি গোল
৩টি গোল
২টি গোল
১টি গোল
১টি আত্মঘাতী গোল
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.