সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মাগুরা
এটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
এটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি মাগুরা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই কলেজটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৪০ |
প্রতিষ্ঠাতা | হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
ইআইআইএন | ১১৮০০৩ |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর দেবব্রত ঘোষ |
শিক্ষার্থী | ১০,০০০+ |
স্নাতক | বিএ, বিবিএ, বিএসসি, বিএসএস |
স্নাতকোত্তর | এমএ |
ঠিকানা | মাগুরা , , , ২৩.৪৮৮৮৫০° উত্তর ৮৯.৪১৮৯৭৫° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহরের এম আর রোড |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | ghsscollege |
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ হিসাবে ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মাগুরার জনপদ ছিল কুসংস্কার ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। অনগ্রসর, অবহেলিত এবং আধুনিক শিক্ষা-সভ্যতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। কুসংস্কার বেষ্টিত অবহেলিত ও বঞ্চিত অনগ্রসর মাগুরা বাসির অন্ধকরাচ্ছন্ন অন্তর আলোকিত করার প্রত্যয়ে মাগুরার বুকে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি বিদ্যানিকেতন। যা আজকের সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মাগুরা। ১৯৩৮ সাল। তৎকালীন মাগুরা মহকুমার অন্যতম বিদ্যাপীঠ মাগুরা আব্দুল গনি হাই মাদ্রাসা (বর্তমানে মাগুরা এ.জি. একাডেমি)। এ সময়ে এই মাদ্রাসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মৌলভী মোঃ মোখলেছুর রহমান সুপারিনটেন্ডন্ট হিসেবে যোগদান করেন। মাগুরার সাধারণ মানুষ যেমন ছিলেন সহজ-সরল, তেমন কিছুটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন। এ সময়কার অধিকাংশ মুসলিম পরিবারই মাগুরা হাই ইংলিশ স্কুলকে (বর্তমান মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) বিধর্মীদের স্কুল হিসেবে ভাবতেন। ফলে তাঁদের ছেলে-মেয়েকে ঐ স্কুলে ভর্তি করতে অনিহা দেখাতেন। মাগুরা আব্দুল গনি হাই মাদ্রাসাই ছিল মাগুরার মুসলমানদের একমাত্র পছন্দের বিদ্যাপীঠ। কিন্ত হাই মাদ্রাসা থেকে পাশ করে মুসলমান ছাত্রদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের তেমন কোন সুযোগ ছিল না। কেননা হাই মাদ্রাসার পরবর্তী স্তরের শিক্ষা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সুযোগ ছিল তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, হুগলী এবং আসাম প্রদেশের সিলেটে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এ সব স্থানের অবস্থান ছিল মাগুরা থেকে অনেক দূরে। মাগুরা থেকে এ সব স্থানে গিয়ে লেখাপড়া করা ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য ছিল। মাগুরা বাসির উচ্চশিক্ষার সুযোগ যাতে সহজতর হয় সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৪০ সালে মাগুরা আব্দুল গনি হাই মাদ্রাসা ভবনের উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে (পুরাতন প্রশাসনিক ভবন যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থান) দু’টি দোচালা টিনের ঘর তৈরি করে প্রতিষ্ঠিত হয় মাগুরা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ। এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হন মৌলভী মোঃ মোখলেছুর রহমান। স্যার মোঃ মোখলেছুর রহমান কলেজ প্রতিষ্ঠার পর এর উন্নয়নের লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কলেজটির নামকরণ করা হয় অবিভক্ত বাংলার তদানীন্তন সিভিল সাপ্লাই (ফুড) মন্ত্রী জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামে – মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ। অধ্যক্ষ মৌলভী মোঃ মোখলেছুর রহমান মাগুরার স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর নামে নামাঙ্কিত কলেজটির জন্য সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেন। ১৯৪৩ সালে মাননীয় মন্ত্রী কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন তাঁর বন্ধু টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাড়া পেয়ে আর.পি. সাহা কলেজটির জন্য এক লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে রৌপ্যমুদ্রায় পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন। [1]
১৯৬২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি চালু হওয়ার পর থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১৪টি বিষয়
প্রফেসর মোঃ এলিয়াছ হোসেন (বর্তমানে পরিচালক, মাধ্যমিক; মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষাভবন, ঢাকা) ২৯ মে, ২০১১ তে ১৮তম অধ্যক্ষ হিসেবে এ কলেজে যোগদান করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরই প্রফেসর ইলিয়াছ উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে আরো ১০টি বিষয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যশোর শিক্ষা বোর্ড কলেজের আবেদন পর্যালোচনা করে ২০১১ সাল থেকে উল্লিখিত ১০টি বিষয়কে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন। বর্তমানে কলেজটিতে
২০১৩ সালে ১৪টি চালুকৃত অনার্স বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালুর জন্য আবেদন করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ মে, ২০১৩ সালে ৩টি
বিয়য়ে মাস্টার্স কোর্স চালুর অনুমতি প্রদান করে। এর পর ১৩ অক্টোবর, ২০১৪ সালে ৫টি
বিষয়ে এবং ২ জুন, ২০১৫ সালে ১টি
বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ৯টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। ২০১১ সালে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে ১০টি বিষয় এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৯টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালুর ক্ষেত্রে মাগুরার কৃতি সন্তান প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. সিরাজুল আকবর এমপি এবং সরকারি হেসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর আন্তরিকতাপূর্ণভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেন। বর্তমানে কলেজটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী , মাগুরায় বর্তমান শিক্ষক পদের সংখ্যা
আরো ৫২টি শিক্ষক পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদান করা হয়েছে। বর্তমানে যা বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ রয়েছে।
১৯৪০ সাল থেকে ২০১৬ সালের বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ , মাগুরা যাঁরা অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন-
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.