মহাকাশ যাত্রা
From Wikipedia, the free encyclopedia
মানুষ প্রযুক্তিগত বিকাশের বর্তমান পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত বিষ্ফোরণ দ্বারা ভূমি থেকে মহাকাশ অভিমুখে দ্রুতবেগে নিক্ষিপ্ত যানে করে মহাকাশ যাত্রা করতে পারে। এসব মহাকাশযান যাত্রীবাহী কিংবা যাত্রীবিহীন, দুই ধরনেরই হয়ে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের ইয়ুরি গ্যাগারিন ছিলেন মহাকাশ যাত্রাকারী প্রথম মানব। যাত্রীবাহী মহাকাশযাত্রার প্রসিদ্ধ কিছু উদাহরণ হল মার্কিন অ্যাপোলো প্রকল্প, রুশ সয়ুজ প্রকল্প, এবং বর্তমানে পৃথিবী প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। যাত্রীবিহীন মহাকাশযাত্রার উদাহরণ হল পৃথিবীর চারিদিকে পরিভ্রমণকারী বহু কৃত্রিম উপগ্রহ, এবং পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগকারী স্পেস প্রোবসমূহ। যাত্রীবিহীন মহাকাশযানসমূহ পৃথিবী হতে বেতার সংকেত দ্বারা দূরনিয়ন্ত্রিত, তবে অনেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেও কাজ করে।
মহাকাশ যাত্রার প্রধান বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য মহাকাশ অনুসন্ধান, এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে যোগাযোগব্যবস্থায় যুক্ত উপগ্রহ এবং মহাকাশ আনন্দভ্রমণ। এছাড়া মহাকাশযাত্রার অন্যান্য উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে মহাকাশ পর্যবেক্ষণাগার, গুপ্তচর উপগ্রহ, এবং পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ।
মহাকাশযাত্রার প্রচলিত প্রথম ধাপ হচ্ছে রকেট উৎক্ষেপন, যা পৃথিবীর অভিকর্ষ অতিক্রম করার মত শক্তির যোগান দেয়, এবং মহাকাশযানকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে মহাকাশে নিক্ষেপ করে। মহাকাশে পৌঁছানোর পর মহাকাশযানের যান্ত্রিক এবং এবং স্বাধীন গতিবিধি জ্যোতির্গতিবিদ্যার বিষয়ভুক্ত। কিছু মহাকাশযান অনির্দিষ্টকাল মহাকাশে অবস্থানের উদ্দেশ্যে উৎক্ষিপ্ত, কিছু যান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুন:প্রবেশকালে ধ্বংসপ্রাপ্ত, এবং কিছু যান গবেষণার উদ্দেশ্যে পৃথিবীভিন্ন অন্য গ্রহ, উপগ্রহ এবং গ্রহাণুপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে।