হাত ধোয়া
স্বাস্থবিধি / From Wikipedia, the free encyclopedia
হাত ধোয়া বা হাতের স্বাস্থ্যবিধি পালন বলতে সাবান বা হাতধোয়ার তরল সাবান (হ্যান্ডওয়াশ) ও পানি (জল) দিয়ে কোনও ব্যাক্তির হাত ধুয়ে হাতে আটকে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব, ময়লা, তৈলাক্ত পদার্থ বা অন্যান্য ক্ষতিকারক ও অবাঞ্ছিত পদার্থ দূর করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। একে ইংরেজিতে "হ্যান্ডওয়াশিং" বা "হ্যান্ড হাইজিন" বলা হয়। ধোয়া হাত শুকানোও এই প্রক্রিয়াটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ ভেজা এবং আর্দ্র হাত আরও সহজে পুনরায় দূষিত হতে পারে।[1][2] যদি সাবান এবং জল অনুপলব্ধ হয় এবং হাত দৃশ্যমানভাবে অতিরিক্ত নোংরা বা তৈলাক্ত না হয় তবে হাত জীবাণুমুক্তকারক যা কমপক্ষে ৬০% (ভি/ভি) জলে অ্যালকোহল মিশ্রিত করে ব্যবহার করা যেতে পারে।[3][4] বাড়িতে এবং দৈনন্দিন জীবনের চক্রে সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে হাতের স্বাস্থ্যবিধি মূখ্য বিষয়।[5]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কিছু কাজের আগে এবং পরে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধোয়ার পরামর্শ দেয়।[6][7] এর মধ্যে রয়েছে দিনের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যেখানে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া মল-মৌখিক রোগের সংক্রমণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: টয়লেট ব্যবহার করার পরে (প্রস্রাব, মলত্যাগ, মাসিক স্বাস্থ্যবিধির জন্য), শিশুর তলদেশ পরিষ্কার করার পরে (ন্যাপী পরিবর্তন করা), একটি শিশুকে খাওয়ানোর আগে, খাওয়ার আগে এবং খাবার তৈরি করার আগে/পরে, কাঁচা মাংস-মাছ ধোয়া বা হাঁস-মুরগি প্রতিপালনের পর ইত্যাদি।[8]
যদি হাত ধোয়ার তরল সাবান (হ্যান্ডওয়াশ) এবং হাত জীবাণুমুক্তকারকের কোনোটিই লভ্য না থাকে, তখন বিশুদ্ধ ছাই এবং পরিষ্কার জল দিয়ে হাত পরিষ্কার করা যেতে পারে, তবে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিস্তার কমাতে ছাইয়ের উপকারিতা এবং সম্ভাব্য ক্ষতি অনিশ্চিত।[9] ঘন ঘন হাত ধোয়ার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।[10] আর্দ্রকারক লোশন (ময়শ্চারাইজিং লোশন) প্রায়ই হাত শুকানো থেকে রক্ষা করার জন্য সুপারিশ করা হয়; শুষ্ক ত্বকের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে যা জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।[11]