ভারত কর্তৃক গোয়া দখল
From Wikipedia, the free encyclopedia
গোয়ার দখল বা সংযোজন বলতে তৎকালীন পর্তুগিজ ভারতীয় অঞ্চল গোয়া, দমন ও দিউকে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক ভারত প্রজাতন্ত্রে সংযুক্ত করানোকে বোঝানো হয়। ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী একটি সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে উক্ত অঞ্চলগুলি দখল করে ভারতীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে।
ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক গোয়া দখল | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বর্তমান ভারতের মানচিত্রে গোয়া,দমন ও দিউ এর অবস্থান | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
ভারত | পর্তুগিজ সাম্রাজ্য | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
| |||||||||
শক্তি | |||||||||
45,000 infantry 1 light aircraft carrier 2 cruisers 1 destroyer 8 frigates 4 minesweepers 20 Canberra medium bombers 6 Vampire fighters 6 Toofani fighter-bombers 6 Hunter multi-role aircraft 4 Mystère fighter-bombers |
3,500 military personnel 1 frigate 3 inshore patrol boats | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
22 killed[1] |
ভারতে এই কাজকে "গোয়ার মুক্তি " হিসাবে উল্লেখ করা হয় এবং পর্তুগালে এটিকে "গোয়া আগ্রাসন" বলা হয়। জওহরলাল নেহেরু আশা করেছিলেন যে, গোয়ার জনগণের আন্দোলন ও বিশ্ব জনমতের চাপ পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষকে গোয়ার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করবে, কিন্তু পর্তুগিজরা যেহেতু এসবের কোনো পরওয়া করেনি তাই তিনি জোরপূর্বক গোয়া অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।[5] যদিও দাদরা ও নগর হাভেলিকে ইতিমধ্যে স্থানীয়রা স্বাধীন ঘোষণা করে বসেছিল।
১৯৪৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ভারতের স্বাধীনতা এবং পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির পরও ভারতের কয়েকটি অঞ্চল পর্তুগিজ উপনিবেশ হিসেবে ছিল। পর্তুগিজরা ভারতীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গোয়া, দামাওন, সিলভাসা, দিউ এবং অঞ্জেদিভাকে তখনো নিজেদের দখলে রেখেছিল। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারত সরকার এসব অঞ্চল দাবী করলে পর্তুগাল তা ছেড়ে দিতে অস্বীকার করে। তাই ভারত সামরিক শক্তির মাধ্যমে পর্তুগিজ অঞ্চলগুলো দখলের পরিকল্পনা করে। সে লক্ষ্যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ১৯৬১ সালে অপারেশন বিজয় নামে একটি সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে। এটি ৩৬ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিমান, সমুদ্র এবং স্থল হামলার সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছিল এবং এর মাধ্যমে সেই অঞ্চলে পর্তুগালের ৪৫১ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
যুদ্ধ দুই দিন স্থায়ী হয় এবং এতে ২২ জন ভারতীয় এবং ৩০ পর্তুগিজ নিহত হয়। এটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা এবং নিন্দার মিশ্রণ তৈরি করেছিল। ভারত এই পদক্ষেপটিকে ভারতীয় ভূখণ্ডের মুক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছিল। অপরদিকে পর্তুগাল এটিকে তার নিজের মাটি এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখেছিল। পর্তুগিজ শাসন অবসানের পর গোয়াকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর কুনহিরামন পালাত ক্যান্ডেথের নেতৃত্বে সামরিক প্রশাসনের অধীনে রাখা হয়। [6] ১৯৬২ সালের ৮ জুন সামরিক শাসন বেসামরিক সরকার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। [7]