স্টার্লিং ওয়াল্টার হেইডেন (জন্ম স্টার্লিং রেলিয়ে ওয়াল্টার; মার্চ ২৬, ১৯১৬ – মে ২৩, ১৯৮৬) একজন মার্কিন অভিনেতা এবং লেখক। তার অভিনয় জীবনের বেশীরভাগ চরিত্র তিনি ওয়েস্টার্ন এবং নোয়া চলচ্চিত্রে মূখ্য অভিনেতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার জনপ্রিয় ছবিগুলো হলো জনি গিটার, দি অ্যাসফল্ট জাংগল, এবং দ্য কিলিং। পরবরতিতে তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন পার্শ্ব-চরিত্র জেনারেল জ্যাক ডি রিপারের চরিত্রে ১৯৬৪ সালের “ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ অরঃ হাউ আই লার্ন্ড টু স্টপ ওয়ারিইং এন্ড লাভ দ্য বম্ব” ছবিতে অভিনয়ের জন্য। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হল ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা’র দ্য গডফাদার (১৯৭২) চলচ্চিত্রে আইরিশ পুলিশ অফিসার ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি এবং দ্য লং গুডবায় (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে ঔপন্যাসিক রজার ওয়েইড’এর চরিত্র। তিনি বার্নার্ডো বার্টোলুচির ১৯০০ ইন ১৯৭৬ এ মূখ্য চরিত্র লিও দালকো’র চরিত্রে অভিনয় করেন। ৬ফিট ৫ ইঞ্চি উচ্চতায় হেইডেন বেশীরভাগ অভিনেতাকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন।[1]  

দ্রুত তথ্য স্টার্লিং হেইডেন, জন্ম ...
স্টার্লিং হেইডেন
Thumb
এসফল্ট জাঙ্গল চলচ্চিত্রে (১৯৫০)
জন্ম
স্টার্লিং রেলিয়ে ওয়ালটার

(১৯১৬-০৩-২৬)২৬ মার্চ ১৯১৬
মৃত্যু২৩ মে ১৯৮৬(1986-05-23) (বয়স ৭০)
অন্যান্য নামস্টার্লিং ওয়ালটার হেইডেন
জন হ্যামিল্টন
পেশাঅভিনেতা, লেখক, নাবিক, মডেল, ইউনাইটেড স্টেইটস মেরিন কোর, অফিস অফ স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিসেস এজেন্ট
কর্মজীবন১৯৪১-৮২
উচ্চতা৬ ফিট ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মিটার)
দাম্পত্য সঙ্গীম্যাডেলিন ক্যারল
(১৯৪২-৪৬)
বেটি এন ডে নুন
(১৯৪৭-৫৮)
ক্যাথেরিন ডিভাইন ম্যাক কনেল
(১৯৬০–৮৬)
সন্তানডে নুন-এর সাথে: ক্রিশ্চিয়ান, ডেইনা এবং ম্যাথিউ এবং গ্রেচেন রাকার্ট ম্যাক কনেলের সাথেঃ এন্ড্রু, ডেভিড
বন্ধ

জীবনী

তারুণ্য এবং শিক্ষা

হেইডেন ২৬ শে মার্চ ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আপার মন্টক্লেয়ার-এ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতামাতা জর্জ ও ফ্রান্সেস ওয়াল্টার তাঁর নাম রেখেছিলেন স্টার্লিং রেলিয়ে ওয়াল্টার।[2][3] তার পিতার মৃত্যুর পর  ৯ বছর বয়সে তাকে দত্তক নেন জেমস হেইডেন নামে এক ব্যক্তি এবং তার নাম দেন স্টার্লিং ওয়াল্টার হেইডেন। বাল্যকালে তার বসবাস ছিল যুক্তরাজ্যের নিউ ইংল্যান্ড এলাকা এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার, ম্যাসাচুসেটস, পেন্সিলভেনিয়া, ওয়াশিংটন ডি সি এবং মেইন অঙ্গরাজ্যে।  

