মদনমোহন মালব্য
ভারতীয় রাজনীতিবিদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
মদনমোহন মালব্য (১৮৬১—১৯৪৬) ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিশিষ্ট নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের চার বারের সভাপতি। তাকে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য বলা হয়।[1] এবং মহামনা সম্মানে ভূষিত করা হয়।[2]
মহামনা মহামনা পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য | |
---|---|
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৯০৯–১০; ১৯১৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৩ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৮৬১-১২-২৫)২৫ ডিসেম্বর ১৮৬১ এলাহাবাদ, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা উত্তরপ্রদেশ, ভারত) |
মৃত্যু | ১২ নভেম্বর ১৯৪৬(1946-11-12) (বয়স ৮৪) বারাণসী, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা উত্তরপ্রদেশ, ভারত) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | শিক্ষাবিদ সাংবাদিক আইনজ্ঞ রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা সংগ্রামী |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
পুরস্কার | ভারতরত্ন ২০১৪ (মরণোত্তর) |
১৯১৬ সালে মদনমোহন মালব্য বারাণসীতে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বা বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বি.এইচ.ইউ) প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯১৫ সালের বি.এইচ.ইউ আইন অনুসারে স্থাপিত। এটি এশিয়ার বৃহত্তম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।[3] এখানে কলা, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, কৃষিবিজ্ঞান, চারুকলা, আইন ও প্রযুক্তি বিভাগে ৩৫,০০০-এরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। মদনমোহন মালব্য ১৯১৯ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।[4][5]
মদনমোহন মালব্য চার বার (১৯০৯, ১৯১৩, ১৯১৯ ও ১৯৩২ সাল) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৩৪ সালে তিনি জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে হিন্দু মহাসভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য হিসেবে যোগ দেন।
মদনমোহন মালব্য ছিলেন দ্য ভারত স্কাউট অ্যান্ড গাইডসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।[6] তিনি বিশেষ প্রভাবশালী ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য লিডারের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯০৯ সালে এটি এলাহাবাদে প্রথম প্রকাশিত হয়।[7] ১৯২৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তারই উদ্যোগে ১৯৩৬ সালে এই পত্রিকার হিন্দি সংস্করণ হিন্দুস্তান দৈনিক প্রকাশিত হয়।
২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর মদনমোহ মালব্যের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকীর আগের দিন তাকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন (মরণোত্তর) দিয়ে সম্মানিত করা হয়।[8]