ভারতীয় বাঁশি
দক্ষিণ এশিয়ার অনুদৈর্ঘ্য বাদ্যযন্ত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাঁশি বা বাঁশরী হল দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাপ্ত এক ধরনের বাদ্যযন্ত্রবিশেষ । ইহা হিন্দুস্তানি উচ্চাঙ্গ সংগীতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।[1] এই যন্ত্রটি বাঁশের তৈরি এবং ফুঁ দিয়ে বাজাতে হয়, অনুরূপে বেণু নামক একটি বাদ্যযন্ত্র আছে, যা দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকি উচ্চাঙ্গ সংগীতে ব্যবহৃত হয়।[2] ভারতীয় উপমহাদেশের এক সুপ্রাচীন বাদ্যযন্ত্র হল এই বাঁশি বা বংশী । ঋগ্বেদ আর অন্যান্য হিন্দু-বৈদিক গ্রন্থে বাঁশিকে নাদী এবং তূণব বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[3][4] সংস্কৃত গ্রন্থ নাট্যশাস্ত্রে এই যন্ত্রের গুরুত্ব ও কার্যপ্রণালীর বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায়।[5][6][7]
ভারতীয় বাঁশি | |
---|---|
তথ্যসমূহ | |
অন্য নাম | বংশী, মুরলী, বাঁসুরি, বাঁহি, বাঁশরী |
শ্রেণিবিভাগ | ভারতীয় বায়ুচালিত যন্ত্র |
পাল্লা | |
২.৫ সপ্তক (ছয় ছিদ্র), ৩ সপ্তক (সাত ছিদ্র) | |
সম্পর্কিত যন্ত্র | |
বেণু | |
সংগীতজ্ঞ | |
রাকেশ চৌরাসিয়া রনু মজুমদার |
প্রথাগত বাঁশির গঠনে কোনো পর্দা বা চাবির ব্যবহার নেই, বাদক তাঁর ইচ্ছেমতো ছিদ্রগুলোকে আঙুল দিয়ে চেপে বন্ধ করে কিংবা খোলা রেখে নানান সুর সৃষ্টি করতে পারেন।[1][8]
বংশী জাতীয় যন্ত্রকে অনেক প্রাচীন হিন্দু[9], বৌদ্ধ[10] ও জৈন মন্দিরের চিত্র ও ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। হিন্দু দেবতা কৃষ্ণের চিত্রায়ণে বাঁশি একটি অপরিহার্য অঙ্গ।[11][12] কৃষ্ণ ও রাধার প্রেম কাহিনির সাথে বাঁশি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বংশী কৃষ্ণের পবিত্র অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী বাদ্যযন্ত্র হিসেবেও খ্যাত। কিছু গ্রন্থে বংশী শব্দটির স্থানে মুরলী নামটিও লেখা হয়েছে। শৈব ধর্মেও এই যন্ত্রের অনেক উল্লেখ রয়েছে। লক্ষণীয়, আদি-মধ্যযুগের ভারতীয় গ্রন্থগুলোতে এই যন্ত্রের নাম বংশী, কিন্তু মধ্যযুগের ইন্দোনেশীয় হিন্দু ও বৌদ্ধ চিত্রকলা, এমনকি জাভা আর বালির মন্দির ভাস্কর্যে এই যন্ত্রকে ওয়াংসি নামে অভিহিত করা হয়েছে।