হেইডেনের পরিবার ছিল খুবই দরিদ্র, তথাপি সে প্রেপ স্কুলে ভর্তি হয়। সে ১৬ বছর বয়সে স্কুলের লেখাপড়া ছেড়ে দেয় এবং পালতোলা জাহাজের সহকারী হিসেবে কাজ নেয়। তাঁর প্রথম সমুদ্রযাত্রা ছিল কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ লন্ডন থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরজ্যের নিউপোর্ট বীচ।[4] পরবর্তীতে তিনি কাজ করেন ক্যানাডার নিউ ফিনল্যান্ড দ্বীপে জেলে, চার্টার ইয়াট চালনা, এবং জেলে হিসেবে ১১ বার স্টীমার চড়ে কিউবা যান। কাপ্তান হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার পর তিনি ১৯৩৭ সালে বিশ্ব ভ্রমণকারী জাহাজ ইয়াঙ্কি’র সহকারী হিসেবে কাজ করেন। বেশ কয়েকবার জলপথে পৃথিবী ভ্রমণের পর ২২ বছর বয়সে তাঁকে কাপ্তানের দায়েত্ব দেয়া হয়, এবং তিনি ফ্লোরেন্স সি রবিনসন নামে একটি জলতরীতে ১৯৩৮ সালে ম্যাসাচুসেটস থেকে ৭,৭০০ মেইল পাড়ি দিয়ে তাহিতি পৌঁছেন।[4][5][6]

প্রারম্ভিক হলিউড জীবন

প্রথমদিকে হেইডেন সাময়িকীর মডেল হিসেবে কাজ করতেন পরে তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। প্যারামাউন্ট পিকচার্স এই ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা অভিনেতাকে “চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ” এবং “সুদর্শন সোনালী কেশের ভাইকিং দেবতা” হিসেবে আখ্যায়িত করে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল এডওয়ার্ড এইচ গ্রিফিথ পরিচালিত ভার্জিনিয়া (১৯৪১)। তার বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেত্রী মেডেলিন ক্যারল, যার সাথে তিনি পরবর্তিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হেইডেন, গ্রিফিথ এবং ক্যারল আবার একত্রিত হন বাহামা প্যাসেজ (১৯৪১) চলচ্চিত্রে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদান

শুধু দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি হলিউড ছেড়ে ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কোর-এ যোগ দেন প্রাইভেট হিসেবে। তিনি সেখানে জন হ্যামিল্টন ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। প্যারিস আইল্যান্ডে অবস্থানের সময় তাঁকে অফিসার ক্যান্ডিডেট স্কুলে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়।

পাশ করার পর তিনি সেকন্ড লুটেনেন্ট হিসেবে কমিশন পান। তিনি একজন গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন অফিস অফ স্ট্র্যাটিজিক সার্ভিসেস (OSS)-এ।[7][8][9]

জন হ্যামিল্টন নামে একজন ও এস এস প্রতিনিধি হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে কাজগুলো করেন সেগুলো হল মালামাল নিয়ে সমুদ্রপথে ইতালি থেকে যুগোস্লাভিয়া যাওয়া এবং প্যারাশুট দিয়ে বিমান থেকে ফ্যাসিবাদ ক্রোয়েশিয়ায় অবতরণ করা। তিনি নেপলস-ফোজিয়া যুদ্ধে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর ১৩, ১৯৪৪ তারীখে ফার্স্ট লুটেনেন্ট এবং ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পান। তিনি বাল্কান এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক মর্যাদা সিল্ভার স্টার পদক জয়ী হন। এছাড়া তিনি শত্রু অঞ্চলে প্যারাশুট নিয়ে অবতরণের জন্য ব্রঞ্জ এরোহেড এবং যুগোস্লাভিয়ার নেতা মার্শাল টিটো’র প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন ডিসেম্বর ২৪, ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দে।

হলিউডে প্রত্যাবর্তন এবং সাম্যবাদ ভীতি

হেইডেন হলিউডে ফিরে আসেন ব্লেইয অফ নুন (১৯৪৭) ছবিতে অভিনয় করতে।

সাম্যবাদীদে গোষ্ঠির প্রতি প্রচুর শ্রদ্ধাবোধের কারণে তিনি কিছুকাল কমুনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্র জগতে কমুনিস্ট পার্টির প্রভাব খাটানোর কাজে সক্রিয় ছিলেন।[10] যখন কমুনিস্ট ভীতি প্রবল আকার ধারণ করে, তখন তিনি “হাউয আন-আমেরিকান এক্টিভিটিয কমিটিকে সহায়তা করেন এবং হলিউডের কিছু সাম্যবাদী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন। এব্যপারে পরে তিনি তাঁর আত্মজীবনীতে বলেনঃ “আপনাদের সামান্যতম ধারণা নেই আমার নিজের প্রতি কতটুকু অশ্রদ্ধা জেগেছিল এই কাজটি করার পর থেকে।“ হাউয আন-আমেরিকান এক্টিভিটিয কমিটি ছিল মার্কিন সরকারের একটি তদন্ত সংস্থা যা ১৯৩৮ সালে গঠিত হয়েছিল এবং ১৯৭৫ সালে বিলোপ করা হয়। সংস্থাটি সাম্যবাদের প্রতি সাধারণ জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের সমর্থন ও দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ তদন্ত করত।

