শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্
From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্ বা শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদ্ (সংস্কৃত: श्वेताश्वतरोपनिशद বা श्वेताश्वतर उपनिषद्, আন্তর্জাতিক সংস্কৃত প্রতিবর্ণীকরণ: Śvetāśvataropaniṣad বা Śvetāśvatara Upaniṣad) হল যজুর্বেদের অন্তর্গত একটি প্রাচীন সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ। মুক্তিকোপনিষদ্ গ্রন্থে উল্লিখিত ১০৮টি উপনিষদের তালিকায় এই গ্রন্থটির ক্রমিক সংখ্যা চোদ্দো।[1] এই উপনিষদে ছয়টি অধ্যায়ে ১১৩টি মন্ত্র বিধৃত রয়েছে।[2]
শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্ তৈত্তিরীয় শাখার ৩৩টি উপনিষদের অন্যতম তথা যজুর্বেদীয় চরক-কঠ শাখার অন্তর্গত শ্বেতাশ্বেতর শাখার সঙ্গে যুক্ত।[3][4] যজুর্বেদের দু’টি ভাগ: কৃষ্ণ (অর্থাৎ "অবিন্যস্ত, বহুবর্ণ") যজুর্বেদ এবং শুক্ল (অর্থাৎ, "সুবিন্যস্ত") যজুর্বেদ। শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদ্ কৃষ্ণ যজুর্বেদের সঙ্গে যুক্ত; অন্যদিকে শুক্ল যজুর্বেদের সঙ্গে যুক্ত উপনিষদ্গুলি হল বৃহদারণ্যকোপনিষদ্ ও ঈশোপনিষদ্।[5]
শ্বেতাশ্বেতরোপনিষদের সঠিক রচনাকাল নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে সাধারণভাবে এই বিষয়ে তাঁরা একমত যে এটি উপনিষদ্ রচনার শেষ পর্বে রচিত।[4][6] গ্রন্থের শেষাংশে "শ্বেতাশ্বেতর" নামে এক ঋষির নামোল্লেখ পাওয়া যায়। তাঁকেই এই উপনিষদ্টির দ্রষ্টা মনে করা হয়। যদিও গবেষকেরা মনে করেন যে, গ্রন্থটির কোনও কোনও অংশে কোনও একক ব্যক্তির রচনাশৈলীর ছাপ থাকলেও মন্ত্র ও অন্যান্য অংশগুলি বিভিন্ন যুগপর্যায়ে প্রক্ষিপ্ত ও পরিবর্ধিত হয়েছিল। বর্তমানে উপনিষদ্টির যে পাঠ পাওয়া যায়, তা একাধিক লেখকের রচনা।[3]