লালন
বাঙালি কবি, সুরকার এবং বাউল সাধক / From Wikipedia, the free encyclopedia
লালন (১৭ অক্টোবর ১৭৭৪ – ১৭ অক্টোবর ১৮৯০)[2] ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।[3] তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক ফকির সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়[4][5] এবং তার গান উনিশ শতকে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লালন সাঁই, শাহ | |
---|---|
জন্ম | ১৭ অক্টোবর ১৭৭৪ |
মৃত্যু | ১৭ অক্টোবর ১৮৯০(1890-10-17) (বয়স ১১৫–১১৬) |
মৃত্যুর কারণ | বার্ধক্য |
সমাধি | ছেউড়িয়া, কুষ্টিয়া ২৩°৫৩′৪৪″ উত্তর ৮৯°০৯′০৭″ পূর্ব |
অন্যান্য নাম | লালন ফকির, লালন সাঁই, ফকির লালন শাহ |
পেশা | সাধক, গায়ক, গীতিকার, সুরকার, ফকির-দার্শনিক |
পরিচিতির কারণ | , মানবতাবাদী দর্শন |
শৈলী | ফকির গান |
উপাধি | ফকির, মহাত্মা, ফকির সম্রাট |
দাম্পত্য সঙ্গী | বিশাখা |
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন।[6] তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,[7][8][9] কাজী নজরুল[10] ও অ্যালেন গিন্সবার্গের[11] মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে।[6] গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।[12]