হেইডেন পাইন থমাস প্রডাকশন্সের জন্য দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন – এল পাসো (১৯৪৯) এবং ম্যানহ্যান্ডল্ড (১৯৪৯)।

দ্য অ্যাসফল্ট জাংগল

হেইডেনের অভিনয় পেশায় একটি বড় উন্নতি ঘটে যখন জন হিউস্টন তাঁকে ডাকাতির ঘটনার উপর নির্মিত দি অ্যাসফল্ট জাংগল (১৯৫০) চলচ্চিত্রের মূখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করেন। যদিও ছবিটির বক্স অফিসের সাফল্য ছিল কম, এটি প্রচুর প্রশংসা পায় এবং হেইডেনকে মূখ্য পুরুষ অভিনেতার আসনে অধিষ্টিত করে।

১৯৫২ সালের জার্নি ইন্টু লাইট চলচ্চিত্রে হেইডেন একজন খ্রিষ্টান পাদ্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন, যিনি তাঁর ধর্মের ব্যপারে সন্দিহান ছিলেন। যদিও এটি ব্যবসা সফল হয়নি, ফ্লেমিং ফেদার (১৯৫২) ভাল ব্যবসা করে।

তারপর তিনি যে চলচ্চিত্রগুলিতে অভিনয় করেনঃ ডেনভার এন্ড রিও গ্র্যান্ড (১৯৫২), ওয়েস্টাআর্ন; হেলগেইট (১৯৫২), ওয়েস্টার্ন; দ্য গোল্ডেন হক (১৯৫২), জলদস্যুর কাহিনী; ফ্ল্যাট টপ (১৯৫২), কোরিয়ান যুদ্ধের উপর নির্মিত; ফাইটার এটাক (১৯৫৩), দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাহিনী।

১৯৫৩ সালের “সো বিগ” ছিল একটি মিলনান্তক কাহিনী। তারপর তিনি করেন কিছু মধ্যম বাজেটের চলচ্চিত্রঃ টেইক মি টু টাউন (১৯৫৩), একটি ওয়েস্টার্ন; ক্যান্সাস প্যাসিফিক (১৯৫৩), আরেকটি ওয়েস্টার্ন; ক্রাইম ওয়েইভ (১৯৫৪), নোয়া চলচ্চিত্র। অতঃপর তিনি ফিরে যান মধ্যম বাজেটের একশান চলচ্চিত্রেঃ টেইক মি টু টাউন (১৯৫৩), একটি ওয়েস্টার্ন; ক্যান্সাস প্যাসিফিক (১৯৫৩), একটি ওয়েস্টার্ন; ক্রাইম ওয়েইভ (১৯৫৪), একটি নোয়া চলচ্চিত্র।

১৯৫৪ সালের প্রিন্স ভ্যালিয়েন্ট চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর জনি গিটার (১৯৫৪) ছিল আরেকটি ওয়েস্টার্ন। ছবিটি খুবই জনপ্রিয়তা পায়।

তারপর তিনি অভিনয় করেন কিছু নোয়া চলচ্চিত্রেঃ নেকেড এলাবাই (১৯৫৪); সাডেনলি (১৯৫৪); অতঃপর কিছু একশান চলচ্চিত্রঃ ব্যাটল ট্যাক্সি (১৯৫৪), একটি কোরিয় যুদ্ধের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র; টিম্বারজ্যাক (১৯৫৫), একটি ওয়েস্টার্ন; শটগান (১৯৫৫), ওয়েস্টার্ন; দ্য ইটার্নাল সি (১৯৫৫), একটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র; টপ গান (১৯৫৫), ওয়েস্টার্ন।

Thumb
শেরিফ টড শ'র চরিত্রে ১৯৫৪-এর নোয়া চলচ্চিত্র "সাডেনলি"-তে হেইডেন

দ্য লাস্ট কম্যান্ড (১৯৫৫) ছিল এলামোর উপর নির্মিত চলচ্চিত্র; দ্য কাম অন (১৯৫৬) ছিল একটি নোয়া চলচ্চিত্র।

হেইডেনের পরবর্তি চলচ্চিত্রটি ছিল একটি ডাকাতির উপর নির্মিত দ্য কিলিং (১৯৫৬), যা তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। এটি ছিল পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিকের প্রথম দিকের ছবি।

