রাণীশংকৈল উপজেলা
ঠাকুরগাঁও জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঠাকুরগাঁও জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রাণীশংকৈল উপজেলা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
রাণীশংকৈল | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে রাণীশংকৈল উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৩′১৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৬″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | ঠাকুরগাঁও জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৮৭.৭৪ বর্গকিমি (১১১.১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,২২,২৮৪ |
• জনঘনত্ব | ৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৯৪ ৮৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রানীশংকৈল উপজেলাটি হলো ঠাকুরগাঁও জেলা এবং রংপুর বিভাগের অন্তর্গত। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম কর্ণরে অবস্থিত। এর আয়তন ২৮৭.৫৯ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী ঢাকা থেকে রানীশংকৈলের দুরত্ব প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে পীরগঞ্জ উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পশ্চিমে হরিপুর উপজেলা।
প্রাচীনকালে এই অঞ্চল বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ১৭৯৩ সালে রানীশংকৈল অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[2] পরর্বতীতে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্গত হয়। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত রানীশংকৈল উপজেলাটি দিনাজপুর জেলার অধীনেই ছিলো ৮৪ সালে ঠাকুরগাঁও কে নতুন জেলা করা হলে রানীশংকৈল ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে আসে।
বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীহাটে জমিদারদের স্বেচ্ছাচারমূলক তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে কৃষকগণ সংগঠিত হন, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে "তোলাবাটি" আন্দোলন নামে খ্যাত হয়। এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানের দায়ে গ্রেফতারবরন করেন এবং তিনমাস বন্দী জীবন কাটান কৃষক নেতা কম্পরাম সিং। তোলাবটি আন্দোলন শেষ না হতেই সমগ্র উত্তরবঙ্গের সাথে ১৯৪৬ সালে রানীশংকৈল উপজেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েএবং কম্পরাম সিং সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন।[3] সে সময় কৃষক নারীরা লাঠি, ঝাঁটা, দা-বটি, কুড়াল যে যা হাতের কাছে পায় তাই দিয়ে পুলিশকে বাঁধা দেয়। একজন বন্দুকধারী পুলিস নারী ভলান্টিয়ারদের প্রতি অসম্মানজনক উক্তি করে গালি দেয়। কৃষক নেতা ও রাজবংশী নারী ভাণ্ডনীর নেতৃত্বে কৃষক নারীরা পুলিসটিকে গ্রেপ্তার করে সারারাত আটক রাখে। ভাণ্ডনী সারারাত বন্দুক কাঁধে করে তাকে পাহারা দেয়।[4]
রাণীশংকৈল উপজেলায় চারটি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে নাগর নদী, কুলিক নদী, নোনা নদী এবং তীরনই নদী।[5][6] এর মধ্যে কুলিক এবং নোনা হলো বাংলাদেশের দুটি নদী যেগুলো বাংলাদেশে উৎপন্ন হয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে পৌছেছে। এছাড়া সারা দেশে অন্য যে নদীগুলো আছে সেগুলো ভারত থেকে এসেছে। অথবা ভারতে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে এসেছে আবার ভারতে গেছে।
২২ হাজার ৪০৫ দশমিক ০৯ হেক্টর জমি চাষ যোগ্য, ৬ হাজার ১১৫ দশমিক ৭৪ হেক্টর জমি পতিত অবস্থায় আছে। চাষ যোগ্য জমিগুলোর মধ্যে বছরে একবার ফসল উৎপন্ন হয় ৩০% জমিতে, দুই বার উৎপন্ন হয় ৫৫% জমিতে আর তিনবার বার তার বেশি ফসল উৎপন্ন হয় ১৫% জমিতে। চাষ যোগ্য জমির মধ্যে ৬৯% জমিতে সেচ ব্যবস্থা আছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নসমূহ হচ্ছে-
জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ অনুসারে রাণীশংকৈল উপজেলার শিক্ষার হার ৭৩.৭০% ।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় | ১৫৬টি | |
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় | ৫১টি | |
নিম্ন মাধ্যমিক | ১১টি | |
দাখিল মাদ্রাসা | ১৯টি | |
আলিম মাদ্রাসা | ২টি | |
কামিল মাদ্রাসা | ১টি | |
কলেজ (সাধারণ) | ৬টি | |
কলেজ (কারিগরি) | ৬টি |
রাণীশংকৈল উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মূলতঃ কৃষিজ পণ্য ও কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। ইতোমধ্যে এ উপজেলার গম, আলু, ফুলকপি, মুলা, পটল, বেগুন, আম ও লিচু সারাদেশে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। মূলতঃ এ উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এই কৃষিজ পণ্যকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। এখানকার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে নিম্নলিখিত বাজার গুলো উল্লেখযোগ্য।
১। নেকমরদ বাজার
২। বন্দর বাজার
৩। শিবদিঘী বাজার
৪। আলশিয়া হাট
৫। কাতিহার হাট
৬। ভরনিয়া বাজার
৭। রাউতনগর বাজার
৮। বলিদ্বারা বাজার
৯। গোগর বাজার
১০। রামপুর বাজার
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.