সুরঞ্জন দাশ
From Wikipedia, the free encyclopedia
সুরঞ্জন দাশ (২২ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ - ১০ জানুয়ারী ১৯৭০) ছিলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পাইলট, যিনি বিমানবাহিনীর প্রথম পরীক্ষামূলক টেস্ট পাইলটদের (ETP) একজন হয়ে আমৃত্যু কুড়ি বছর ধরে সমস্ত জেট বিমানের মূল্যায়ন করেন।[4] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে যোগদান করেন এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য একজন পরীক্ষামূলক পরীক্ষা পাইলটের জন্য এম্পায়ার টেস্ট পাইলট স্কুলে প্রথম যোগ দেন। তিনি ১৯৬৭-৬৯ খ্রিস্টাব্দে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসাবে হালওয়ারা এয়ার ফোর্স স্টেশন বেসের কমান্ডার ছিলেন এবং ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দ হতে আমৃত্যু ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফ্ট ও আর্মামেন্ট টেস্টিং গ্রুপের পরিচালক ছিলেন। [5] তিনি ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। তিনি ছিলেন সুধীরঞ্জন দাশের পুত্র [6] HAL HF-24 প্রোটোটাইপ পরীক্ষা করার সময় তিনি একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। [7]
সুরঞ্জন দাশ | |
---|---|
জন্ম | (১৯২০-০২-২২)২২ ফেব্রুয়ারি ১৯২০ কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) |
মৃত্যু | ১০ জানুয়ারি ১৯৭০(1970-01-10) (বয়স ৪৯)[1] |
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত ভারত |
সেবা/ | ব্রিটিশ ভারতীয় বিমানবাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৪২–১৯৭০ |
পদমর্যাদা | গ্রুপ ক্যাপ্টেন[2] |
সার্ভিস নম্বর | না |
ইউনিট | ৩ নম্বর স্কোয়াড্রন আইএএফ |
নেতৃত্বসমূহ | হালওয়ারা এয়ার ফোর্স স্টেশন |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ অতি বিশিষ্ট সেবা পদক বায়ুসেনা পদক |
দাম্পত্য সঙ্গী | ভেরোনিকা লাভলেস[3] |
সুরঞ্জন দাশের জন্ম ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায়। পিতা সুধীরঞ্জন দাশ ছিলেন ভারতের পঞ্চম প্রধান বিচারপতি এবং বিশিষ্ট জনসেবক এবং মাতা ছিলেন স্বপ্না দাশ। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা। অন্য পুত্রের নাম সুহৃদরঞ্জন, কন্যা অঞ্জনা। সকলের নামকরণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সুরঞ্জন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন। সুরঞ্জনের মেকানিক্যাল এবং বিমান চালকের কাজের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। কিন্তু তার পরিবার তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করত এই বলে যে "যদি সে উড়তে পারে, তো একটা ছাগলও (Goat) তা পারে"। এই তুচ্ছ কথাগুলির জন্যই বোধহয় তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। তিনি ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং পরীক্ষামূলক পরীক্ষা পাইলটদের (ETP) "সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ" ( ইংরাজীতে - গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম - সংক্ষেপে, GOAT) পাইলট হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। [4]
ওল্ড মাদ্রাজ রোড এবং ওল্ড এয়ারপোর্ট রোড, ব্যাঙ্গালোরের সংযোগকারী পুরো ৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের রাস্তাটি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সুরঞ্জন দাশের নামে সুরঞ্জন দাশ রোড নামকরণ করা হয়েছে।