তার পরবর্তি চলচ্চিত্রগুলোঃ ক্রাইম অফ প্যাশান (১৯৫৭), নোয়া চলচ্চিত্র; ফাইভ স্টেপ্স টু ডেঞ্জার (১৯৫৭), রহস্য চলচ্চিত্র; ভ্যালারি (১৯৫৭), ওয়েস্টার্ন; যিরো আওয়ার! (১৯৫৭), ধ্বংসাত্মক চলচ্চিত্র; গান ব্যাটল এট মন্টারে (১৯৫৭), ওয়েস্টার্ন; দ্য আয়রন শেরিফ (১৯৫৭), ওয়েস্টার্ন; টেন ডেইয টু টুলারা (১৯৫৮), দুঃসাহসিক চলচ্চিত্র; টেরর ইন এ টেক্সাস টাউন (১৯৫৮), ওয়েস্টার্ন।

ভ্রমণ

হেইডেন প্রায়শঃই অভিনয়ের প্রতি তঁর বিস্বাদের কথা বলতেন, তিনি বলতেন যে তিনি অবিনয় করেন  তার সমুদ্র ভ্রমণের খরচ উঠাতে। ১৯৫৮ সালে বেটি এন নুনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি তার সন্তানদের তত্ত্বাবধানের অনুমতি পান। তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তার ৪ সন্তান ক্রিশ্চিয়ান, ডেইনা, গ্রেচেন এবং ম্যাথিউকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্রপথে তাহিতি যাত্রা করেন।[11] তারা স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে তাহিতি যাত্রা করেন, সেখানে তার একটি চলচ্চিত্রের চিত্র গ্রহণের কথা ছিল।

তৃতীয় বিবাহ

১৯৬০ সালে হেইডেন ক্যাথরিন ডেভিন ম্যাককনেল এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৯৮৬ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত এক সাথে ছিলেন। তাদের ঘরে জন্ম নেয় দুই ছেলেঃ এন্ড্রু এবং ডেভিড। ম্যাক কনেলের আগের বিয়ে থেকেও তার এক ছেলে ছিল যার নাম স্কট ম্যাক কনেল।

৬০ দশকের প্রথম দিকে হেইডেন বার্কলি নামের একটি খেয়া তরীতে একটি ঘর ভাড়া করেন। তিনি সেখানে থেকে তার আত্মজীবনী “ওয়ান্ডারার” লেখা শুরু করেন, যা প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে।

হলিউডে প্রত্যাবর্তন

হলিউডে ফিরে তিনি টেলিভিশনে এ ক্যারল ফর এনাদার ক্রিসমাস (১৯৬৪) এ অভিনয় করেন। তারপর স্ট্যানলি কুবরিকের ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ (১৯৬৪) এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। হার্ড কন্টাক্ট (১৯৬৯) এ তিনি জেমস কোবার্নের সাথে অভিনয় করেন।

পরবর্তী চলচ্চিত্র অভিনয় ও বই লেখা

দু’টি চলচ্চিত্র দ্য গডফাদার (১৯৭২) এবং দ্য লং গুডবাই (১৯৭৩) এ তিনি ছোট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ইউরোপেও কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেনঃ দ্য ফাইনাল প্রোগ্রাম (১৯৭৩), ডেডলি স্ট্রেঞ্জার্স (১৯৭৫), এবং ১৯০০ (১৯৭৫)।

৭০’এর দশকে তিনি এন বি সি’র টম স্নাইডারের উপস্থাপনায় টুমরো শো’তে বেশ কয়েকবার অংশগ্রহণ করেন এবং সমুদ্রপথে তাঁর বিশ্বভ্রমণের গল্প বলেন। ১৯৬৯ সালে নেদারল্যান্ডে তিনি একটি বজরা ক্রয় করেন, পরে তিনি সেটাকে প্যারিসে নিয়ে যান এবং কিছু সময় সেটাতে বসবাস করেন। তাঁর একটি বাড়ি ছিল উইল্টন,কানেটিকাটে এবং সসালিটোয় একটি এপার্ট্মেন্ট ছিল।

তিনি হলিউডে আবার ফিরে আসেন এবং তাঁর শেষ চলচ্চিত্রগুলো ছিলঃ কিং অফ দ্য জিপসিয (১৯৭৮), উইন্টার কিলস (১৯৭৯), নাইন টু ফাইভ (১৯৮০), এবং ভেনম (১৯৮১)।

হেইডেন দু’টি বিখ্যাত বই লিখেছিলেনঃ একটি তাঁর আত্মজীবনী “ওয়ান্ডারার” (১৯৬২) এবং আরেকটি ছিল একটি উপন্যাস “ভয়েজ” (১৯৭৬)।

মৃত্যু

স্টার্লিং হেইডেন প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭০।

সামরিক পুরস্কার

সিল্ভার স্টার

ইউরোপিয়ান-আফ্রিকান-মিডল ঈস্টার্ন ক্যাম্পেইন মেডাল উইথ ব্রঞ্জ এরোহেড

ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু ভিক্টোরি মেডাল

তথ্যসূত্র

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.