সিন্ধি জাতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
সিন্ধি ( সিন্ধি: سنڌي ; দেবনগরী: सिन्धी ) হল একটি ইন্দো-আর্য [14] জাতিগোষ্ঠী, যারা সিন্ধি ভাষায় কথা বলে এবং পাকিস্তানের সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশের অধিবাসী। সিন্ধিদের ঐতিহাসিক জন্মভূমি দক্ষিণ-পূর্ব বেলুচিস্তান[15], পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং ভারতের গুজরাতের কচ্ছ অঞ্চল। প্রতিবেশীদের থেকে ইতিহাস জুড়ে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে সিন্ধি সংস্কৃতি এর নিজস্ব স্বতন্ত্রতা রক্ষা করতে পেরেছে।[16]
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
আনু. ৩৪ মিলিয়ন[1] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
পাকিস্তান | ৩৪,২৫২,২৬২[2] |
ভারত | ৩,৮১০,০০০[3][lower-alpha 1] |
সৌদি আরব | ১৮০,৯৮০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ৯০[4] |
যুক্তরাজ্য | ৫১,০১৫[5] |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩৮,৭৬০[6] |
আফগানিস্তান | ১৫,০০০[7] |
হংকং | ২০,০০০[8] |
বাংলাদেশ | ১৫,০০০[9] |
কানাডা | ১২,০৬৫[10] |
সিঙ্গাপুর | ১১,৮৬০[11] |
জিব্রাল্টার | ৫০০[12] |
ভাষা | |
সিন্ধি ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু ( ধর্মীয় ভাষা হিসেবে আরবি/সংস্কৃত) এবং সিন্ধি প্রবাসীদের মাঝে প্রচলিত অন্যান্য অসংখ্য কথ্যভাষা | |
ধর্ম | |
সংখ্যাগুরু: ইসলাম: ৮০ % সংখ্যালঘু:
| |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
অন্যান্য ইন্দো-আর্য জাতি |
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য বিভাজনের পর অনেক হিন্দু ও শিখ সিন্ধি স্বাধীন ভারত অধিরাজ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে চলে যায়। কিছু সিন্ধি পালিয়ে গিয়ে ইংল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলিতে বসতি স্থাপন করে। [17] পাকিস্তানি সিন্ধিরা প্রধানত মুসলিম এবং হিন্দু ও শিখরা সংখ্যালঘু। এর বিপরীতে ভারতে সিন্ধিরা প্রধানত হিন্দু, শিখ ও জৈন ধর্মালম্বী এবং মুসলিম সিন্ধিরা সেখানে সংখ্যালঘু।
উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ; বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে সিন্ধি প্রবাসীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।[18] ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া সত্ত্বেও সিন্ধিরা এখনও পরস্পরে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখে এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও অনুশীলনগুলি আদান-প্রদান করে।[19][20]