![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/c/cf/SARS_virion.gif/640px-SARS_virion.gif&w=640&q=50)
সার্স করোনাভাইরাস
অণুজীব,ভাইরাস / From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস (SARS-CoV বা SARS-CoV-1)[2][3] করোনাভাইরাসের একটি স্ট্রেন যার কারণে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি (সার্স)[4] নামক রোগাবস্থার সৃষ্টি হয়। এটি একটি আবৃত, ধনাত্মক দিকমুখী, একক-সূত্রবিশিষ্ট আরএনএ ভাইরাস যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষগুলিকে সংক্রমিত করে।[5] অ্যাঞ্জিওটেনসিন-রূপান্তরকারী এনজাইম 2 (ACE2) রিসেপ্টর এর মাধ্যমে ভাইরাসটি হোস্ট কোষে প্রবেশ করে[6] এটি মানুষ, বাদুড় এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সংক্রমিত করে।[7][8]
গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস | |
---|---|
![]() | |
সার্স ভাইরাস কণার ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ চিত্র | |
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): | Sarbecovirus |
প্রজাতি: | গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস |
প্রতিশব্দ | |
|
২০০৩ সালের ১৬ই এপ্রিল, এশিয়ায় সার্সের প্রাদুর্ভাব এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে গৌণভাবে রোগটির প্রাদুর্ভাবের পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে যে বেশ কয়েকটি গবেষণাগার দ্বারা করোনাভাইরাসের চিহ্নিতকরণ সার্স-এর আনুষ্ঠানিক কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং কানাডার ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি (এনএমএল) ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে সার্স-কোভ-১ (SARS-CoV-1) জিনোমটি শনাক্ত করে।[9][10] নেদারল্যান্ডের রটারডামের ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে সার্স করোনাভাইরাস রবার্ট কচের মৌলিক নীতি পূরণ করেছে যার ফলে এটিকে তাঁরা করোনাভাইরাসের মাধ্যম হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায়, ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ম্যাককের মধ্যে (একজাতের ছোটো লেজওয়ালা বাঁদর) মানব সার্স আক্রান্তদের মত একই উপসর্গ বিকশিত হয়।[11]
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে একই ধরনের ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়। গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (SARS-COV-2) নামে এই ভাইরাসটি চলমান করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (COVID-19) মহামারীর কারণমূলক জীবাণু।[12]