![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/87/Kamal_Haasan_FICCI_event.jpg/640px-Kamal_Haasan_FICCI_event.jpg&w=640&q=50)
শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতীয় নিবেদন
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভারত ১৯৫৭ সাল থেকে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের (পূর্বে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার নামে পরিচিত)[lower-alpha 1] জন্য চলচ্চিত্র জমা করে আসছে, অস্কারে এই বিভাগ অন্তর্ভুক্তির এক বছর পর থেকে।[3] যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে উৎপাদিত প্রাথমিকভাবে ইংরেজি নয় এমন সংলাপধারী পূর্ণদৈর্ঘ্যের মোশন পিকচার বা চলচ্চিত্রসমূহকে এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে।[4] ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত "শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র" বিভাগ চালু হয় নি; তবে, ১৯৪৭ এবং ১৯৫৫ সালের মধ্যে, একাডেমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রগুলির জন্য একটি অ-প্রতিযোগিতামূলক সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করেছে।[5]
ভারতের চলচ্চিত্র ফেডারেশন (এফএফআই) প্রতি বছর মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র থেকে একটি নির্বাচনের জন্য কমিটি নিয়োগ করে, যেটি পরবর্তী বছরের "শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র" বিভাগে মনোনয়নপত্রের জন্য একাডেমিতে ভারতের আনুষ্ঠানিক ভুক্তি হিসেবে জমা দেয়া হবে।[6] নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলি ইংরেজি উপশিরোনামসহ একাডেমিতে পাঠানো হয়, যেখানে জুরি বা বিচারকদের জন্যে সেগুলো প্রদর্শিত হয়।[7] ১৯৫৭ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র মাদার ইন্ডিয়া ছিলো একাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারতের নিবেদিত প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি চূড়ান্ত বাছাই তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছিল এবং এই বিভাগে অন্যান্য চারটি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মনোনীত হয়েছিল।[8] চলচ্চিত্রটি একাডেমি পুরস্কার জেতার খুব নিকটঅবস্থায় পৌছালেও শুধামাত্র একক ভোটে নাইট অব ক্যাবিরিয়া চলচ্চিত্রের কাছে পরাজিত হয়েছিল।[9] ১৯৮৪ সালের পর থেকে, ভারত শুধুমাত্র এক বছর প্রতিযোগিতায় কোনো চলচ্চিত্র জমা করেনি; ২০০৩ সালে, এফএফআই বিতর্কিতভাবে কোন ভুক্তি নির্বাচন করেনি কারণ তারা মনে করেছিল সে বছরের কোনও চলচ্চিত্র অন্য দেশের চলচ্চিত্রগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে না।[10][11] ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], শুধুমাত্র তিনটি ভারতীয় চলচ্চিত্র—মাদার ইন্ডিয়া (১৯৫৭), সালাম বম্বে! (১৯৮৮) এবং লগান (২০০১)—"শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র" বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলো।[12] ২০১১ সালে, ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারের জুরি একটি সুপারিশ রেখেছিল যে বার্ষিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলি আনুষ্ঠানিক প্রবেশিকা তালিকায় যুক্ত হওয়া উচিত।[6][13] যদিও ৮৮তম একাডেমি পুরস্কারে,[lower-alpha 2] ৬২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে "শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র" বিজয়ী কোর্ট চলচ্চিত্রের পর আর কোনো চলচ্চিত্র জমা দেওয়া হয় নি।