![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/14/Professor_Svante_Paabo_ForMemRS.jpg/640px-Professor_Svante_Paabo_ForMemRS.jpg&w=640&q=50)
সভান্তে প্যাবো
চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (২০২২) সুয়েডীয় বংশাণুবিজ্ঞানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
সভান্তে প্যাবো (Svante Pääbo; আ-ধ্ব-ব: [ˈsvanːtɛ ˈpæːbo]; জন্ম ২০শে এপ্রিল, ১৯৫৫) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুয়েডীয় বংশাণুবিজ্ঞানী, যিনি বিবর্তনীয় বংশাণুবিজ্ঞান ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞ।[3] প্যাবো জীবাশ্ম বংশাণুসমগ্রবিজ্ঞান ক্ষেত্রের একজন প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিয়ান্ডারথাল বংশাণুসমগ্র (জিনোম) বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা সম্পাদনা করেছেন।[4][5][6][7][8][9] তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে অদ্যাবধি জার্মানির লাইপৎসিশ শহরে বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞানের মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের বংশাণুবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালকবৃন্দের একজন।[10][11][12][13][14] এছাড়া তিনি জাপানের ওকিনাওয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের একজন অধ্যাপক।[15]
সভান্তে প্যাবো Svante Pääbo | |
---|---|
![]() ২০১৬ সালের জুলাই মাসে রয়াল সোসাইটিতে অন্তর্ভুক্তির দিন প্যাবো | |
জন্ম | (1955-04-20) ২০ এপ্রিল ১৯৫৫ (বয়স ৬৯) |
জাতীয়তা | সুইডেন |
মাতৃশিক্ষায়তন | উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় (ডক্টরেট উপাধি) |
পরিচিতির কারণ | জীবাশ্ম বংশাণুসমগ্রবিজ্ঞান |
দাম্পত্য সঙ্গী | লিন্ডা ভিগিলান্ট (বি. ২০০৮) |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | বংশাণুবিজ্ঞান বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞানের জন্য মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ওকিনাওয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | হাও দ্য ই১৯ প্রোটিন অভ অ্যাডিনোভাইরাসেস মডিউলেটস দ্য ইমিউন সিস্টেম, How the E19 protein of adenoviruses modulates the immune system, "কীভাবে অ্যাডিনোভাইরাসগুলির ই১৯ প্রোটিন অনাক্রম্যতন্ত্রে উপযোজন সাধন করে" (১৯৮৬) |
ওয়েবসাইট | www |
সভান্তে প্যাবো তাঁর গবেষণাকর্মের জন্য একাধিক সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি অর্জন করেছেন এবং বহুসংখ্যক পুরস্কার ল্ভা করেছেন। ২০২২ সালে তিনি শারীরবিদ্যা বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বিলুপ্ত হোমিনিনদের বংশাণুসমগ্র ও মানব বিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।[16] প্যাবো আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব একটি কীর্তি সম্পাদন করেছেন। তিনি নিয়ান্ডার্থাল মানবের বংশাণুসমগ্রের অনুক্রম নির্ণয় করেছেন, যারা ছিল আধুনিক মানবের আদিপুরুষদের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু বর্তমানে বিলুপ্ত এক মানব প্রজাতি। এছাড়া তিনি সম্পূর্ণ অজানা এক ধরনের হোমিনিন আবিষ্কার করেন, যার নাম দেনিসোভা। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্যাবো দেখাতে সক্ষম হন যে আজ থেকে প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে এইসব বিলুপ্ত হোমিনিনদের থেকে আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্স মানবদের কাছে বংশাণুর হস্তান্তর হয়েছিল, যে সময় হোমো স্যাপিয়েন্স আফ্রিকা থেকে বিশ্বের অন্যত্র অভিবাসী হওয়া শুরু করেছিল। বংশাণুর এই সুপ্রাচীন প্রবাহ বর্তমান যুগের মানুষের শারীরবিদ্যায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি ঘটনা। যেমন মানুষের অনাক্রম্যতন্ত্র কীভাবে জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে ব্যাপারটির সাথে এটি সম্পর্কিত। প্যাবোর মৌলিক ভিত্তিস্বরূপ গবেষণা একটি সম্পূর্ণ নতুন বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রের জন্ম দেয়, যার নাম জীবাশ্ম বংশাণুসমগ্রবিজ্ঞান। তাঁর গবেষণা আধুনিক জীবিত মানবদের সাথে বিলুপ্ত হোমিনিনদের বংশাণুগত পার্থক্য উন্মোচন করেছে, ফলে মানুষের বংশাণুগতভাবে অনন্য পরিচয়ের ভিত্তি বের করা সম্ভব হয়েছে।