লোথাল
গুজরাট রাজ্যের শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
লোথাল প্রাচীন সিন্ধ সভ্যতার দক্ষিণতম স্থানগুলির মধ্যে একটি ছিল,[1] যা অধুনা গুজরাত রাজ্যের ভাল অঞ্চলে অবস্থিত। শহরটির নির্মাণ কাজ প্রায় ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়।[2]
অবস্থান | সারগয়ালা,গুজরাত,ভারত |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২২.৩১° উত্তর ৭২.১৪° পূর্ব / 22.31; 72.14 |
ধরন | বসতি |
এলাকা | ৭ হেক্টর (১৭ একর) |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | আনুমানিক ২৪০০ খ্রিষ্টপূর্ব |
সময়কাল | ব্রোঞ্জ যুগ |
সংস্কৃতি | সিন্ধু সভ্যতা |
ঘটনাবলি | অজানা |
স্থান নোটসমূহ | |
খননের তারিখ | ১৯৫৫–১৯৬০ |
অবস্থা | ধ্বংসপ্রাপ্ত |
মালিকানা | সরকারি |
ব্যবস্থাপনা | ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ |
জনসাধারণের প্রবেশাধিকার | হ্যাঁ |
প্রাচীন নিদর্শন সংরক্ষণকারী ভারতীয় সরকারি সংস্থা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ১৯৫৪ সালে লোথালের আবিষ্কার করেছিল। লোথালে খনন কাজ ১৯৫৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৬০ সালের ১৯শে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের মতে, তর্কাতীতভাবে লোথাল বিশ্বের প্রাচীনতম পরিচিত ডক ছিল, যা শহরটিকে বাণিজ্য পথে সবরমতী নদীর প্রাচীন প্রবাহের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। এই বাণিজ্য পথটি সিন্ধুর (পাকিস্তান) হরপ্পা শহর ও সৌরাষ্ট্র উপদ্বীপের মধ্যে বিস্তৃত ছিল, যেখানে বর্তমান কচ্ছ মরুভূমি আরব সাগরের একটি অংশ ছিল। কিন্তু অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকগণ এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন না। তাদের মতে লোথাল নিছকই একটা ছোট শহর ছিল আর যে পোতাশ্রয়ের কথা বলা হচ্ছে সেটা আসলে একটা সেচের জলাধার ছিল।[3]
লোথাল প্রাচীনকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল, যার মণি, রত্ন ও মূল্যবান অলঙ্কারের বাণিজ্য পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার দূরবর্তী স্থানগুলিতে পৌঁছেছিল। এখানকার বাসিন্দারা পুঁতি তৈরি ও ধাতুবিদ্যার জন্য যে সকল কৌশল ও সরঞ্জাম তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল, তা ৪০০০ বছরেরও বেশি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। [4]
লোথাল আহমেদাবাদ জেলার ধোলকা তালুকার সারগওয়ালা গ্রামের কাছে অবস্থিত। এটি আহমেদাবাদ-ভাবনগর রেলপথের লোথাল-ভুরুখী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটি আহমেদাবাদ (৮৫ কিলোমিটার / ৫৩ মাইল), ভাবনগর, রাজকোট এবং ধোলকা শহরগুলির সমস্ত আবহাওয়াতে ব্যবহারের উপযোগি সড়ক দ্বারা সংযুক্ত। স্থানটির নিকটতম শহর ধোলকা এবং বড়োদরা। ১৯৬১ সালে খনন পুনরায় শুরু করা হলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা নদীটির উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ভাঁজগুলি খনন করে নদী দিয়ে ডক সংযোগকারী ইনলেট চ্যানেল এবং নুলা ("র্যাভিন" বা "গুলি") খুজে পায়। ফলাফল স্থানটি একটি ঢিবি, একটি শহর, একটি বাজার, এবং বন্দর দ্বারা গঠিত। খননকৃত অঞ্চলের পাশে অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর, যেখানে ভারতে সিন্ধু-যুগের প্রাচীনতম কিছু বিশিষ্ট সংগ্রহ প্রদর্শিত হয়।
লোথালকে ইউনেস্কোর কাছে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে মান্যতা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং তা ইউনেস্কো-র বিচারাধীন।