সিলভার লাইনিংস প্লেবুক
২০১২-এর চলচ্চিত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
সিলভার লাইনিংস প্লেবুক ডেভিড ও. রাসেল রচিত ও পরিচালিত ২০১২ সালের মার্কিন প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক-নাট্য চলচ্চিত্র। এটি ম্যাথু কুইকের ২০০৮ সালের উপন্যাস দ্য সিলভার লাইনিংস প্লেবুক অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটিতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন ব্র্যাডলি কুপার ও জেনিফার লরেন্স এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট ডি নিরো, জ্যাকি উইভার, ক্রিস টাকার, অনুপম খের ও জুলিয়া স্টাইলস।
সিলভার লাইনিংস প্লেবুক | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
Silver Linings Playbook | |
পরিচালক | ডেভিড ও. রাসেল |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার | ডেভিড ও. রাসেল |
উৎস | ম্যাথু কুইক কর্তৃক দ্য সিলভার লাইনিংস প্লেবুক |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | ড্যানি এলফম্যান |
চিত্রগ্রাহক | মাসানোবু টাকায়ানাজি |
সম্পাদক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি | দ্য ওয়েনস্টেইন কোম্পানি |
পরিবেশক | দ্য ওয়েনস্টেইন কোম্পানি |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২২ মিনিট[1] |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২১ মিলিয়ন[2] |
আয় | $২৩৫.৪ মিলিয়ন[2] |
কুপার বাইপোলার ব্যাধিতে আক্রান্ত প্যাট্রিজিও "প্যাট" সোলিটানো জুনিয়র চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি সবেমাত্র মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এবং তার পিতামাতার (ডি নিরো ও উইভার) নিকট ফিরে আসেন। প্যাট তার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে দৃঢ়-সংকল্প হন। এসময়ে তিনি টিফানি ম্যাক্সওয়েল (লরেন্স) নামে এক তরুণী বিধবার সাথে পরিচিত হন, যিনি তার সাথে একটি নাচের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিনিময়ে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। নাচের তালিম নিতে নিতে তারা দুজন খুবই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন এবং প্যাট, তার পিতা ও টিফানি নিজেদের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও তাদের মধ্যকার ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে সমঝোতার বিষয়টি ইতিবাচক রূপ নিতে শুরু করেন।
সিলভার লাইনিংস প্লেবুক চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের নিকট থেকে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে এবং একাধিক পুরস্কার লাভ করে। এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালনা ও শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্যসহ আটটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। এটি ১৯৮১ সালের রেডস চলচ্চিত্রের পর অভিনয়ের চারটি বিভাগেই মনোনয়নপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র এবং ২০০৪ সালের মিলিয়ন ডলার বেবি চলচ্চিত্রের পর প্রধান পাঁচটি বিভাগে মনোনয়নপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র।[3] জেনিফার লরেন্স এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[4] চলচ্চিত্রটি চারটি বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে, তন্মধ্যে লরেন্স সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন।[5] এছাড়া এটি তিনটি বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে, তন্মধ্যে রাসেল শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কৃত হন।[6] এছাড়া চলচ্চিত্রটি চারটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং পাঁচটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ চারটি বিভাগে পুরস্কৃত হয়। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসেও সফলতা অর্জন করে, এবং বিশ্বব্যাপী $২৩৬ মিলিয়ন আয় করে, যা এর নির্মাণব্যয়ের ১১ গুণের অধিক।