Loading AI tools
গাজীপুর জেলায় অবস্থিত বাংলদেশের স্টেডিয়াম উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শহীদ বরকত স্টেডিয়াম, বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম।[১] স্টেডিয়ামটি গাজীপুর জেলার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত জয়দেবপুরে রথখোলা সদর হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত। এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সমূহে কুচকাওয়াজ কর্মসূচি[২][৩][৪], কনসার্ট[৫]; জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া বিশেষ করে ক্রিকেট[৬], ফুটবল[৭][৮], ও খেলোয়াড় বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত[৯] ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্ববধানে রয়েছে। গাজীপুর জেলা স্টেডিয়াম নামে নির্মিত হলেও পরবর্তীতে ভাষা শহীদ আবুল বরকতের নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়[১০]। এই ভেন্যুটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (ফুটবল)-এর খেলা অনুষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত ভেন্যু হিসেবে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামের সাথে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তালিকাভূক্ত ছিল।[১১]
গাজীপুর স্টেডিয়াম | |
পূর্ণ নাম | শহীদ বরকত স্টেডিয়াম |
---|---|
প্রাক্তন নাম | গাজীপুর জেলা স্টেডিয়াম |
অবস্থান | গাজীপুর, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৯′৫৩.৬০″ উত্তর ৯০°২৫′৩১.১০″ পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | গাজীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
উপরিভাগ | ঘাস |
স্কোরবোর্ড | নেই |
নির্মাণ | |
নির্মিত | ১৯৯৫-১৯৯৬ |
পুনঃসংস্কার | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪- বর্তমান |
সম্প্রসারণ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪- বর্তমান |
নির্মাণ ব্যয় | |
সাধারণ ঠিকাদার | সিয়াম কর্পোরেশন |
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে এই স্টেডিয়ামের স্থানটির সম্পর্ক আছে। ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে এই স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের বটতলায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো হয়েছিল।[১২] ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামের প্রাথমিক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।[১৩]
২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই স্টেডিয়াম সংস্কার তথা- দর্শক গ্যালারি ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং মাটি ভরাটের করার জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করে[১৪]। এই সংস্কার কাজের জন্য সিয়াম কর্পোরেশনকে সাধারণ ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সংস্কার কাজ এখনো চলমান রয়েছে।[১৫][১৬][১৭]
স্টেডিয়ামটিতে প্রতিবছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ, শিশু সমাবেশ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়[২][৩][৪][১৮]। ১৯ মার্চ, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ জয়দেবপুরে হয়। এ উপলক্ষে এই স্টেডিয়ামে বীর ও শহিদ ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।[১৯][২০] এছাড়া স্টেডিয়ামটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।[২১]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.