![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b6/Soyuz_18_booster.jpg/640px-Soyuz_18_booster.jpg&w=640&q=50)
রকেট
দ্রুত দহনশীল পদার্থে পূর্ণ বেলনাকৃতির আধার যা দগ্ধ গ্যাসীয় পদার্থের পশ্চাৎমুখী নির্গমনের মাধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
রকেট (ইংরেজি: Rocket) একটি বিশেষ ধরনের প্রচলন কৌশল। এটি এমন এক ধরনের যান যেখানে রাসায়নিক শক্তির দহনের মাধ্যমে সৃষ্ট উৎপাদকগুলিকে প্রবল বেগে যানের নির্গমন পথে বের করে দেয়া হয় এবং এর ফলে উৎপন্ন ঘাতবলের কারণে রকেট বিপরীত দিকে প্রবল বেগে অগ্রসর হয়। এক্ষেত্রে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুসৃত হয়। এই সূত্রটিকে রকেট ইঞ্জিনের মূলনীতি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। রকেট নির্গমক পদার্থের প্রতিক্রিয়ার সাহায্যে কাজ করে। তাই এটি মহাশুন্যেও কাজ করতে পারে।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b6/Soyuz_18_booster.jpg/640px-Soyuz_18_booster.jpg)
প্রকৃতপক্ষে মহাশুন্যে রকেটের কর্মদক্ষতা বায়ুমন্ডলের তুলনায় বেশি। বহুধাপবিশিষ্ট রকেটগুলো পৃথিবীর মুক্তিবেগ অর্জনের মাধ্যমে যেকোনো উচ্চতায় যেতে পারে। এয়ারব্রিথিং ইন্জিনের তুলনায় রকেট ইন্জিনগুলো হালকা, শক্তিশালী এবং বেশি ত্বরন সৃষ্টি করতে পারে। উড্ডয়ন পরিচালনার জন্য রকেট ভরবেগ, এয়ারফয়েল,সহকারি প্রতিক্রিয়া ইন্জিন, গিমবল্ড থ্রাস্ট,ভরবেগ চাকা, নিষ্কাশন স্রোতের বিচ্যুতি, ঘুর্ণন এবং অভিকর্ষের উপর নির্ভর করে।
সামরিক ও বিনোদনের কাজে রকেটের ব্যবহার তের শতকে চীনে দেখা যায়। তবে গুরুত্যপূর্ন বৈজ্ঞানিক, আন্তগ্রহের, শিল্পের কাজে রকেটের ব্যবহার হয়েছে বিংশ শতাব্দীতে এসে । তখন রকেটের কারনে নভশ্চরন থেকে শুরু করে চাঁদে প্রথম পা রাখা সবই সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে আতশবাজি, ক্ষেপণাস্ত্র আরও অস্ত্র, ইজেকশন সিট, কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপক যান, মানবজাতির মহাকাশ যাত্রা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের কাজে রকেট ব্যবহৃত হচ্ছে।
রকেটের জালানি হিসেবে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বেশি প্রচলিত। এক্ষেত্রে অক্সিডাইজার দ্বারা জালানির দহনের মাধ্যমে উচ্চগতি নির্গমক সৃষ্টি হয়।
বিশ্বে অনেক ধরনের রকেট উদ্ভাবিত হয়েছে। এটি ছোট্ট বোতল আকৃতি থেকে শুরু করে বৃহৎ আকৃতির মহাকাশযানের মতো হতে পারে। তন্মধ্যে এরিয়েন ৫ হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ আকৃতির রকেট যা দিয়ে কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করা হয়।
জার্মান বিজ্ঞানী বার্নার ফন ব্রাউন সর্বপ্রথম তরল-জ্বালানি ব্যবহার উপযোগী রকেট আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে জার্মানির পক্ষে কাজ করেন; কিন্তু পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। সেখানেই তিনি আমেরিকার মহাকাশ প্রকল্পে কাজ করেন ও চাঁদে নভোচারী প্রেরণে সহায়তা করেন। তাকে রকেট বিজ্ঞানের জনক নামে অভিহিত করা হয়। বর্তমান এ আরো অনেক আধুনিক রকেট আবিষ্কার করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা হয়| যেমন:ফ্যালকন নাইন