![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d9/S_cerevisiae_under_DIC_microscopy.jpg/640px-S_cerevisiae_under_DIC_microscopy.jpg&w=640&q=50)
মুকুলোদ্গম
From Wikipedia, the free encyclopedia
মুকুলোদগম বা অঙ্কুরোদগম বা কলিধারণ হলো এক ধরনের অযৌন জনন পদ্ধতি যেখানে একটি জীব কুঁড়ি বা অঙ্কুর সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন জীবের জন্ম দেয়। এই কুঁড়িটি কোষ বিভাজনের ফলে জীবদেহের একটি নির্দিষ্ট স্থানে গজায়। উদাহরণস্বরূপ, ইস্ট (Yeast) কোষ থেকে যে ছোট্ট বাল্বের মতো অংশ বের হয় তাকেই কুঁড়ি বলা হয়। যেহেতু এটি একটি অযৌন প্রজনন পদ্ধতি, তাই নতুন জীবটি পূর্বের জীবের একটি প্রতিরূপ এবং মূল জীবের সাথে জিনগতভাবে অভিন্ন। হাইড্রার মতো জীব ইন্টারস্টিসিয়াল কোষ ব্যবহার করে মুকুল সৃষ্টির মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটায়।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d9/S_cerevisiae_under_DIC_microscopy.jpg/640px-S_cerevisiae_under_DIC_microscopy.jpg)
হাইড্রার দেহের নিম্নাংশ বা মধ্যাংশের এপিডার্মিসের ইন্টারস্টিসিয়াল কোষসমূহ দ্রুত বিভাজিত হয়ে মুকুল সৃষ্টি করে। এরপর, এতে কর্ষিকা ও হাইপোস্টোমের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মুকুল ও মাতৃ হাইড্রার মাঝে বৃত্তাকার খাঁজের সৃষ্টি হয়ে অপত্য হাইড্রা (মুকুল) মাতৃদেহ (মূল হাইড্রা) থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনভাবে বিচরণ করে।
অভ্যন্তরীণ অঙ্কুরোদগম বা এন্ডোডাইজেনি হলো একধরণের অমৈথুন জনন পদ্ধতি, যা প্রধানত টোক্সোপ্লাজমা গোন্ডাইয়ের মতো পরজীবীদের মধ্যে দেখা যায়। এটি একটি অস্বাভাবিক জনন প্রক্রিয়া, যেখানে মাতৃকোষের ভিতরে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয় এবং কোষ দুটি পৃথক হওয়ার পূর্বে মাতৃকোষকে গ্রাস করে ফেলে।[1]
এন্ডোপলিজেনি হলো অভ্যন্তরীণ কুঁড়িধারণের মাধ্যমে একসাথে একাধিক জীব তৈরির প্রক্রিয়া।